মাহদীইজমের দৃষ্টিতে ন্যায়পরায়নতা

মাহদীইজমের দৃষ্টিতে ন্যায়পরায়নতা

মাহদীইজমের দৃষ্টিতে ন্যায়পরায়নতা 

ইমাম মাহদী, মাসুম, রাসূল, বিহারুল আনওয়ার, ইমাম আলী, ফাতিমাতুয্ যাহরা, ইমাম হাসান আসকারী, ইমাম, মুসা, ঈসা, আল্লাহ, ইমাম হুসাইন, ইমাম সাজ্জাদ, ইমাম বাকের, ইমাম জাফর সাদিক, ইমাম কাযিম, ইমাম মুসা রেযা, ইমাম তাকি আল জাওয়াদ, ইমাম হাদী, হাসান আসকারী
সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা থেকেদেখা যায় যে শিয়া ও সুন্নি মাযহাবের রেওয়াতসমূহে ইমাম মাহদী (আ.) এর আবির্ভাবসম্পর্কে যে বিষয়টি বেশি লক্ষনীয়, সেটি হচ্ছে ইমাম (আ.) এর মাধ্যমে অত্যাচারীর পতনও অত্যাচারের ধবংস এবং আদালতের প্রতিষ্ঠা।
মুন্তাখাবুল আছার নামকগ্রন্থের লেখক এ বিষয়ের উপর পর্যালোচনা করে দেখেছে যে সুন্নি ও শিয়া মাযহাব সূত্রেআনুমানিক ১৩০ টি হাদিস এই বিষয়টিকে প্রমান করে যে ইমাম মাহদী (আ.) জুলুম ও অত্যাচারযখন জমিন কে আকড়ে ধরবে ও অত্যাচারের শোরগোল সমস্ত জায়গায় দেখা যাবে তখন ইমাম (আ.)আসবে এবং দুনিয়াতে ন্যায়বিচার ও আদালতে পরিপূর্ণ করবে।সাফি গুলপায়গানিরমুন্তাখাবুল আছার ফিল ইমামিস সানি আশার, পৃ:-৪৭৮।
এ সম্পর্কে এই রেওয়ায়েতটিইংগিত করা যায় : হযরত মোহাম্মাদ (সা.) বলেছেন : তোমাদেরকে সুসংবাদ দিচ্ছি যখনমানুষেরা বিশৃংখলা, গোলাযোগ ও মতবিরোধের মধ্যে পড়বে তখন আমার উম্মাতের মধ্যে মাহদী(আ.) আবির্ভাব করবে, সে পৃথিবীকে আদালত ও সমকক্ষতার সাথে ভরে তুলবে, ঠিক যেরুপেঅন্যায় ও অত্যাচারে পরিপূর্ণ হয়েছিল। ইবনে হানবালের আল মুসনাদ, খন্ড-৩, পৃ.-৩৭।
ইমাম বাকের (আ.)-এরথেকেও বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম (আ.) বলেছেন: আমার পিতা তার পিতার কাছ থেকে ও সে তারপিতাদের কাছ থেকে এবং এরুপে হযরত মোহাম্মাদ (সা.) কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন : আমারপরইমামগন বার জন হবে, নয় জন ইমাম হোসাইন (আ.)-এর বংশ থেকে এবং নবম ইমাম অর্থাৎসর্বশেষ ইমাম মাহদী (আ.)। সে শেষজামানাই আবির্ভাব করে জমিনেআদালতের প্রতিষ্ঠা করবেযা পূর্বে অত্যাচার ও জুলুমে পরিপূর্ণ হয়েছিল। আল্লামা মাজলিসি- বিহারুল আনোয়ার, খন্ড-৩৬, পৃ.-২২৭-৩৫১।
ইমাম মাহদী (আ.)-এরন্যায়পরায়নতা সম্প্রসারণের বিষয়ের উপর রেওয়ায়েতসমূহের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়াহয়েছে। রেওয়ায়েতে ইমাম মাহদী (আ.)-এর ন্যায়পরানতার বিস্তিৃতির বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টিএবং ঐ বিষয়ের প্রতি অনেক রেওয়ায়েত থাকাটাই ইমাম মাহদী (আ.)-এর হুকুমাতের প্রমাণস্বরুপ। এক্ষেত্রে যে সমস্ত গবেষণা ও পর্যালোচনাগুলি ইমাম মাহদী (আ.)-এর ইনকিলাব(বিপ্লব) নিয়ে সংগ্রহ করা হবে,সেগুলিতে উক্ত বিষয়ের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য করা আবশ্যকএবং তদরুপ ইমাম মাহদী (আ.)-এর আদালত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দিকগুলির প্রতি বিশেষভাবেলক্ষ্য রাখতে হবে।
ইমাম মাহদী (আ.)-এর আদালতও ন্যায়পরায়নাতাকে দুই দিক থেকে পর্যালোচনা করা যেতে পারে, একটি আদালতের মূল উপাদানও স্তম্ভগুলির দৃষ্টি দিয়ে আর অপরটি আদালতের বিস্তৃতি ও ব্যাপকতার দৃষ্টি দিয়ে।যদিও বা প্রত্যেকটি দৃষ্টি থেকে পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা তার উপযুক্ত স্থানেই সম্ভবতথাপিও আমাদের এই সংক্ষিপ্ত বক্তব্যতে যথাযথভাবে এবং সংক্ষিপ্তাকারে দুই দিক থেকেইবিবেচনা করার চেষ্টা করব।
মাহদীইজমের মূল উপাদান ওস্তম্ভগুলি : প্রত্যেক সমাজেই আদালত প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন স্তম্ভ ও উপাদানেরপ্রয়োজন যা না থাকলে তার অস্থায়িত্বের কারণ হয়ে দাড়ায়। সমাজে আদালত গঠিত হওয়ারগুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলি নিম্নরুপ :
১. ন্যায়বিচারক ২. নীতিবানপ্রতিনিধি৩. ন্যায়সঙ্গত আইন ও৪. ন্যায়সঙ্গত ব্যাবস্থা।
সূত্রঃ ইন্টারনেট
 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন