پیامبر اسلام

মহান আল্লাহ তায়ালা সব কিছু সৃষ্টির পূর্বে হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তাঁর আহলে বাইত (আঃ) কে সৃষ্টি করেছেন। এর পর তাঁদের নুর হতে সব কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে।
মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ব্যাবহার অত্যন্ত সুন্দর ছিল। তিনি সকলের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন করতেন। এমনকি যে ব্যক্তি তাঁর পথে কাঁটা দিত সে অসুস্থ হলে তাকেও দেখতে যান।
হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) দয়ার সাগর ছিলেন। তিনি কখনো কাউকে কষ্ট দেননি। তিনি সকলের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতেন। তিনি সকলকে ক্ষমা করে দিতেন। কিয়ামতের দিন তিনি তাঁর উম্মতের জন্য সুপারিশ করবেন।
মহানবি (সাঃ) দুনিয়া হতে বিদায় নিলেও তিনি আমাদের আমল সম্পর্কে খবর রাখেন। আমরা প্রতি নিয়ত নামাজে তাঁর প্রতি সালাম দিই। তিনি আবশ্যই আমাদের সালাম শ্রবণ করেন এবং তার উত্তর দেন। সুতরাং তাঁকে হায়াতুন নবী বলে জানি।
কোরআন শরিফের নির্দেশ অনুযায়ী পবিত্র আহলে বাইত (আঃ) এর প্রতি মহব্বত রাখতে হবে। হাদিসে সাকালাইনে বলা হচ্ছেঃ রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ আমার পর তোমরা কোরআন ও আহলে বাইতের আনুগত্য করবে।
নবি করিম (সাঃ) এর আহলে বাইতের সাথে উমাই্য়্যা বংশের লোকরা শত্রুতা করেছে। তাঁদেরকে শহিদ করেছে। এর কারণ ছিল তাদের ক্ষমতার লোভ ও দুনিয়া পুজারী।
আহলে কিতাবরা নবি (সা.) এর আগমনের খবর সম্পের্কে তাদের কিতাবে পড়েছিল। তারা পুরোপুরিভাবে আখেরী নবি সম্পর্কে অবগত ছিল এবং তাঁর অপেক্ষায় ছিল কিন্তু তিনি আগমনের পর তারা তাঁকে গ্রহণ করেনি।
১-আল্লাহ সৎ পথ প্রদর্শন করেন। ২-কেউ অনু পরিমাণ সৎ কাজ করলেও তাও দেখতে পাবে। ৩-কেউ অনু পরিমাণ অসৎ কাজ করলেও তাও দেখতে পাবে। ৪-নিশ্চয় অপরাধিরা জাহান্নামের আযাবে চীরকাল থাকবে।
আহলে বাইত (আ.) নাজাতের তরী। আহলে বাইত নুহ নবির নৌকার ন্যায়। যে ব্যক্তি তাতে আরোহণ করল সে মুক্তি পেল আর যে ব্যক্তি তাতে আরোহণ করল না সে ধবংশ হয়ে গেল।
১-আবু তালিব হাবাশার বাদশাহকে ইসলামের দাওয়াত দেন । ২-আবু তালিব ফাতিমা বিনতে আসাদকে ইসলামের দাওয়াত দেন। ৩-তিনি জাফরকে রাসুল (সা.) এর সাথে নামাজ পড়তে বলেন। ৪-আবু তালিবের ঈমান ছিল আসহাবে কাহফের ন্যায়।
অবশ্যই উলিল আমর বা নির্দেশ দাতা আল্লাহর তরফ হতে নির্ধারিত হতে হবে। উলিল আমর অবশ্যই নিষ্পাপ ও নির্ভুল হতে হবে। কেননা যে ব্যক্তি নিজে ভুল করে সে অন্য কে সঠিক পথে চলার নির্দেশ দিতে পারে না। যে একটি ভুল করে সে একাধিক ভুলও করতে পারে।
আমরা সারা বৎসর আল্লাহর এবাদত করি কিন্তু রমজান মাসে এবাদতের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এ মাস রহমতের মাস। এ মাসে আল্লাহ হচ্ছেন মেজবান আর তাঁর বান্দারা হচ্ছে মহমান। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই মেজবান তার মেহমানের চাওয়াকে পুরন করে থাকে।
১- আয়াতে তাতহীর রাসুলের পরিবার আলী, ফাতিমা, হাসান হুসাইন (আ.) এর শানে নাযিল হয়? ২- উক্ত আয়াতটি উম্মে সালামা (রা.) এর ঘরে নাযিল হয়। ৩- সূরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াতকে আয়াতে তাতহীর বলা হয়।
১- আয়াতে তাতহীর রাসুলের পরিবার আলী, ফাতিমা, হাসান হুসাইন (আ.) এর শানে নাযিল হয়? ২- উক্ত আয়াতটি উম্মে সালামা (রা.) এর ঘরে নাযিল হয়। ৩- সূরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াতকে আয়াতে তাতহীর বলা হয়।
মুহাম্মাদ (সা.) কে রহমত স্বরূপ প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি সর্ব শ্রেষ্ঠ নবি। তাঁর প্রতি সর্ব শ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব আল কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।
রাসুল (সা.) কে মহব্বত করতে হবে। কাউকে ভাল না বাসলে পুরোপুরিভাবে তার আনুগত্য করা যায় না। এমকি আল্লাহকে ভালবাসতে হলেও রাসুলের আনুগত্য করতে হবে।
মুহাম্মাদ (সা.) সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ নবি। তাঁর পর আর কোন নবি আগমন করবে না। কিয়ামতের দিন তিনি তাঁর উম্মতকে সুপারিস করবেন।
রাসুল (সা.) কখনো কোন ভুল করেননি। তিনি যে কোন ভুলের উর্ধে। তিনি শ্রেষ্ঠ নবি। তাঁর পর আর কোন নবি আগমন করবে না।
আমরা রাসুল (সা.) কে দেখিনি কিন্তু তাঁর জিয়ারতের মাধ্যমে সান্নিধ্য অর্জন করতে পারি। রাসুলের জিয়ারতের অনেক ফজিলত রয়েছে।
হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জীবনের সর্ব শেষ দিনগুলোতে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা আমাদের সঠিক পথের দিক নির্দেশনা দেয়।

পৃষ্ঠাসমূহ