নৈতিকতার দৃষ্টিতে তওবা করা ওয়াজিব

নৈতিকতার দৃষ্টিতে তওবা করা ওয়াজিব

নৈতিকতার দৃষ্টিতে তওবা করা ওয়াজিব
আধ্যাত্মিক আলেম, বুদ্ধিমান পণ্ডিত এবং পবিত্র চিন্তাবিদগণ নীতিশাস্ত্রের উপর অতি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেছেন। তারা আখলাক তথা নৈতিকতাকে দুইভাগে বিভক্ত করেছেন, সচ্চরিত্র ও অসচ্চরিত্র। এই মহান অধ্যাত্মিক আলেমগণ অহংকার, দাম্ভিকতা এবং বড়াইকে অসচ্চরিত্র বলে গণ্য করেছেন। আরনম্রতা, ভদ্রতা, এবং বিনয়কে সচ্চরিত্র হিসাবে অভিভূত করে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দান করেছেন।
অধ্যাত্মিক আলেমগণ, অহংকারকে আল্লাহর বরাবরে মানুষের পাপ এবং তওবা ও অনুতাপকে মানুষের নম্রতা, বিনয় ও ভদ্রতার মিষ্টি ফল হিসাবে বর্ণনাকরেছেন।
তারা বলেন, শয়তানের বেহেশত থেকে বিতাড়িত হওয়া, আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়া এবং অভিশপ্ত হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে তার অহংকার।অনুরূপভাবে হযরত আদম(আ.) ও তাঁর স্ত্রী তাদের নম্রতা, বিনয় ও ভদ্রতার কারণে অনুশোচিত হয়ে মহান আল্লাহর দরবারে তওবা করেছিলেন এবংপরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহও তাদের তওবা কবুল করে ছিলেন।
দাম্ভিকতা ও অহংকার যেহেতু মানুষকে মহান আল্লাহ থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং তাদেরকে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করে, সুতরাং দাম্ভিকতা ওঅহংকার পরিহার করা অপরিহার্য
সূত্রঃ আনসারীয়ানের তথ্যকেন্দ্র

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন