ব্যাংকের সুদ সংক্রান্ত বিষয়ে চারটি প্রশ্নের উত্তর

কোমের প্রসিদ্ধ মার্জা আয়াতুল্লাহ আল উজমা সাফী গুলপায়গানী ইসলামী ফিকাহ শাস্ত্রের দৃষ্টিতে ব্যাংকিং সুবিধা, ব্যাংকে বিনিয়োগ ও সঞ্চয়ী হিসাব খোলা সংক্রান্ত চারটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

ব্যাংকের সুদ সংক্রান্ত বিষয়ে চারটি প্রশ্নের উত্তর

কোমের প্রসিদ্ধ মার্জা আয়াতুল্লাহ আল উজমা সাফী গুলপায়গানী ইসলামী ফিকাহ শাস্ত্রের দৃষ্টিতে
ব্যাংকিং সুবিধা, ব্যাংকে বিনিয়োগ ও সঞ্চয়ী হিসাব খোলা সংক্রান্ত চারটি প্রশ্নের
উত্তর দিয়েছেন।
এ বিশিষ্ট ফকীহ ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিটের (দীর্ঘ মেয়াদী সঞ্চায়ের) ক্ষেত্রে দিন ভিত্তিতে সুদ হিসাব করার বিষয়ে বলেন: যদি সঞ্চয়কারী (ডিপোজিটার) ব্যাংককে নিজের পক্ষে বৈধ (শরিয়ত সম্মত) লেনদেনের জন্য এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে তার নিকট অর্থ হস্তান্তর বা বিনিয়োগ করে এবং ব্যাংক লাভের একাংশ সঞ্চয়কারীকে দেয় এবং অবশিষ্ট লভ্যাংশ নিজে এজেন্টের পারিশ্রমিক হিসেবে গ্রহণ করে (যেমনটি সুদবিহীন ব্যাংকিং আইনে বর্ণিত হয়েছে) এ ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের শর্তে ব্যাংককে ঋণ হিসেবে দেয় তবে তা সুদ বলে গন্য এবং হারা হবে। ‘কেননা হারাম হওয়া সত্ত্বেও কিছু সংখ্যক ব্যাংক সুদ গ্রহণের শর্তে ঋণ প্রদান করে একে কর্জে হাসানা বলে চালাতে চায়’- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: যদি ব্যাংকগুলি সুদমুক্ত ব্যাংকিং আইন অনুযায়ী কাজ করে তবে তা সুদ যুক্ত ঋণ বলে গন্য হবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কোন কোন ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ আইন অনুযায়ী কাজ করে না এবং গ্রাহকরাও এ বিষয়ে ইসলামের বিধান সম্পর্কে অবহিত না থাকায় এ ধরনের ঋণ গ্রহণ সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে যা হারাম।
এই ইসলামী পণ্ডিত বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মুনাফা প্রদান বিষয়ে বলেন: যদি বিনিয়োগকারী ইসলামী শরিয়ত অনুমোদিত লেনদেন ও ব্যবসায় যেমন মুদারাবা, অংশিদারী কারবার ইত্যাদির উদ্দেশ্যে চুক্তি ভিত্তিতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে অর্থ রাখে এবং এ ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে যে সকল শর্ত রয়েছে তা
মেনে চলা হয় তবে সেখান হতে প্রাপ্ত লভ্যাংশ বৈধ হবে।
তিনি আরো বলেন: তেমনি যদি অর্থ বিনিয়োগকারী ঐ প্রতিষ্ঠানকে নিজের পক্ষ থেকে এজেন্ট হিসেবে শরীয়ত সম্মত লেনদেনের উদ্দেশ্যে অর্থ দান করে এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান এজেন্টের পারিশ্রমিক হিসেবে লাভের একাংশকে গ্রহণ করে এবং অবশিষ্ট লভ্যাংশ বিনিয়োগ বা সঞ্চয়কারীকে দেয় তাতে কোন অসুবিধা নেই কিন্তু যদি সঞ্চয় বা বিনিয়োগকারী লাভ প্রদানের শর্তে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দান করে তবে তা সুদ ও হারাম বলে গন্য হবে।
হযরত আয়াতুল্লাহ আল উজমা সাফী গুলপায়গানী অর্থলগ্নি ও ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ঋণ দানের ক্ষেত্রে সঞ্চয় হিসাবের মেয়াদ নির্ধারণ সম্পর্কে বলেন: যদি কেউ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে এ শর্তে অর্থ জমা রাখে যে, ছয় মাস পর তাকে ঋণ দিবে তবে তা সুদ হিসেবে হারাম হবে। সূত্রঃ ইন্টারনেট
 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন