عرفان اسلامی

মেহমানদারী করা সকল নবি ও ইমামগণের সুন্নাত। যে বাড়িতে মেহমান আসে সে বাড়িতে আল্লাহর রহমত অবতীর্ণ হয় এবং রুজিতে বরকত হয়।
সাহাবাগণ অত্যন্ত ত্যাগ স্বীকার করে মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ)কে সহযোগিতা করেছেন। তাদের ত্যাগের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
কবর জিয়ারত করা মুস্তাহাব। আল্লাহর ওলিগণের কবর জিয়াত করলে ইমান শক্তিশালী হয় এবং এর সাথে শিরকের কোন সম্পর্ক নেই।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহর এবাদতের পরেই পিতা-মাতার হক আদায়ের প্রতি দির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পিতা-মাতা ইন্তিকালের পর তাদের জন্য দোয়া ও দান খয়রাত করতে হবে।
দুর্নাম রটানো কবিরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত। কাউরো সম্মানের হানি করা বড় অপরাধ। সম্মান মানুষের বড় সম্পদ।
হিংসা অত্যন্ত খারাপ বৈশিষ্ট্য। হিংসা মানুষের সুখ-শান্তি নষ্ট করে দেয়।হিংসুক কখনো আত্মতৃপ্তি লাভ করে না।
সমাজে মানুষের সাথে ভাল সম্পর্ক বজায় রেখে চলার প্রতি ইসলম গুরুত্বারোপ করেছে।
আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হচ্ছে মোনাজাত। মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জন করা যায়।
কোরআন ও হাদিসে ওসিলা গ্রহণ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ওসিলা গ্রহণ করলে সহজেই দোওয়া কবুল হয়।
ইমানের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। সকলের ইমান এক সমান নয়। আল্লাহ সম্পর্কে যার জ্ঞান যত বেশী সে তত সক্তিশালী ইমানের অধিকারী হতে পারে।
হযরত উজাইর (আঃ) মৃত অবস্থায় থাকেন এর পর আল্লাহ তায়ালা আবার তাঁকে জীবিত করেন।
সকলের সাথে ভাল ভাষায় কথা বলতে হবে। আমাদের নবি ও ইমামগণ সর্বদা সকলের সাথে ভাল ব্যাবহার করতেন। কউকে কষ্ট দিতেন না।
ঘুষ খাওয়া অত্যন্ত বড় অপরাধ। কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে ঘোস গ্রহণকারী ব্যক্তির পরিনাম হবে দোযখ।
ইমাম আলি (আঃ) হিজরতের রাতে আল্লাহর সাথে বিনিময় করেছিলেন। তিনি রাসুল (সাঃ) এর বাসায় তাঁর চাদরের নিচে শুয়েছিলেন।
দ্বীন গ্রহণের ব্যাপারে প্রত্যেক ব্যক্তির সাধীনতা রয়েছে।তবে দ্বীন গ্রহণ করার পর তাকে দ্বীনী বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে।
কিয়ামতের দিন রাসুল (সাঃ) ও নিষ্পাপ ইমামগণ শাফাআত করবেন। শাফাআত প্রাপ্ত হওয়ার জন্য নেক আমলের অধিকারী হতে হবে।
কিয়ামত অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে কেননা মানুষ কিয়ামতের দিন তার ন্যায্য অধিকার প্রাপ্ত হবে। সেদিন কেউ কোনকিছু অস্বীকার করতে পারবে না।
সফর মাসের ২০ তারিখে ইমাম হোসাইন (আঃ) এর চল্লিশা পালন করা হয়ে থাকে।কারবালার ঘটনার চল্লিশ দিন পর পুনরায় ঐ কাফেলা কারবালায় এসে পৌঁছে।
হযরত ইবরাহিম (আঃ) নুমরুদকে তাওহিদের আদর্শে আহবান করেন কিন্তু সে দাওয়াত কবুল করে না। সে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং তাঁকে বিভিন্নভাবে কষ্ট দেয়।
আমাদেরকে আত্মিকভাবে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। যেভাবে শারিরিক সুস্থতার প্রয়োজন সেভাবে আত্মিক সুস্থতারও প্রয়োজন রয়েছে।

পৃষ্ঠাসমূহ