সত্য যে কারণে প্রকাশ পায়নি ও পাচ্ছে না

যেহেতু বনি উমাইয়্যা ও বনিআব্বাসের খেলাফতকালে খলিফারা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন সব কাজ করেছিল যাতে করে প্রকৃত ইসলামথেকে মানুষ দুরে সরে যায় এবং মানুষের মাঝে প্রকৃত ইসলামের প্রচার নাহয়।

 সত্য যে কারণে প্রকাশ পায়নি ও পাচ্ছে না
যেহেতু বনি উমাইয়্যা ও বনিআব্বাসের খেলাফতকালে খলিফারা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন সব কাজ করেছিল যাতে করে প্রকৃত ইসলামথেকে মানুষ দুরে সরে যায় এবং মানুষের মাঝে প্রকৃত ইসলামের প্রচার নাহয়।
আর তাদের ক্ষমতার স্বার্থেপ্রকৃত ইসলামে যখন যেটা পল্টানোর প্রয়োজন হয়েছে তখন সেটা পল্টিয়েছে আবার যখন যেটাসংযুক্ত করার প্রয়োজন হয়েছে তখন সেটা সংযুক্ত করেছে। অর্থাৎ যেভাবে পেরেছে প্রকৃতইসলামকে নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করেছে। জালালুদ্দিন আব্দুর রহমান সূয়ূতি তার নিজগ্রন্থে ওমর বিন আব্দুল আ’যিযের পরে আসা ইয়াযিদ বিন আব্দুল মালিক বিন মারওয়ানেরখেলাফতকাল সম্পর্কে লিখেছেন: সে খেলাফতের আসনে বসে নির্দেশ দিল: ওমর বিন আব্দুলআ’যিযের ন্যায় আচরণ করবে। তার আশ-পাশের চল্লিশজন দরবারী আলেম এ মর্মে ফতোয়া দেয় যে, খলিফাদের কোন হিসেব বা আযাব হয় না! অতপর সে তার খেলাফত চল্লিশদিন পার না করতে ইযালেম-অত্যাচারীর রূপ ধারণ করে। যখন আব্বাসিয় খলিফা মানছুর মালিক ইবনে আনাসকে(মালিকি মাযহাবের ইমাম) ‘মুওয়াত্তা’ নামাক কিতাব লিখতে নির্দেশ দেয় (যাতে করে মানুষতার ফিকাহ্ অনুসরণ করে চলে) তখন সে তাকে এ শর্তও প্রদান করে যে, সে যেন তার কিতাবে আলী ইবনে আবি তালিবের উদ্ধৃতি দিয়ে কোন হাদীস উল্লেখ না করে। সাথে সাথে সাওয়ায বিনমাসউ’দ, সাদায়ীদ বিন ওমর ও ইবনে আব্বাসকেও পরিহার করবে। সুতরাং উল্লিখিত কারণসমূহএবং তাদের মাধ্যমে একের পর এক ইমাম(আ.)-গণেরকারাবন্দী হওয়া, শাহাদাত বরণ করা, নির্বাসীত হওয়া এবং আহলে বাইত(আ.)-এর বিষয়টির বিরুদ্ধাচারণ করায় সুন্নত ওয়ালজামায়া’তের ভাইরা ইমাম মাহদী(আ. তা. ফা. শা.)-এর বিষয়টি ভুলতে বসেছেন। তবে তাদের গ্রন্থসমূহেএখনো পর্যন্ত উল্লিখিত হাদীসসমূহ লিপিবদ্ধ রয়েছে তা কেরামত বা মু’জিযা ব্যতীত অন্যকিছুই নয়, কেননা আল্লাহ্ তাবারাক ওয়া তা’য়ালার ইচ্ছাও এটা যে, তাঁর হুজ্জাত প্রকৃতইসলামের সকল অনুসারীর উপর পূর্ণ হোক।
দেখুন: জালালুদ্দিন আব্দুররহমান সূয়ূতি, তারিখুল খুলাফা, পৃ.-২৪৬। ইমামুস্ সাদিক ওয়াল মাযাহিবিল আরবায়া’, খণ্ড-২, পৃ.-৫৫৫। মুওয়াত্তা গ্রন্থের ভুমিকা, পৃ.-১২।
যেহেতু বর্তমানেপ্রেক্ষাপট পরিবর্তন হতে শুরু করেছে অর্থাৎ ইসলামী বিশেষজ্ঞদের সংখ্যা বাড়তে শুরুকরেছে, আশা করি তারা এই প্রকৃত সত্যকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিবেন এবং এই সত্যেরব্যাপারে নিজের এলাহী দায়িত্বকে পরিপূর্ণ করবেন।
আল্লাহ্ তাবারাক ওয়া তা’য়ালাআমাদের সকলকে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করার লক্ষ্যে ইমাম মাহদী(আ. তা. ফা.শা.)-এর প্রকৃত অনুসারী হওয়ার তৌফিক দান করুন।
সূত্রঃ ইন্টারনেট

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন