গণ-বিদ্রোহের আশঙ্কায় ইবনে জিয়াদের আতঙ্ক

গণ-বিদ্রোহের আশঙ্কায় ইবনে জিয়াদের আতঙ্ক

গণ-বিদ্রোহের আশঙ্কায় ইবনে জিয়াদের আতঙ্ক
জিয়াদ নবী (সা.)’র পরিবারের অবমাননার জন্য কুফা শহরের রাস্তায় রাস্তায় বন্দীদেরকে ঘুরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে উদ্যত হলে আবারও স্বমহিমায় আত্মপ্রকাশ করেন নবী-নাতনী। তাঁর বাগ্মীতাপূর্ণ ও বিবেক-জাগানো এবং হৃদয়-বিদারক বক্তব্য শুনে কুফার জনগণ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। ফলে ইবনে জিয়াদ গণ-বিদ্রোহের আশঙ্কায় ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় সে বন্দীদের কাফেলাকে দ্রুত দামেস্কে পাঠানোর নির্দেশ দেয় এবং এমন সব পথ দিয়ে তাদেরকে নিয়ে যেতে বলে যাতে জনগণ নবী-পরিবারের দুর্দশার কথা জানতে পেরে ইয়াজিদ সরকারের প্রতি গণ-বিদ্রোহ বা গণ-বিক্ষোভ শুরু করার সুযোগ না পায়।
ইবনে জিয়াদ ও ইয়াজিদের দরবারে তেজোদৃপ্ত বক্তব্য রেখেছিলেন হযরত যেইনাব (সা.)। একই ধরনের বক্তব্য রেখেছিলেন নতুন ইমাম হযরত যইনুল আবেদীন (আ)। তিনি কুফায় ফুফু ও বোন ফাতিমার ভাষণ শুনে মর্মাহত ও ক্রন্দনরত মানুষের সমাবেশেও বক্তব্য রেখেছিলেন। নতুন ইমাম বলেছিলেন: হে মানুষেরা, আমি আলী, হুসাইন ইবনে আলী (আ.)’র সন্তান। আমি তাঁর সন্তান যার সব কিছু লুট করা হয়েছে, যার পরিবারের সবাইকে বন্দী করে এখানে আনা হয়েছে। আমি তাঁর সন্তান, যে ফোরাতের কিনারায় মর্মান্তিক ও নৃশংসভাবে নিহত হয়েছে। হে লোকেরা! তোমরা কিয়ামতের দিন কিভাবে নবী(সা.)’র সামনে দাঁড়াবে? রাসূল (সা.) যখন তোমাদের বলবেন, “ তোমারা আমার পরিবারবর্গকে এভাবে কতল করেছ আর আমার মর্যাদাও অক্ষুণ্ণ রাখনি, তাই তোমরা আমার উম্মত নও।”
নতুন ইমামের এ বক্তব্য শুনে কুফাবাসী চিতকার ধ্বনি দিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং একে-অপরকে তিরস্কার করে বলতে থাকে : আমরা এতই দুর্ভাগা যে নিজেরা যে ধ্বংস হয়ে গেছি তাও জানি না।
সূত্রঃ ইন্টারনেট

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন