যে কাজ থেকে আহলে বাইত (আ.) এর প্রতি ভালাবাসা প্রকাশ পায় তা বিদআত নয়

ইরানের কোম নগরীর ঐতিহাসিক মসজিদ আ’যামে অনুষ্ঠিত উসুল শাস্ত্র বিষয়ক দরসে খারিজে আয়াতুল্লাহ আল-উজমা সুবহানী বলেন : ঐশী আইন প্রণয়নের অধিকার একমাত্র মহান আল্লাহর এবং কোন মানুষই অপর মানুষের জন্য ঐশী আইন প্রণয়ন ও নির্ধারন করতে পারে না। যদি মহান আল্লাহর নির্

যে কাজ থেকে আহলে বাইত (আ.) এর প্রতি ভালাবাসা প্রকাশ পায় তা বিদআত নয়

ইরানের কোম নগরীর ঐতিহাসিক মসজিদ আ’যামে অনুষ্ঠিত উসুল শাস্ত্র বিষয়ক দরসে খারিজে আয়াতুল্লাহ আল-উজমা সুবহানী বলেন : ঐশী আইন প্রণয়নের অধিকার একমাত্র মহান আল্লাহর এবং কোন মানুষই অপর মানুষের জন্য ঐশী আইন প্রণয়ন ও নির্ধারন করতে পারে না।
যদি মহান আল্লাহর নির্দেশের বাইরে কোন বিধান প্রণয়ন করা হয় তবে তা মূর্খতা এবং প্রভাবহীন –এ কথার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন : ইসলাম ধর্মে আইন ধর্মীয় মানদন্ডের আওতায় প্রণীত হয়।
নতুন যে কোন কাজকে মহান আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করাকে শরিয়তগত দিক থেকে বিদআত বলা হয় –এ কথা উল্লেখ করে আয়াতুল্লাহ সুবহানী বলেন : এমন কোন বিষয় যার ধর্মীয় ও কুরআনিক কোন উত্স নেই তা মহান আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করাকে বিদআত বলা হয়।
তিনি বলেন : শাহের যুগে (ইসলামী বিপ্লবের পূর্বে) বিভিন্ন পার্টিতে নারী-পুরুষের মিশ্রণ একটি হারাম কর্ম হিসেবে বিবেচিত হলেও শরিয়তগত দিক থেকে তা বিদআত বলে পরিগণিত হত না; কেননা ঐ কর্মকে মহান আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করা হত না। যদিও তা ছিল একটি অনর্থক ও হারাম কর্ম।
বিশিষ্ট এ মারজায়ে তাকলিদ বলেন : কুরআন এবং ইসলাম ধর্মে যার উত্স রয়েছে এমন কোন নতুন কাজ বিদআত নয়। যেমন তলোয়ার ও বর্শা ব্যতীত ইসলামি ভূখণ্ড ও ধর্ম রক্ষার্থে বর্তমান যুগে নতুন অস্ত্র উত্পাদন করা; যদিও তা অস্ত্র খাতে নতুন সংযোজন বলে বিবেচিত হয়, কিন্তু সেটাকে বিদআত বলা যায় না।
যে কাজ থেকে আহলে বাইত (আ.) এর প্রতি ভালাবাসা প্রকাশ পায় তা শরীয়তের দৃষ্টিতে বিদআত নয়।
বিশিষ্ট মারজায়ে তাকলিদ বলেছেন : আহলে বাইত (আ.) এর মাজার হতে বরকত নেয়া বিদআত নয় -যেভাবে সুন্নিরা বলে থাকে-। কেননা স্বয়ং তারাই মহানবী (স.) হতে এমন কিছু রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছে যেগুলোতে স্পষ্টভাবে উল্লেখিত হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল (স.) এর প্রতি ভালবাসা ইসলাম ধর্মের অন্যতম মৌলিক ভিত্তি স্বরূপ।
মহানবী (স.) এর সন্তানগন তাঁর প্রিয়পাত্র; অতএব, নিষ্পাপ ইমামগণ (আ.) এর মাজার চুম্বনকারী শিয়ারা বিশ্বাস করে যে, তারা এ কর্মের মাধ্যমে মূলতঃ মহানবী (স.) ও তাঁর পরিবারের প্রতি ভালবাসা ও বন্ধুত্বের প্রকাশ ঘটায়।
আয়াতুল্লাহ সুবহানী তার বক্তব্যের শেষাংশে বলেন : যে কর্ম হতে আহলে বাইত (আ.) এর ভালবাসা প্রকাশ পায় তা শরিয়তগত দিক থেকে বিদআত নয় এবং আমরা তা আঞ্জাম
সূত্রঃ বার্তা সংস্থা আবনা

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন