বেলায়েতে ফকীহ ও মারজাইয়্যাতের মধ্যে সম্পর্ক কী?

 বেলায়েতে ফকীহ ও মারজাইয়্যাতের মধ্যে সম্পর্ক কী?  শিয়া সংস্কৃতিতে বেলায়েত মারজাইয়্যতের একটি অংশ। বিখ্যাত ও মহান মারজাগণ জনগণকে কেবলমাত্র ঐশী আইন ও নীতিমালার প্রতি পরিচালিত করেননি বরং নির্দিষ্ট সামাজিক সমস্যাবলী সম্পর্কেও জনগণকে পথ নির্দেশনা দান করেছেন এমন

 বেলায়েতে ফকীহ ও মারজাইয়্যাতের মধ্যে সম্পর্ক কী?
 শিয়া সংস্কৃতিতে বেলায়েত মারজাইয়্যতের একটি অংশ। বিখ্যাত ও মহান মারজাগণ জনগণকে কেবলমাত্র ঐশী আইন ও নীতিমালার প্রতি পরিচালিত করেননি বরং নির্দিষ্ট সামাজিক সমস্যাবলী সম্পর্কেও জনগণকে পথ নির্দেশনা দান করেছেন এমনকি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে এবং পারিবারিক বিরোধের ড়্গেত্রে বিচারকার্য শেষে রায় প্রদান করেছেন। কিন্তু আমরা যদি এ দু’টো বিষয়কে পৃথক করে ফেলি এবং পূর্বেরটিকে মারজাইয়্যাতের সঙ্গে সংযুক্ত করি তাহলে বেশকিছু প্রশ্নের উদ্ভব হয় :
(১) মারজাইয়্যাত এবং বেলায়েত পৃথক করা কী অনুমোদিত?
(২) যদি অনুমোদিত মনে করি তাহলে একাধিক মারজা ও নেতা থাকা কী সম্ভব?
(৩) যদি মারজা ও নেতা পৃথক করা সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে নেতা ব্যতীত সমাজ তথা ব্যক্তি সম্পর্কিত নীতিমালা অনুস্মরণ করা কী সম্ভব?
উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর নিম্নরূপ : যে কারণে একজন ফকীহ আইনী বিষয় সম্পর্কে কর্তৃত্বের অধিকারী তার কারণ তিনি আইন সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ এবং তাঁর সূত্রসমূহ থেকে আলস্নাহ প্রদত্ত আইন ও নীতিমালা লাভ করার সড়্গমতা। আবার একজন নেতা যে কারণে নেতৃত্ব লাভ করেন তা হলো উপারোক্ত গুণাবলীসহ ইসলামী নীতি ও মূল্যবোধ অনুযায়ী সমাজকে পরিচলান করার যোগ্যতা। তাই নেতা হিসেবে একজনকে নির্বাচন করা বা মনেনীত করা সম্ভব হয়েছে। কেবল আইনের প্রতি তাঁর প্রচন্ড ঝোঁক থাকার জন্যই নয় বরং শ্রেষ্ঠতর নির্বাহী দড়্গতার কারণে।
এ বাসত্মবতার পরিবর্তে মারজা এবং নেতার কার্যালয় পৃথকীকরণ যুক্তিযুক্ত এবং কোন কোন ড়্গেত্রে একটি প্রয়োজনীয় কৌশল। নীতিগতভাবে,নেতৃত্ব একজন ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ। অপরদিকে মারজাইয়্যাত অসংখ্য ব্যক্তির ড়্গেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু নেতার নির্দেশ মান্য করা এবং অনুসরণ করা অপরাপর ফকীহসহ সকল মানুষের জন্য বাধ্যতামূলক এবং তাঁর নির্দেশ অমান্য করা বৈধ নয়,তাই সামাজিক নির্দেশনা ও সমাজ পরিচালনার ড়্গেত্রে নেতার অনুসরণ ব্যতীত অন্য কারো অনুসরণ জনগণের পড়্গে সম্ভব নয়। ফকীহ’র কর্তৃত্ব সম্পর্কে পূর্বে যা বলা হয়েছে তা ব্যক্তি বিশেষের নির্দেশ ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক বিষয় সম্পর্কিত যা জনগণ নেতা ব্যতিরেকে অনুসরণ করতে পারে।
ইসলামের মহান নবী (সাঃ) তিনটি নির্দেশ নিয়ে এসেছিলেন ঃ
(১) আলস্নাহর বার্তা প্রচার করা;ধর্মের আইন কানুন শিড়্গা দেয়া এবং জনগণকে দিক নির্দেশনা দান করা।
(২) জনগণের মাঝে মতপার্থক্য সৃষ্টি হলে সালীশ বিচারের মাধ্যমে মীমাংসা করা।
(৩) সমাজকে নেতৃত্ব দেয়া ও পরিচালনা করা।
ইমাম (আঃ ফাঃ) এর অবর্তমানে এ সকল গুণাবলী এবং দায়িত্ব ফকীহদের উপর অর্পিত হয়েছে। তাঁদের  দায়িত্বও তিনটি :
(১) বিচারকের দায়িত্ব পালন করা এবং জনগণের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি হলে তার সমাধান দেয়া।
(২) ফতোয়া জারী করা এবং জনগণের জন্য ঐশী আইনের সাধারণ নিয়মগুলির ব্যাখ্যা দেয়া। জনগণের প্রতি এ দায়িত্ব পালন একধরনের পথনির্দেশনা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
(৩) নেতৃত্ব।
শিয়া সংস্কৃতিতে বেলায়েত মারজাইয়্যাতের একটি অংশ। বিখ্যাত ও মহান মারজাগণ জনগণকে কেবলমাত্র ঐশী আইন ও নীতিমালার প্রতি পরিচালিত করেননি বরং নির্দিষ্ট সামাজিক সমস্যাবলী সম্পর্কেও জনগণকে পথনির্দেশনা দান করেছেন,এমনকি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে এবং পারিবারিক বিরোধের ড়্গেত্রে বিচারকার্য শেষে রায় প্রদান করেছেন। কিন্তু আমরা যদি এ দুটো বিষয়কে পৃথক করে ফেলি এবং পূর্বেরটিকে মারজাইয়্যাতের সঙ্গে সংযুক্ত করি তাহলে বেশ কিছু প্রশ্নের উদ্ভব হয়।
(১) মারজাইয়্যাত এবং বেলায়েত পৃথক করা কী অনুমোদিত?অন্যভাবে বলা যায় যে,এটা কী সম্ভব যে,একজন মানুষ আইনের সাধারণ বিষয়সমূহের ড়্গেত্রে একজনের প্রতি রম্নজু করবে এবং অন্য ব্যক্তি ইসলামী রাষ্ট্রের নেতা হবেন?
(২) যদি অনুমোদিত মনে করি তাহলে একাধিক মারজা ও নেতা থাকা কী সম্ভব?এ সম্পর্কে তাদের মধ্যে কী একটি পার্থক্য থাকবে?
(৩) যদি মারজা ও নেতা পৃথক করা সম্ভব হয় সেড়্গেত্রে নেতা ব্যতীত সমাজ তথা ব্যক্তি সম্পর্কিত নীতিমালা অনুসরণ করা কী সম্ভব?
উপরোলিস্নখিত প্রশ্নসমূহের উত্তর দেয়ার পূর্বে নেতা কর্তৃক জারীকৃত ‘ফতোয়া’সম্পর্কে একটি সংড়্গিপ্ত ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন মনে করছি।
যখন ফিকাহশাস্ত্রবিদ কোন একটি সমস্যা সম্পর্কে ঐশী আইন জানার লড়্গ্যে যে ধর্মীয় সূত্রগুলোর উলেস্নখ করেন এবং তা পাওয়ার জন্য যে পদ্ধতি ও কৌশল Aej¤^b করেন তাকে  ফতোয়া’ জারী বলা হয়।
যখন নেতা সাধারণ ঐশী নীতিমালার প্রতি,ইসলামে প্রচলিত বিভিন্ন পদ্ধতি এবং সে সময়কার অবস্থার প্রতি মনোযোগ দেন এবং এর উপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে একজন ব্যক্তি বা দলের দায়িত্বকে ‘হুকুম’বা নির্দেশ দেয়া বলা হয়। এটা করার ড়্গেত্রে তিনি কেবলমাত্র ইসলামের সাধারণ নীতিমালা এবং ধর্মের মহৎ ও উচ্চাকাংখার প্রতি লড়্গ্যই রাখবেন না বরং ঐ সময়ের পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রতি গভীর দৃষ্টি রাখবেন। যতদূর ঐ শর্তাবলী বর্তমান থাকবে,তাঁর কর্তৃক অথবা তাঁর প্রতিনিধি কর্তৃক জারীকৃত নির্দেশ অবশ্যই পালনীয় হবে। নিশ্চিতরূপে আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে এবং ঐশী নীতিমালা ও যোগ্যতাসম্পন্ন ফকীহ’র ফতোয়াসমূহও নেতার নির্দেশের ন্যায় অবশ্যই পালনীয়। তবে পার্থক্য হলো ফকীহ’র নির্দেশ তাঁর নিজের এবং তাঁর অনুসারীদের জন্য পালনীয় কিন্তু নেতার নির্দেশ পালন সকলের জন্য বাধ্যতামূলক।
একথাটি মনে রেখে আমরা এখন প্রথম প্রশ্নটির উত্তর দেব,অর্থাৎ,মারজাইয়্যাত এবং নেতার পৃথকীকরণ বিষয়ে আলোচনা   করব।
বেলায়েতে ফকীহ’সম্পর্কে যুক্তি ও প্রমাণ অনুযায়ী একজন ফকীহ সমাজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ইসলামী মূল্যবোধ অনুসারে নেতৃত্বের দায়িত্ব লাভ করেন। কিন্তু মারজাইয়্যাতের অর্থ সাধারণভাবে ফতোয়া জারী করা এবং তা সম্পূর্ণরূপে একটি ভিন্ন বিষয়। ‘মারজাইয়্যাত’বুঝতে হলে প্রথমে ‘তাকলীদ’সম্পর্কে জানতে হবে।
ফার্সী ভাষায় ‘তাকলীদ’শব্দের অর্থ হল,কোন প্রমাণ ব্যতীত কাউকে অনুসরণ করা। ফিকাহশাস্ত্রের ভাষায় ‘তাকলীদ’অর্থ একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে একজন ব্যক্তি উক্ত বিষয়ের বিশেষজ্ঞকে অনুসরণ করবে। সকল প্রকৃতস্থ ব্যক্তির দৃষ্টিতে প্রথম সংজ্ঞাটি খারাপ বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু দ্বিতীয়টি সম্পূর্ণরূপে অভ্রানত্ম ও তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য।তাকলীদের অনুমতি সংক্রানত্ম গুরম্নত্বপূর্ণ প্রমাণ হল কোন ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ না হন সেড়্গেত্রে তিনি  অবশ্যই উক্ত বিষয়ের বিশেষজ্ঞের প্রতি নির্দেশ করবেন। তাকলীদ সম্পর্কিত পবিত্র কোরআনের আয়াত ও হাদীসসমূহ এর সত্যতাকে সুনির্দিষ্ট করে। যেমন,পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে,“আমি কোন বার্তাবাহক তোমার পূর্বে প্রেরণ করিনি কেবল ঐ ব্যক্তি যাকে জ্ঞান দান করেছি-স্মরণকারী ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা কর যদি তুমি না জান।”অতএব,এ ব্যাখার মাধ্যমে বিষয়টি পরিস্কার হল যে,আইনী খুটিনাটি বিষয়ে একজন ফকীহ কর্তৃত্বের অধিকারী। কেননা,তিনি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং তার বিভিন্ন উৎস থেকে তিনি আলস্নাহ প্রদত্ত আইন সংগ্রহ করার ড়্গমতা রাখেন। পড়্গানত্মরে,যে কারণে একজন নেতা হিসেবে গণ্য হবেন তা হলো উপারোক্ত যোগ্যতা ছাড়াও ইসলামী নীতি ও মূল্যবোধ অনুযায়ী তাঁর সমাজ পরিচালনার যোগ্যতা থাকতে হবে।
একজন ব্যক্তিকে নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া সম্ভব হয়েছে কেবল তার আইনের প্রতি ঝোঁক ও যোগ্যতার কারণে নয় বরং চমৎকার পরিচালনা কৌশলের অধিকারী হওয়ার জন্য তিনি এ যোগ্যতা অর্জন করে থাকেন।
এ বাসত্মবতার পরিবর্তে মারজা এবং নেতার কার্যালয়ের পৃথকীকরণ ন্যায়সঙ্গতঃ এবং কোন কোন দৃষ্টানেত্মর ড়্গেত্রে যুক্তিযুক্ত।
দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে (অর্থাৎ,নেতৃত্ব এবং মারজাইয়্যাত একই ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে নাকি একাধিক ব্যক্তির জন্য উন্মুক্ত থাকবে) এবং এ ধারণার ভিত্তিতে যে,উভয়ের মধ্যে পৃথকীকরণ সম্ভব,আমাদেরকে অবশ্যই স্মরণ রাখা উচিত যে,যখন কোন ব্যক্তি কোন মারজার প্রতি নির্দেশ করেন তা এজন্য যে একজন মারজা আইনের ড়্গেত্রে বিশেষজ্ঞ এবং যিনি নির্দেশ করেন তিনি বিশেষজ্ঞ নন। ঘটনাটি এরূপ হওয়ায়,একটি সমাজে একাধিক বিশেষজ্ঞ থাকা সম্ভব।কিন্তু সমাজের নেতৃত্বের বিষয়টি সামাজিক বিন্যাসের সাথে ওতপ্রতোভাবে জড়িত এবং সিদ্ধানত্ম নির্বাহকারী কেন্দ্রসমূহের সংখ্যাধিক্যের কারণে গোলমাল সৃষ্টি হবে,যেহেতু প্রত্যেকের জন্য নেতার নির্দেশাবলী অনুসরণ করা জরম্নরী এ কথার অর্থই হল নেতা একজনই হবেন। এটা সত্য যে,ইসলাম ধর্মে জাতি বলতে কেবলমাত্র একটি জাতিকেই বুঝায়। অবশ্য একটি নির্দিষ্ট পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে কোন এলাকায় তাদের নিজস্ব নেতা থাকা সম্ভব কিন্তু এসকল নেতাদের একে অপরকে সহযোগিতা করা উচিত। কিন্তু এটা প্রয়োজনীয় নয় যে,বিভিন্ন ফকীহ একটি ফতোয়া জারী করবেন যাতে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় বরং প্রত্যেক ফকীহ ¯^xq বিচার জ্ঞান এবং তাঁদের নিজস্ব উৎসসমূহ থেকে সাধারণ নিয়মানুযায়ী আইনসমূহ লাভের মাধ্যমে তিনি ফতোয়া প্রদান করেন। নীতিগতভাবে,নেতৃত্ব একজন ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ। পড়্গানত্মরে মারজাইয়্যাত,একাধিক ব্যক্তির ড়্গেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু বিপরীত পরিস্থিতির সম্ভাবনাও সঠিক বলে ধরা হয়।
তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরে (অর্থাৎ,সকল বিষয়ে নেতা ব্যতীত অন্য কাউকে অনুসরণ করার সম্ভাবনা) আমাদেরকে ঐ বিষয় থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে নিলে চলবেনা যে,যখন নেতা একটি নির্দেশ অথবা রায় প্রদান করেন,তিনিতা ইসলামী নীতি ও পরিধির অধীনে সকল কিছুর প্রতি দৃষ্টি রেখেই করেন,এবং তা জানানোর পর এবং ¯^xq অবস্থানের কারণে তাঁর মতামতই চূড়ানত্ম। যদি সকল বিষয়ে নেতা ব্যতীত অন্য কাউকে অনুসরণ করার অনুমতি থাকত,যখন নেতার নির্দেশাবলী জনগণের জন্য অবশ্যই পালনীয়,তখন নিশ্চিতরূপে কোন কোন বিষয়ে কঠিন সমস্যার সৃষ্টি করত। অন্য কথায়,এটা সম্ভব যে,কোন একটি নির্দিষ্ট সামাজিক নির্দেশের বিষয়ে নেতা একটি ফতোয়া জারী করে বলেন যে,যদি আমার রায় এর থেকে পৃথক হত তাহলে আমি তাই বলতাম। পড়্গানত্মরে,মারজাগণ এর থেকে পৃথক রায় বা নির্দেশনা জারীকরতে পারেন। এমতাবস্থায় আমরা কিভাবে আশা করতে পারি যে,জনগণ শাসকের রায় অনুসরণ করবে?
এ সমস্যার এড়াতে বলা যায় যে,সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিষয়ে নেতা ব্যতীত অন্য কাউকে অনুসরণ না করা জনগণের জন্য জরম্নরী। যেহেতু তাঁর নির্দেশ অমান্য করা সকল ফকীহদের দৃষ্টিতে অবৈধ। অতএব,আইনশাস্ত্রবিদ এবং মারজার কর্তৃত্ব সম্পর্কে উপরের আলোচনায় যা বলা হলো তা ছিল ব্যক্তি বিশেষের নির্দেশ এবং ব্যক্তিগত বিষয় সম্পর্কিত;এড়্গেত্রে মানুষ নেতা ছাড়া অন্য কাউকে অনুসরণ করতে পারে। সূত্রঃ ইন্টারনেট

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন