বৈরুতে ইরানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাছে বোমা হামলা

বৈরুতে ইরানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাছে বোমা হামলা

বৈরুতে ইরানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাছে বোমা হামলা

লেবানন, বৈরুত, হাসান, কুয়েত, হিজবুল্লাহ, ইরান, ইমাম হাদী, মহানবী, আহলে বাইত, মুসলমান, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দানশীলতা, সদাচরণ, অধ্যবসায়, জিহাদ, ইমাম, জাফর, সাদিক, যুরারা ইবনে আয়ান, মুহম্মাদ ইবনে মুসলিম, মুমীন তা’ক, হিশাম ইবন আল-হাকাম, আবান ইবনে তাগলিব, হিশাম ইবনে সালিম, নুরাইজ, হিশাম আল-কালরিয়ান নাসাবাহ, জাফর সাদিক, আল্লামা শিবলী নোমানী, হাদিস, ফিকাহ, তাফসীর, মারওয়ান, যায়নুল আবেদীন, ইমাম মাহদী, শিয়া, শেখ সাদুক,
বৈরুতে আজকের বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুন নেভানোর চেষ্টা
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে পরপর দু’টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত পাঁচজন নিহত ও অপর প্রায় ১০০ লোক আহত হয়েছে। দক্ষিণ বৈরুতের বির হাসান এলাকায় ইরানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও কুয়েত দূতাবাসের কাছে হামলা দু’টি চালানো হয়।

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক আল-কায়েদার সহযোগী গোষ্ঠী আব্দুল্লাহ আজ্জাম ব্রিগেড এসব হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। তারা বলেছে, ইরান ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে এ ধরনের হামলা চালিয়ে যাবে তারা।

ইরানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রধান ফটকের সামনে স্থাপিত নিরাপত্তা চেকপোস্টে আজকের বোমা হামলা চালানো হয়। লেবাননের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা দু’টি বোমা বিস্ফোরণের খবর নিশ্চিত করলেও এসব হামলা আত্মঘাতী না-কি গাড়িবোমা ছিল তা জানাতে পারেননি।

আন্তর্জাতিক রেডক্রসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এসব হামলায় অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছেন যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বোমা হামলার পরপরই গোটা এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় এবং এরপর লেবাননের টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে বিস্তীর্ণ এলাকায় ধ্বংসলীলা দেখা গেছে। জরুরি উদ্ধার বিভাগের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন এবং বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট আগুন নেভাতে স্থানীয় অধিবাসীরা অগ্নিনির্বাপন কর্মীদের সহযোগিতা করেছেন।

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে গত কয়েক মাসে উগ্র সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েটি হামলা চালিয়েছে। গত নভেম্বরে ইরান দূতাবাসের সামনে শক্তিশালী গাড়িবোমা হামলায় ইরানি কালচারাল অ্যাটাশে নিহত ও অপর প্রায় দেড়শ’ লোক আহত হয়। আব্দুল্লাহ আজ্জাম ব্রিগেড ওই হামলারও দায়িত্ব স্বীকার করেছিল।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির সৌদি নেতা মাজিদ আল-মাজিদকে গতমাসে আটক করা হয়। তবে পরবর্তীতে নিরাপত্তা হেফাজতে তার মৃত্যু হলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বহু ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা সম্পর্কে তার কাছ থেকে তথ্য জানার আশা শেষ হয়ে যায়। মাজিদের মৃত্যুতে সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর হাত থাকার সম্ভাবনার কথা বলেছেন অনেক বিশ্লেষক।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন