আশুরার দিন ও রাতের আমলসমূহ

১০ই মহরম আবা আব্দিল্লাহ হুসাইন (আ.)এর কষ্টের এবং ইমাম (আ.)গণ এবং তাঁদের অনুসারীদের জন্য দুঃখের দিন। আশুরার দিনে সকল পার্থিব কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা, খাদ্য সঞ্চয় না করা উত্তম বরং ইমাম হুসাইন (আ.) এবং তাঁর আহলে বাইত (আ.) এর কষ্টকে স্মরণ করে এমনভাবে শোকানু

আশুরার দিন ও রাতের আমলসমূহ

এস, এ, এ

 

১০ই মহরম রাত্রির আমল:

১০ই মহরমকে আরবী ভাষায় আশুরা বলা হয়। ইক্ববালুল আমাল নামক গ্রন্থে এ রাতে জন্য একাধিক ফযিলতপূর্ণ নামাজ ও দোয়া বর্ণনা করেছেন যেমন: ১০০ রাকাত নামাজ পড়া উত্তম। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ৩ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপভাবে পাঠ করতে হবে। সকল নামাজের শেষে ৭০ বার বলতে হবে:

سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُلِلَّهِ وَلاَاِلهَ اِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ اَكبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ اِلاَّ بِاللَّهِ الْعَلَى‏ العَظيمِ.

অন্যান্য রেওয়ায়েতে الْعَلَى‏ العَظيمِএর পরে এস্তেগফার পাঠ করতে বলা হয়েছে। উক্ত রাতের শেষভাগে ৪ রাকাত নামাজ পাঠ করা উত্তম। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে আয়াতুল কুরসী, সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস প্রত্যেকটি ১০ বার করে পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপভাবে পড়তে হবে। নামাজান্তে ১০০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করা উত্তম।

অন্য এক রেওয়ায়েতের বর্ণনা অনুযায়ী এ রাতে ৪ রাকাত নামাজ পাঠ করা উত্তম। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে সুরা ইখলাস ৫০ বার পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাটিও অনুরূপভাবে পড়তে হবে নামাজটি আমীরুল মুমিনিন (আ.)এর ন্যায় ফযিলতপূর্ণ। নামাজান্তে অসংখ্যবার আল্লাহর যিকির এবং দুরুদ শরীফ পাঠ করা এবং আহলে বাইত (আ.) এর শত্রুদের প্রতি অভিসম্পাত করা উত্তম। এছাড়া রাত্রি জাগরণ করা সম্পর্কে রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে যে, কেউ যদি ১০ই মহরমে রাত্রি জাগরণ করে তাহলে তাকে সমস্ত ফেরেশতাদের এবং ৭০ বছর ইবাদতের সমপরিমাণ সওয়াব দান করা হবে। আর কেউ যদি এ রাতে কারবালায় উপস্থিত থাকে তাহলে সে যেন ইমাম হুসাইন (আ.)এর যিয়ারত পাঠ করে এবং রাত্রি জাগরণ করে তাহলে আল্লাহ তাকে কেয়ামতে ইমাম হুসাইন (আ.)এর রক্তে রন্জিত ও তাঁর সাহাবীদের সাথে উত্তোলন করবেন।

১০ই মহরম দিনের আমল:

১০ই মহরম আবা আব্দিল্লাহ হুসাইন (আ.)এর কষ্টের এবং ইমাম (আ.)গণ এবং তাঁদের অনুসারীদের জন্য দুঃখের দিন। আশুরার দিনে সকল পার্থিব কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা, খাদ্য সঞ্চয় না করা উত্তম বরং ইমাম হুসাইন (আ.) এবং তাঁর আহলে বাইত (আ.) এর কষ্টকে স্মরণ করে এমনভাবে শোকানুষ্ঠানের আয়োজন, ক্রন্দন এবং মাতম করা যেন মনে হয় তার নিজের কেউ মারা গেছে। যিয়ারত-এ আশুরা পাঠ করা, আহলে বাইত (আ.)এর শত্রুদের প্রতি অভিসম্পাত করা এবং মুমিনদের সাথে সাক্ষাতকালে বলতে হবে:

اَعْظَمَ اللَّهُ اُجُورَنا وَاُجورَكُمْ بِمُصابِنا بِالْحُسَينِ عَلَيْهِ أَلسَّلاَمُ  وَجَعَلَنا وَاِيَاكُمْ مِنَ الطّآلِبينَ بِثارِهِ مَعَ وَلِيهِ اِلاَّمَامِ الْمَهْدِي‏ مِنْ آلِ مُحَمَّدٍ عَلَيْهِمُ أَلسَّلاَمُ .

এদিনে একে অপরের কাছে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনাগুলো বর্ণনা করা এবং ক্রন্দন করা। কেননা যখন হজরত মূসা (আ.) হজরত খিযির (আ.)এর সাথে সাক্ষাত করেন তখন তিনি হজরত মূসা (আ.)এর কাছে কারবালায় আহলে বাইত (আ.)এর মর্মান্তিক ঘটনা বর্ণনা করেন এবং উভয়েই ক্রন্দন করেন।

ইবনে আব্বাস (রা.)বর্ণনা করেন আমি যিক্বার নামক স্থানে ইমাম আলী (আ.)এর সমীপে উপস্থিত ছিলাম। তখন তিনি রাসুল (সা.) যা বলেছিলেন এবং তিনি লিখেছিলেন এমন একটি পুস্তক বাহির করেন যাতে লিখা ছিল ইমাম হুসাইন (আ.) কোথায় কিভাবে শহীদ হবেন, কারা তাঁকে শহীদ করবে এবং কারা তাঁকে সাহায্যে করবে এবং কারা তাঁর সাথে শাহাদত বরণ করবেন। অতঃপর ইমাম আলী (আ.) এমনভাবে ক্রন্দন করেন যে আমিও তাঁর সাথে কাঁদতে থাকি। ফকির বলেন: ইমাম হুসাইন (আ.)এর শাহাদতের ঘটনা সম্পর্কে অবগতির জন্য শাহাদতের পুস্তগুলো পাঠ করলে এ সম্পর্কে আরো বেশী জানতে পারা যাবে।

কোন ব্যাক্তি যদি আশুরার দিন কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাজারে উপস্থিত থাকে তাহলে কারবালার শহীদদের পিপাসাকে স্মরণ করে মুসলমানদেরকে পানি এ চিন্তা অন্তরে নিয়ে পান করানো যেন সে কারবালার সৈন্যদের পানি পান করাচ্ছে এবং ইমাম হুসাইন (আ.)এর সৈন্য দলের মধ্যে অবস্থান করছে।

এ দিনে ১০০০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করা উত্তম। কেউ তা পাঠ করলে আল্লাহ তার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে দেখবেন।

সৈয়দ ইবনে তাউস (রহ.)আশুরার দিন একটি দোয়া বর্ণনা করেছেন যা দোয়া- এ আশারাতের ন্যায় বরং অনেক রেওয়ায়েতের বর্ণনা অনুযায়ি তা হচ্ছে দোয়া-এ আশারাত। শেখ (রহ.) আব্দুল্লাহ বিন সেনান হতে এবং তিনি ইমাম জাফর সাদিক্ব (আ.) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি আশুরার দিন চাশতের সময় চার রাকাত নামাজ ও দোয়া পাঠ করতে বলেছেন। কেউ যদি তা সম্পাদন করতে চায় তাহলে সে যেন যাদুল মাআদ নামক গ্রন্থটি পাঠ করে।

আল্লামা মাজলিসি (রহ.) বলেছেন: আহলে বাইত (আ.)এর অনুসারীরা যেন রোজার নিয়ত ব্যাতিত এদিনে উপোস থাকে এবং দিনে শেষভাগে ইফতার করে। উক্ত দিনে মজাদার ও সুস্বাদু না খাওয়া বরং সাধারণ খাদ্য খাওয়া। পরিষ্কার কাপড় পরিধান করা, জামার বোতামগুলোকে খুলে রাখা, জামার হাতাগুলোকে গুটিয়ে রাখা এবং দুঃখভারাক্রান্ত মানুষের ন্যায় থাকা। আল্লামা মাজলিসি (রহ.) তাঁর যাদুল মাআদ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ৯ ও ১০ মহরম রোজা না রাখা কেননা বণি উমাইয়া এ দুদিনে ইমাম হুসাইন (আ.)কে হত্যা করার নিজেদের জন্য বরকত ও কটাক্ষ স্বরূপ আনন্দিত হয়ে রোজা রেখেছিল। তারা রাসুল (সা.)এর নাম দিয়ে এ দুদিনে রোজা রাখার ফযিলত সংক্রান্ত অনেক হাদীস জাল করেছে। অপর দিকে ইমাম (আ.)গণ এদিগুলোতে বিশেষত আশুরার দিন রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। বণী উমাইয়ারা আশুরার দিন খাদ্য গুদামজাত করাকে নিজেদের জন্য বরকতময় বলে মনে করতো। আর এ কারণে ইমাম রেযা (আ.) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, কেউ যদি আশুরার দিন পার্থিব চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে নিজেকে বিরত রাখে আল্লাহ তার ইহকাল ও পরকালের চাহিদাকে পূর্ণ করবেন। আর কেউ যদি এ দিনে দুঃখভারাক্রান্ত অবস্থায় থাকে এবং ক্রন্দন করে তাহলে আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাকে প্রফুল্ল ও আনন্দিত অবস্থায় রাখবেন এবং তার চোখ বেহেশতে আহলে বাইত (আ.) এর অবস্থান দেখে নূরান্বিত হয়ে উঠবে। অপরদিকে কেউ যদি আশুরার দিনকে বরকতময় মনে করে এবং ঘরে কিছু জমা বা গুদামজাত করে তাহলে আল্লাহ তার উক্ত জমাকৃত জিনিষকে তার জন্য অমঙ্গলময় করে দিবেন এবং তাকে কেয়ামতে এজিদ, ওবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ, উমর ইবনে সাআদ (লা.)এর সাথে উত্তোলন করবেন। এজন্য আশুরার দিন পার্থিব কাজে নিজেকে মগ্ন না রাখা উত্তম। বরং ক্রন্দন, আহাজারি এবং মাতম করা পরিবার পরিজনকে ইমাম হুসাইন (আ.)এর শোকে শোকাহত হওয়ার নির্দেশ দেয়া খাদ্য জমা না করা এবং আসরের সময় পর্যন্ত না খেয়ে থাকা।

উক্ত দিনে ১০০০ বার আহলে বাইত (আ.)দের শত্রুদের প্রতি অভিসম্পাত করা উত্তম:

اَللَّهُمَّ الْعَنْ قَتَلَةَ الْحُسَينِ عَلَيهِ السَّلاَم.

লেখক বলেছেন: আশুরার ফযিলত সংক্রান্ত যে হাদীসগুলো রাসুল (সা.)এর নামে তৈরী করা হয়েছে তা হচ্ছে জাল ও মিথ্যা। সাহেবুশ শেফাউস সাদর যিয়ারত-এ আশুরার এ অংশে উল্লেখ করেছেন اللَّهُمَّ إِنَّ هَذَا يَوْمٌ تَبَرَّكَتْ بِهِ بَنُو أُمَيَّة এবং এ সম্পর্কে তিনি একটি হাদীস থেকে বিষয়টিকে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করেছেন। যে কারণে বণি উমাইয়ারা এই অশুভ দিনটিকে বরকতময় বলে মনে করে তা নিন্মরূপ:

১. বণি উমাইয়ারা আশুরার দিনে সাবা বছরের জন্য খাদ্য গুদামজাত করা মুস্তাহাব এবং তা নিজেদের জন্য রুজি বৃদ্ধি এবং বিলাসিতার কারণ বলে মনে করতো। যদিও আহলে বাইত (আ.)গণ তাদেরে এ ধারণাকে ভ্রান্ত এবং তা করতে নিষেধ করেছেন।

২. বণি উমাইয়ারা আশুরার দিনে ঈদ উৎযাপন করতো। তারা তাদের পরিবার পরিজনদের জন্য নতুন পোষাক, খাদ্য, একে অপরের সাথে সাক্ষাত, কোলাকুলি করা, সাজসজ্জা করা ইত্যাদি বিষয়গুলো তাদের অনুসারীরে মধ্যে ধিরেধিরে প্রচলিত হয়ে যায়।

৩. বণি উমাইয়ারা আজকের দিনে রোজা সম্পর্কে অনেক হাদীস বর্ণনা করেছে।

৪. তারা আশুরার দিনে নিজেদের চাহিদা পূরণের জন্য দোয়া করাকে মুস্তাহাব বলে মনে করে এবং রোজার ফযিলত সম্পর্কে তারা অনেক প্রশংসা করেছে, দোয়া লিখেছে এবং তা প্রচার করেছে যেন সাধারণ লোকজন প্রকৃত সত্য থেকে অজ্ঞ থেকে যায়। সুতরাং তারা বিভিন্ন মসজিদের মেম্বারে, শহরে যে বক্তৃতা দেয় তাতে বর্ণনা করে যে, আশুরা পূর্ববর্তি সকল নবীদের জন্য ছিল মর্দাপূর্ণ ও মাধ্যম স্বরূপ যেমন: নমরূদের নির্দেশে প্রজ্বলিত আগুন নিভে যায়, হজরত নূহ (আ.) এর নৌকা যুদি পাহাড়ে থামে, ফেরাউনের সৈন্যরা নীল নদে ডুবে যায়, হজরত ঈসা (আ.) ইয়াহুদিদের চক্রান্ত থেকে পরিত্রাণ পান এবং তাদের বর্ণনা অনুযায়ি উল্লেখিত সকল ঘটনা এ দিনেই সংঘটিত হয়। শেখ সাদুক্ব (রহ.) জাবালে মাক্কি হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন: আমি মিসামে তাম্মার (রা.)কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহর শপথ! মুসলিম উম্মাহ আশুরার দিন রাসুল (সা.)এর প্রাণ প্রিয় দৌহিত্রকে শহীদ করবে এবং আল্লাহর শত্রুরা সে দিনকে নিজেদের জন্য বরকতময় বলে মনে করবে। কথাটি বলার পরে মিসামে তাম্মার (রা.) কাঁদতে কাঁদতে বলেন: হে জনতা! তারা এমন এক মনগড়া হাদীস জাল করবে যাতে তারা উল্লেখ করবে যে, আজকের দিনেই আল্লাহ তায়ালা হজরত আদম (আ.)এর তওবাকে কবুল করেছিলেন। অথচ প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে যে, আল্লাহ তাঁর তওবাকে জিলহজ্ব মাসে কবুল করেছিলেন এবং তারা বলবে যে আজকেই হজরত ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান। কিন্তু আল্লাহ তাকে জিলক্বদ মাসে পরিত্রাণ দান করেন। তারা মনে বলবে যে, আজকের দিনে হজরত নূহ (আ.)এর নৌকা জুদি পাহাড়ে থামে। কিন্তু সত্য হলো যে, নৌকাটি ১৮ জিলহজ্ব তারিখে থেমেছিল। তারা প্রচার করবে যে, আজকের দিনেই হজরত মূসা (আ.)এর জন্য নীল নদের পানি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। কিন্তু আসলে ঘটনাটি ঘটেছিল রবিউল আওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল। মিসামে তাম্মারের কথা থেকে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয় তা হচ্ছে নবুওয়াত ও ইমামতের একটি নিদর্শন স্বরূপ এবং শিয়া মুসলমানদের হক্ব পথে থাকার একটি দলিল স্বরূপ। কেননা হাদীসটিতে এমন কিছু লিখা রয়েছে যা পূর্বে বর্ণিত হয়েছিল এবং যা ঘটছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে, ঘটনাগুলো জাল হওয়ার পরেও লোকজন তা মিথ্যা ধারণা উপরে ভিত্তি করে তা মেনে নিয়েছে এবং দোয়াও রচনা করেছে যা বিভিন্ন গ্রন্থ সমূহে বর্ণিত হয়েছে যে সত্য সম্পর্কে সে যুগের লোকেরা অজ্ঞ ছিল। সে দোয়াগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া হয় যা পাঠ করা বিদআত ও হারাম। ঐ দোয়াসমূহের মধ্যে নিন্মোক্ত দোয়া হলো একটি: 

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ سُبْحَانَ اللَّهِ مِلْ ءَ الْمِيزَانِ وَ مُنْتَهَى الْعِلْمِ وَ مَبْلَغَ الرِّضَا وَ زِنَةَ الْعَرْشِ.

কয়েকটি লাইন পরে বর্ণিত হয়েছে যে, ১০ বার  দুরুদ শরীফ পাঠ করার পরে বলতে হবে:

يَا قَابِلَ تَوْبَةِ آدَمَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ يَا رَافِعَ إِدْرِيسَ إِلَى السَّمَاءِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ يَا مُسَكِّنَ سَفِينَةِ نُوحٍ عَلَى الْجُودِيِّ يَوْمَ عَاشُورَاءَ يَا غِيَاثَ إِبْرَاهِيمَ مِنَ النَّارِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ .

এতে কোন সন্দেহ নেই যে,এ দোয়াটি মদীনার কোন নাসেবি বা মোসকেতের কোন খারেজি তা বর্ণনা করেছে অথবা তাদের কোন মতাদর্শী এ দোয়াটি বর্ণনা করেছেন। আর এভাবেই বণি উমাইয়ার অত্যাচারকে তারা শেষ পর্যায় পর্যন্ত পৌছায়। এটাই ছিল শেফাউস সুদুর নামক গ্রন্থের সারসংক্ষেপ যা এখানেই শেষ হয়ে যায়। যাইহোক আমাদের উচিত কারবালাতে ইমাম হুসাইন (আ.) এবং তাঁর বাচ্চা ও নারীদের উপরে এজিদ বাহিনীর কৃত অত্যাচারের কথা আমাদের স্মরণ করা উচিত যে তাদের অবস্থা তখন কেমন ছিল? তাঁরা এজিদ বাহিনীর হাতে বন্দি হয়ে ক্রন্দন করছিলেন। আহলে বাইত (আ.)এর উপরে এমনভাবে অত্যাচার করা হয় যা কোন মানুষের উপরে করা হয়নি।

আশুরার দিনের শেষভাগে দাঁড়িয়ে রাসুল (সা.),হজরত আলী, ফাতিমা, ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন (আ.)এর সকল সন্তানদেরকে সমবেদনা জানানো এবং তাঁদের প্রতি সালাম প্রেরণ করা। ক্রন্দনরত অবস্থায় তাদের প্রতি সালাম নিবেদন করা এবং নিন্মোক্ত যিয়ারতটি পাঠ করা:

أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا وَارِثَ آدَمَ صَفْوَةِ اللَّهِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا وَارِثَ نُوحٍ نَبِيِّ اللَّهِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا وَارِثَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ اللَّهِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا وَارِثَ مُوسَى كَلِيمِ اللَّهِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا وَارِثَ عِيسَى رُوحِ اللَّهِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا وَارِثَ مُحَمَّدٍ حَبِيبِ اللَّهِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا وَارِثَ عَلِيٍّ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ وَلِيِّ اللَّهِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا وَارِثَ الْحَسَنِ الشَّهِيدِ سِبْطِ رَسُولِ اللَّهِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا ابْنَ رَسُولِ اللَّهِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا ابْنَ الْبَشِيرِ النَّذِيرِ وَ ابْنَ سَيِّدِ الْوَصِيِّينَ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا ابْنَ فَاطِمَةَ سَيِّدَةِ نِسَاءِ الْعَالَمِينَ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا خِيَرَةَ اللَّهِ وَ ابْنَ خِيَرَتِهِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا ثَارَ اللَّهِ وَ ابْنَ ثَارِهِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ أَيُّهَا الْوِتْرُ الْمَوْتُورُ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ أَيُّهَا الْإِمَامُ الْهَادِي الزَّكِيُّ وَ عَلَى أَرْوَاحٍ حَلَّتْ بِفِنَائِكَ وَ أَقَامَتْ فِي جِوَارِكَ وَ وَفَدَتْ مَعَ زُوَّارِكَ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ مِنِّي مَا بَقِيتُ وَ بَقِيَ اللَّيْلُ وَ النَّهَارُ فَلَقَدْ عَظُمَتْ بِكَ الرَّزِيَّةُ وَ جَلَّ الْمُصَابُ فِي الْمُؤْمِنِينَ وَ الْمُسْلِمِينَ وَ فِي أَهْلِ السَّمَاوَاتِ أَجْمَعِينَ وَ فِي سُكَّانِ الْأَرَضِينَ فَإِنَّا لِلَّهِ وَ إِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ وَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَ بَرَكَاتُهُ وَ تَحِيَّاتُهُ عَلَيْكَ وَ عَلَى آبَائِكَ الطَّاهِرِينَ الطَّيِّبِينَ الْمُنْتَجَبِينَ وَ عَلَى ذَرَارِيِّهِمُ الْهُدَاةِ الْمَهْدِيِّينَ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا مَوْلايَ وَ عَلَيْهِمْ وَ عَلَى رُوحِكَ وَ عَلَى أَرْوَاحِهِمْ وَ عَلَى تُرْبَتِكَ وَ عَلَى تُرْبَتِهِمْ اللَّهُمَّ لَقِّهِمْ رَحْمَةً وَ رِضْوَانا وَ رَوْحا وَ رَيْحَانا أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا مَوْلايَ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ يَا ابْنَ خَاتَمِ النَّبِيِّينَ، وَ يَا ابْنَ سَيِّدِ الْوَصِيِّينَ وَ يَا ابْنَ سَيِّدَةِ نِسَاءِ الْعَالَمِينَ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا شَهِيدُ يَا ابْنَ الشَّهِيدِ يَا أَخَ الشَّهِيدِ يَا أَبَا الشُّهَدَاءِ اللَّهُمَّ بَلِّغْهُ عَنِّي فِي هَذِهِ السَّاعَةِ وَ فِي هَذَا الْيَوْمِ وَ فِي هَذَا الْوَقْتِ وَ فِي كُلِّ وَقْتٍ تَحِيَّةً كَثِيرَةً وَ سَلاما سَلامُ اللَّهِ عَلَيْكَ وَ رَحْمَةُ اللَّهِ وَ بَرَكَاتُهُ يَا ابْنَ سَيِّدِ الْعَالَمِينَ وَ عَلَى الْمُسْتَشْهَدِينَ مَعَكَ سَلاماً مُتَّصِلاً مَا اتَّصَلَ اللَّيْلُ وَ النَّهَارُ أَلسَّلاَمُ  عَلَى الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ الشَّهِيدِ أَلسَّلاَمُ  عَلَى عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ الشَّهِيدِ أَلسَّلاَمُ  عَلَى الْعَبَّاسِ بْنِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ الشَّهِيدِ أَلسَّلاَمُ  عَلَى الشُّهَدَاءِ مِنْ وُلْدِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ أَلسَّلاَمُ  عَلَى الشُّهَدَاءِ مِنْ وُلْدِ الْحَسَنِ أَلسَّلاَمُ  عَلَى الشُّهَدَاءِ مِنْ وُلْدِ الْحُسَيْنِ أَلسَّلاَمُ  عَلَى الشُّهَدَاءِ مِنْ وُلْدِ جَعْفَرٍ وَ عَقِيلٍ أَلسَّلاَمُ  عَلَى كُلِّ مُسْتَشْهَدٍ مَعَهُمْ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ. اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ بَلِّغْهُمْ عَنِّي تَحِيَّةً كَثِيرَةً وَ سَلاما أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَحْسَنَ اللَّهُ لَكَ الْعَزَاءَ فِي وَلَدِكَ الْحُسَيْنِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكِ يَا فَاطِمَةُ أَحْسَنَ اللَّهُ لَكِ الْعَزَاءَ فِي وَلَدِكِ الْحُسَيْنِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَحْسَنَ اللَّهُ لَكَ الْعَزَاءَ فِي وَلَدِكَ الْحُسَيْنِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ الْحَسَنَ أَحْسَنَ اللَّهُ لَكَ الْعَزَاءَ فِي أَخِيكَ الْحُسَيْنِ يَا مَوْلايَ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ أَنَا ضَيْفُ اللَّهِ وَ ضَيْفُكَ وَ جَارُ اللَّهِ وَ جَارُكَ وَ لِكُلِّ ضَيْفٍ وَ جَارٍ قِرًى وَ قِرَايَ فِي هَذَا الْوَقْتِ أَنْ تَسْأَلَ اللَّهَ سُبْحَانَهُ وَ تَعَالَى أَنْ يَرْزُقَنِي فَكَاكَ رَقَبَتِي مِنَ النَّارِ إِنَّهُ سَمِيعُ الدُّعَاءِ قَرِيبٌ مُجِيبٌ .

আশুরার দিনে যিয়ারত-এ আশুরা পাঠ করা উত্তম।

যিয়ারত-এ আশুরা

أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا ابْنَ رَسُولِ اللَّهِ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا ابْنَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ وَ ابْنَ سَيِّدِ الْوَصِيِّينَ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا ابْنَ فَاطِمَةَ الزَّهْرَاءِ سَيِّدَةِ نِسَاءِ الْعَالَمِينَ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا ثَارَ اللَّهِ وَ ابْنَ ثَارِهِ وَ الْوِتْرَ الْمَوْتُورَ أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ وَ عَلَى الْأَرْوَاحِ الَّتِي حَلَّتْ بِفِنَائِكَ وَ أَنَاخَتْ بِرَحْلِكَ عَلَيْكُمْ مِنِّي جَمِيعاً سَلَامُ اللَّهِ أَبَداً مَا بَقِيتُ وَ بَقِيَ اللَّيْلُ وَ النَّهَارُ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ لَقَدْ عَظُمَتِ الرَّزِيَّةُ وَ جَلَّتِ الْمُصِيبَةُ بِكَ عَلَيْنَا وَ عَلَى جَمِيعِ أَهْلِ الْإِسْلَامِ وَ جَلَّتْ وَ عَظُمَتْ مُصِيبَتُكَ فِي السَّمَاوَاتِ عَلَى جَمِيعِ أَهْلِ السَّمَاوَاتِ فَلَعَنَ اللَّهُ أُمَّةً أَسَّسَتْ أَسَاسَ الظُّلْمِ وَ الْجَوْرِ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ وَ لَعَنَ اللَّهُ أُمَّةً دَفَعَتْكُمْ عَنْ مَقَامِكُمْ وَ أَزَالَتْكُمْ عَنْ مَرَاتِبِكُمُ الَّتِي رَتَّبَكُمُ اللَّهُ فِيهَا وَ لَعَنَ اللَّهُ أُمَّةً قَتَلَتْكُمْ وَ لَعَنَ اللَّهُ الْمُمَهِّدِينَ لَهُمْ بِالتَّمْكِينِ مِنْ قِتَالِكُمْ بَرِئْتُ إِلَى اللَّهِ وَ إِلَيْكُمْ مِنْهُمْ وَ مِنْ أَشْيَاعِهِمْ وَ أَتْبَاعِهِمْ وَ أَوْلِيَائِهِمْ‏ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ إِنِّي سِلْمٌ لِمَنْ سَالَمَكُمْ وَ حَرْبٌ لِمَنْ حَارَبَكُمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَ لَعَنَ اللَّهُ آلَ زِيَادٍ وَ آلَ مَرْوَانَ وَ لَعَنَ اللَّهُ بَنِي أُمَيَّةَ قَاطِبَةً وَ لَعَنَ اللَّهُ ابْنَ مَرْجَانَةَ وَ لَعَنَ اللَّهُ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ وَ لَعَنَ اللَّهُ شِمْراً وَ لَعَنَ اللَّهُ أُمَّةً أَسْرَجَتْ وَ أَلْجَمَتْ وَ تَنَقَّبَتْ وَ تَهَيَّأَتْ لِقِتَالِكَ بِأَبِي أَنْتَ وَ أُمِّي لَقَدْ عَظُمَ مُصَابِي بِكَ فَأَسْالُ اللَّهَ الَّذِي أَكْرَمَ مَقَامَكَ وَ أَكْرَمَنِي بِكَ أَنْ يَرْزُقَنِي طَلَبَ ثَارِكَ مَعَ إِمَامٍ مَنْصُورٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ آلِهِ اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي عِنْدَكَ وَجِيهاً بِالْحُسَيْنِ عَلَيْهِ أَلسَّلاَمُ  فِي الدُّنْيَا وَ الْآخِرَةِ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ إِنِّي أَتَقَرَّبُ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى وَ إِلَى رَسُولِهِ وَ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ وَ إِلَى فَاطِمَةَ وَ إِلَى الْحَسَنِ وَ إِلَيْكَ بِمُوَالاتِكَ وَ بِالْبَرَاءَةِ مِمَّنْ أَسَّسَ أَسَاسَ الظُّلْمِ وَ الْجَوْرِ عَلَيْكُمْ وَ أَبْرَأُ إِلَى اللَّهِ وَ إِلَى رَسُولِهِ مِمَّنْ أَسَّسَ أَسَاسَ ذَلِكَ وَ بَنَى عَلَيْهِ بُنْيَانَهُ وَ جَرَى‏ فِي ظُلمِهِ وَ جَوْرِهِ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ وَ عَلَى أَشْيَاعِكُمْ بَرِئْتُ إِلَى اللَّهِ وَ إِلَيْكُمْ مِنْهُمْ وَ أَتَقَرَّبُ إِلَى اللَّهِ وَ إِلَى رَسُولِهِ ثُمَّ إِلَيْكُمْ بِمُوَالاتِكُمْ وَ مُوَالاةِ وَلِيِّكُمْ وَ بِالْبَرَاءَةِ مِنْ أَعْدَائِكُمْ وَ النَّاصِبِينَ لَكُمُ الْحَرْبَ وَ بِالْبَرَاءَةِ مِنْ أَشْيَاعِهِمْ وَ أَتْبَاعِهِمْ إِنِّي سِلْمٌ لِمَنْ سَالَمَكُمْ وَ حَرْبٌ لِمَنْ حَارَبَكُمْ وَ وَلِيٌّ لِمَنْ وَالاكُمْ وَ عَدُوٌّ لِمَنْ عَادَاكُمْ فَأَسْالُ اللَّهَ الَّذِي أَكْرَمَنِي بِمَعْرِفَتِكُمْ وَ مَعْرِفَةِ أَوْلِيَائِكُمْ وَ رَزَقَنِي الْبَرَاءَةَ مِنْ أَعْدَائِكُمْ أَنْ يَجْعَلَنِي مَعَكُمْ فِي الدُّنْيَا وَ الْآخِرَةِ وَ أَنْ يُثَبِّتَ لِي عِنْدَكُمْ قَدَمَ صِدْقٍ فِي الدُّنْيَا وَ الْآخِرَةِ وَ أَسْأَلُهُ أَنْ يُبَلِّغَنِي الْمَقَامَ الْمَحْمُودَ لَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ وَ أَنْ يَرْزُقَنِي طَلَبَ ثَارِي مَعَ إِمَامٍ مَهْدِيٍّ هُدًى ظَاهِرٍ نَاطِقٍ بِالْحَقِّ مِنْكُمْ وَ أَسْأَلُ اللَّهَ بِحَقِّكُمْ وَ بِالشَّأْنِ الَّذِي لَكُمْ عِنْدَهُ أَنْ يُعْطِيَنِي بِمُصَابِي بِكُمْ أَفْضَلَ مَا يُعْطِي مُصَاباً بِمُصِيبَتِهِ مُصِيبَةً مَا أَعْظَمَهَا وَ أَعْظَمَ رَزِيَّتَهَا فِي الْإِسْلَامِ وَ فِي جَمِيعِ أَهْلِ السَّمَاوَاتِ وَ الْأَرْضِ اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي فِي مَقَامِي هَذَا مِمَّنْ تَنَالُهُ مِنْكَ صَلَوَاتٌ وَ رَحْمَةٌ وَ مَغْفِرَةٌ اللَّهُمَّ اجْعَلْ مَحْيَايَ مَحْيَا مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ مَمَاتِي مَمَاتَ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ اللَّهُمَّ إِنَّ هَذَا يَوْمٌ تَبَرَّكَتْ بِهِ بَنُو أُمَيَّةَ وَ ابْنُ آكِلَةِ الْأَكْبَادِ اللَّعِينُ ابْنُ اللَّعِينِ عَلَى لِسَانِكَ وَ لِسَانِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ آلِهِ فِي كُلِّ مَوْطِنٍ وَ مَوْقِفٍ وَقَفَ فِيهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ آلِهِ اللَّهُمَّ الْعَنْ أَبَا سُفْيَانَ وَ مُعَاوِيَةَ (بْنَ أَبِي سُفْيَانَ) خ وَ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ (وَ مَرْوَانَ وَ آلَ مَرْوَانَ) خ عَلَيْهِمْ مِنْكَ اللَّعْنَةُ أَبَدَ الْآبِدِينَ وَ هَذَا يَوْمٌ فَرِحَتْ بِهِ آلُ زِيَادٍ وَ آلُ مَرْوَانَ بِقَتْلِهِمُ الْحُسَيْنَ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِ اللَّهُمَّ ضَاعِفْ عَلَيْهِمُ اللَّعْنَ مِنْكَ وَ الْعَذَابَ (الْأَلِيمَ) اللَّهُمَّ إِنِّي أَتَقَرَّبُ إِلَيْكَ فِي هَذَا الْيَوْمِ وَ فِي مَوْقِفِي هَذَا وَ أَيَّامِ حَيَاتِي بِالْبَرَاءَةِ مِنْهُمْ وَ اللَّعْنَةِ عَلَيْهِمْ وَ بِالْمُوَالاةِ لِنَبِيِّكَ وَ آلِ نَبِيِّكَ عَلَيْهِمُ أَلسَّلاَمُ 

অর্থ: হে আবা আব্দুল্লাহ!  আপনার প্রতি সালাম, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)র সন্তান! আপনার প্রতি সালাম, হে আমিরুল মুমিনীনের সন্তান এবং  মুসলমানদের অভিভাবক বা ওয়াসিকুলের নেতার সন্তান! আপনার প্রতি সালাম, হে বিশ্বের নারীকুল নেত্রীর সন্তান! আপনার প্রতি সালাম, হে আল্লাহর নির্বাচিত (আল্লাহর সব কল্যাণকর সৃষ্টির মধ্যে সর্বোত্তম হিসেবে) ও নির্বাচিত ব্যক্তির সন্তান! আপনার প্রতি সালাম। আপনার প্রতি সালাম যিনি আল্লাহর খুন তথা আল্লাহর(ধর্মের) জন্য বীরত্বপূর্ণভাবে যুদ্ধ করে শহীদ বা কুরবানি হয়েছেন এবং যিনি আল্লাহর জন্য কুরবানি হওয়া ব্যক্তির সন্তান এবং আপনাকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল ও বিদ্বেষ নিয়ে আপনার ওপর হামলা করা হয়েছিল।(আপনি ঐ মহান ব্যক্তি,যার নিজের ও পিতার রক্তের প্রতিশোধ এবং আপনার প্রতি অবিচার ও জুলুমের বিচার স্বয়ং প্রভুই গ্রহণ করবেন)

আপনার প্রতি সালাম এবং তাঁদের পবিত্র আত্মার প্রতি যাঁদের আত্মা আপনার পবিত্র আস্তানায় সমবেত হয়েছে ও আপনার সহযোগী ও সহগামী হয়েছে। আপনাদের সকলের (ইমাম ও তাঁর সাথীবর্গ) উপর অনন্তকাল যাবত আমার দরুদ ও সালাম। আপনাদের উপর আল্লাহর সালাম বর্ষিত হোক যতদিন আমি আছি, ও এই বিশ্বে দিবা-নিশির আবর্তন ঘটে। (আমি আপনাদের সবার জন্য চির-প্রশান্তি ও সুখ কামনা করছি আল্লাহর কাছে। হে আবা আব্দুল্লাহ! আল্লাহর দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আপনার ওপর।

আমাদের ও প্রত্যেক খাঁটি মুসলমানের জন্য সেসব ঘটনা ছিল হৃদয়-বিদারক ও অসহনীয় যন্ত্রণাদায়ক ছিল যা আপনারা মোকাবেলা করেছেন।  আপনাদের ওপর যেসব জুলুম ও অপরাধ চালানো হয়েছে আসমানে অবস্থানকারী সকলের জন্য তা ছিল চরম বেদনাময় ও মর্মস্পর্শী । তাই আল্লাহর অভিশাপ তাদের ওপর যারা আপনাদের এবং রাসুল (সঃ) -এর আহলে বাইতের প্রতি অত্যাচারের ভিত্তি রচনা করেছে।

 এ ছাড়াও আল্লাহর অভিশাপ তাদের ওপর যারা আপনাদের যথার্থ অবস্থান[খেলাফত] গ্রহণে বাধা দিয়েছিল এবং প্রভু আপনাদের যে বিশেষ পদ দান করেছিলেন তা ছিনিয়ে নিয়েছে। যারা আপনাদের শহীদ করেছে ও এ কাজে উস্কানী দিয়েছে তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক।

হে আল্লাহ! আমি আপনার দিকে মুখ ফিরাচ্ছি এবং মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি তাদের দিক থেকে যারা  আপনাদের হত্যায় দুর্নীতিপরায়ণ ও অত্যাচারী সরকারের প্রতি সম্মতি ও সমর্থন দিয়েছে । হে আবা আব্দুল্লাহ আমি ঐ সকল অত্যাচারী ও তাদের অনুসারী,অনুগামী ও সাথীদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে প্রভু ও আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

হে আবা আব্দুল্লাহ! যারা আপনার সাথে বন্ধুত্ব করে আমি কেয়ামত পর্যন্ত তাদের বন্ধু আর যারা আপনার সাথে যুদ্ধে (শত্রুতা) লিপ্ত হয়,আমি কেয়ামত পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ করি। আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক জিয়াদের ও মারওয়ান বিন হিকামের বংশধরদের উপর। আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক বনি উমাইয়াদের উপর- চরম অভিশাপ, মার্জানার পুত্রের উপর প্রভুর অভিশাপ বর্ষিত হোক। ওমর সা'দের উপর প্রভুর অভিশাপ বর্ষিত হোক। শীমার জিল জৌশানের উপর বর্ষিত হোক আল্লাহর অভিশাপ। ওদের সবার উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক। যারা ইমাম হুসাইন (আ.) -এর সাথে যুদ্ধের জন্য ঘোড়াদের সজ্জিত করেছিল এবং আপনাদের উপর অতর্কিত আক্রমণ করেছিল। যারা আপনার সাথে যুদ্ধে অগ্রসরে প্রস্তুত হয়েছিল।

আমার বাবা মা আপনার জন্য উতসর্গীকৃত হোক, আপনার উপর আরোপিত অত্যাচার ও নৃশংসতার শোক সম্ভার আমাদের হৃদয়কে অসহনীয় বেদনাতুর ও মর্মাহত করে তুলেছে। তাই যে প্রভু আপনার অবস্থানকে উন্নত করেছেন এবং আপনার ভালবাসার মাধ্যমে আমাকে সম্মানিত করেছেন, তাঁরই কাছে প্রার্থনা করি । হে প্রভু আমাকে এমন একদিনের সৌভাগ্য দাও যেদিন মুহাম্মদ (সঃ) ও তাঁর আহলে বাইতগণ (আ.)র সদস্য ইমাম হযরত মাহদী (আ.)-কে সহযোগিতা করে আপনার রক্তের প্রতিশোধ গ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম হতে পারি।

হে প্রভু! আমাকে ইমাম হুসাইন (আ.)র [শাফায়াত ও ভালবাসার] মাধ্যমে আপনার কাছে পরকাল ও ইহকালে সম্মানিত ও সৌভাগ্যমন্ডিত কর । হে আবা আব্দুল্লাহ! আমি প্রভুর দরবারের নৈকট্য প্রার্থনা করি,একই সাথে হযরত রাসুল (সঃ),আমিরুল মুমেনীন (আ.),ফাতেমা (সা.),হাসান (আ.) ওআপনার নৈকট্য প্রার্থনা করি । এ নৈকট্য প্রার্থনার মাধ্যম হল আপনার প্রতি ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব এবং আপনাদের আহলে বাইত (আ.)দের প্রতি অন্যায় ও অত্যাচারের ভিত্তি রচয়িতাদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন আরও ঘৃণা প্রদর্শন করি যারা তাদেরকে অনুসরণ করেছে। প্রভুর দরবারে ও আপনারা আল্লাহর প্রতিনিধি,আপনাদের কাছে ঐ অত্যাচারী ও জালিম লোকদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করেছি। প্রভুর দরবারে প্রথমে নৈকট্য প্রার্থনা করি অতঃপর আপনাদের [আল্লাহর প্রতিনিধি]। আপনার প্রতি ভালবাসা ও আপনাদের বন্ধুদের প্রতি বন্ধুত্বের মাধ্যমে, এবং আপনাদের শত্রুদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে আর যারা আপনাদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে, আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে,একই সাথে তাঁদের অনুসারী ও অনুগামীদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করি ।

হে ইমাম যারা আপনাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখে তারা আমার বন্ধু আর যারা আপনাদের সাথে যুদ্ধ করে তাদের সাথে আমি যুদ্ধে অবতীর্ণ হই। যারা আপনাদের সাথে বন্ধুত্ব করে আমি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করি। আর যারা আপনাদের সাথে শত্রুতা করে আমিও তাদের সাথে শত্রুতা করি।

তাই মহান প্রভুর কাছে প্রার্থনা করি যেন আমাকে আপনাদের বন্ধুত্বে ও যথার্থ পরিচিতির মাধ্যমে ধন্য করেন। একই সাথে আপনাদের শত্রুদের প্রতি সর্বদা ঘৃণা প্রদর্শনকে আমার জীবিকায় পরিণত করে দেন। আমাদেরকে যেন দুনিয়া ও আখেরাতে আপনাদের সাহচর্য দান করেন এবং পৃথিবী ও পরকালে আপনাদের সত্য অবস্থানের পথে আমাকে সুদৃঢ় রাখেন।

পুনরায় প্রভুর কাছে আবেদন করি,আপনাদের জন্য নির্ধারিত 'মাহমুদ'অবস্থানে আমাকেও [ক্ষমতানুযায়ী] উত্তীর্ণ করেন। প্রভু যেন আমার সৌভাগ্যে রাখেন, যাতে আবির্ভাবকারী সত্যভাষী ইমাম মাহদী (আ.) -এর সাথে আপনাদের রক্তের প্রতিশোধ গ্রহণকারী হিসেবে থাকতে পারি । প্রভুর দরবারে আপনাদের যথার্থ সম্মান ও নৈকট্যশীল অবস্থানের উসিলায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি , আপনাদের অসহনীয় শোকে শোকাহত মূর্ছাহত হওয়ার সওয়াব প্রতি শোকাহতকে উত্তম সওয়াব দান করেন। আমাকেও যেন ঐ পুণ্য দান করেন।

আপনাদের (আহলে বাইত) শোক মুসলিম বিশ্বকে বরং সমগ্র বিশ্ব আসমান ও জমিনের প্রতি ছিল অসহনীয় বেদনাতুর । আর শোকাহতদের প্রতি অসহনীয়। হে প্রভু আমি এখন যে অবস্থানে আছি আমাকে তাঁদের শান্তি অনুগ্রহ, ও ক্ষমা থেকে আমাকেও পরিতৃপ্ত কর । হে প্রভু আমি এখন যে অবস্থানে আছি আমাকে তাঁদের শান্তি অনুগ্রহ,ও ক্ষমা থেকে আমাকেও পরিতৃপ্ত কর।

হে প্রভু আমাকে মুহাম্মদ(স.) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইত(আ.)-এর ধর্মে জীবিত রাখ এবং ঐ আদর্শে মৃত্যুবরণ করাও ।

হে প্রভু আজকের [আশুরা] এদিন,যেদিনে উমাইয়া বংশের কলিজা ভক্ষণকারী নারীর [হিন্দা] পুত্র ও অভিশপ্ত মুয়াবিয়ার অভিশপ্ত ও অপবিত্র পুত্র ইয়াজিদকে আপনার ভাষায় এবং আপনার রাসুল (সঃ) -এর ভাষায় [অভিসম্পাত কর] আপনার রাসুল (সঃ) যে সকল স্থান ও অবস্থানে অবস্থান নিয়েছিলেন,(সকল স্থানে তাদেরকে অভিসম্পাতের মাধ্যমে স্মরণ করেছেন)।

হে প্রভু আবু সুফিয়ানের প্রতি অভিশাপ বর্ষণ কর ও তার পুত্র মু'য়াবিয়া এবং তার পুত্র ইয়াজিদ,এদের সকলের উপর অনন্ত অভিশাপ বর্ষণ কর।

আজকের [আশুরার] এদিন যে দিন আলে জিয়াদ বিন আবিহা ও আলে মারওয়ান বিন হিকাম যারা ইমাম হুসাইনকে (আ.) হত্যার মাধ্যমে আনন্দ করেছিল,হে প্রভু আপনিই আপনার অভিসম্পাত ও কঠিন শাস্তিকে তাদের উপর কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দাও।

হে প্রভু আমি আজকের এদিনে এই স্থানে ও জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তাদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন ও জালিমদের উপর অভিসম্পাত ও শত্রুতা করি এবং আপনার নবী ও তাঁর আহলে বাইত (আ.)র প্রতি ভালবাসার মাধ্যমে আপনার নৈকট্য প্রার্থনা করি ।

 ১০০ বার বলুন:

اللَّهُمَّ الْعَنْ أَوَّلَ ظَالِمٍ ظَلَمَ حَقَّ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ آخِرَ تَابِعٍ لَهُ عَلَى ذَلِكَ اللَّهُمَّ الْعَنِ الْعِصَابَةَ الَّتِي جَاهَدَتِ الْحُسَيْنَ وَ شَايَعَتْ وَ بَايَعَتْ وَ تَابَعَتْ عَلَى قَتْلِهِ اللَّهُمَّ الْعَنْهُمْ جَمِيعاً

অর্থ: হে প্রভু আপনি তাদের প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করুন যারা মুহাম্মদ ও তাঁর আহলে বাইতগন (আ.)র প্রতি প্রথম জুলুম করেছে এবং সর্বশেষ জালিম যে,প্রথম জালিমকে তার জুলুমের ক্ষেত্রে অনুসরণ করেছে। হে প্রভু যে লোকেরা ইমাম হুসাইন (আ.) -এর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল,তাদের উপর অভিসম্পাত বর্ষণ কর। আর তাদের অনুসারী অনুগামী ও তাদের আনুগত্য স্বীকারকারীদের প্রত্যেকের উপর অভিশাপ বর্ষণ কর।

১০০ বার বলুন:

أَلسَّلاَمُ  عَلَيْكَ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ وَ عَلَى الْأَرْوَاحِ الَّتِي حَلَّتْ بِفِنَائِكَ وَ أَنَاخَتْ بِرَحْلِكَ عَلَيْكَ مِنِّي سَلَامُ اللَّهِ أَبَداً مَا بَقِيتُ وَ بَقِيَ اللَّيْلُ وَ النَّهَارُ وَ لَا جَعَلَهُ اللَّهُ آخِرَ الْعَهْدِ مِنِّي لِزِيَارَتِكُمْ أَلسَّلاَمُ  عَلَى الْحُسَيْنِ وَ عَلَى عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ وَ عَلَى أَوْلَادِ الْحُسَيْنِ وَ عَلَى أَصْحَابِ الْحُسَيْنِ

অর্থ: হে আবা আবদুল্লাহ! আপনার প্রতি ও আপনার পবিত্র সত্তার প্রতি সালাম,যে সত্তা সমাধিত হয়েছে। আমার পক্ষ থেকে আল্লাহর সালাম অনন্তকাল ব্যাপী,যতদিন এই দিবা-নিশি অবিচল আছে। প্রভু যেন এ জিয়ারতকেই আমার জীবনের শেষ জিয়ারতে পরিণত করে না দেন । ইমাম হুসাইন (আ.)র সন্তানগণ ও ইমাম হুসাইন(আ.)র সাথীদের প্রতি সালাম।

অতঃপর বলতে হবে:

اللَّهُمَّ خُصَّ أَنْتَ أَوَّلَ ظَالِمٍ بِاللَّعْنِ مِنِّي وَ ابْدَأْ بِهِ أَوَّلًا ثُمَّ الثَّانِيَ ثُمَّ الثَّالِثَ وَ الرَّابِعَ اللَّهُمَّ الْعَنْ يَزِيدَ خَامِساً وَ الْعَنْ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ وَ ابْنَ مَرْجَانَةَ وَ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ وَ شِمْراً وَ آلَ أَبِي سُفْيَانَ وَ آلَ زِيَادٍ وَ آلَ مَرْوَانَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ

অর্থ: হে প্রভু আমার অভিসম্পাতকে আহলে বাইত (আ.)র উপর প্রথম অত্যাচারী জালিমের জন্য নির্ধারিত করে দাও, যে অত্যাচার দ্বারা সে অত্যাচারের সূচনা করেছিল। অতঃপর দ্বিতীয় অত্যাচারী, এরপর তৃতীয় অত্যাচারী, তারপর চতুর্থ জালিমের উপর [আমার অভিশাপ বর্ষণ কর]। হে প্রভু পঞ্চম ব্যক্তি ইয়াজিদের উপর অভিশাপ বর্ষণ কর । আব্দুল্লাহ বিন জিয়াদ ও ইবনে মারজানাহ, ওমর বিন সা', শীমার, আলে আবু সুফিয়ান,আলে জিয়াদ,আলে মারওয়ান,এদের সকলের উপর কিয়ামত পর্যন্ত অভিশাপ বর্ষণ কর।

সিজদায় গিয়ে বলতে হবে :

اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ حَمْدَ الشَّاكِرِينَ لَكَ عَلَى مُصَابِهِمْ الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى عَظِيمِ رَزِيَّتِي اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي شَفَاعَةَ الْحُسَيْنِ يَوْمَ الْوُرُودِ وَ ثَبِّتْ لِي قَدَمَ صِدْقٍ عِنْدَكَ مَعَ الْحُسَيْنِ وَ أَصْحَابِ الْحُسَيْنِ الَّذِينَ بَذَلُوا مُهَجَهُمْ دُونَ الْحُسَيْنِ عَلَيْهِ السَّلَام‏

অর্থ: হে প্রভু আমি আপনার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি প্রকৃত কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনকারীদের ন্যায়। আহলে বাইত (আ.) -এর শোকে আমি যে শোকার্ত আমার এ আজাদারী ও শোকানুভুতিতে আল্লাহর প্রশংসা। হে প্রভু যেদিন আপনার সম্মুখে দণ্ডায়মান হব সেদিন ইমাম হুসাইন (আ.)র শাফায়াত আমার ভাগ্যে রাখ। আর আপনার কাছে হুসাইন (আ.) ও তাঁর যে সকল সাথীরা খোদার পথে জীবন উৎসর্গ করেছে তাঁদের সাথে আমাকে আপনার কাছে সত্যে অবিচল রাখ।

ইমাম জাফর সাদিক্ব (আ.) আব্দুল্লাহ বিন সানান (রহ.)কে আশুরার দিনের বিশেষ আমলটির শিক্ষা দেন। আমলটি নিন্মরূপ: আশুরার দিন খোলা আকাশের নিচে ৪ রাকাত নামাজ পড়তে হবে। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে সুরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। পরবর্তি দুই রাকাতের প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে সুরা আহযাব এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে সুরা মুনাফিকুন পাঠ করা উত্তম। অতঃপর ১০০০ বার পাঠ করতে হবে:

اَللَّهُمَّ الْعَنْ قَتَلَةَ الْحُسَينِ و اصحابه

অতঃপর উক্ত স্থানে থেকে উঠে দাড়িয়ে কয়েক ধাপ সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় বলতে হবে:

إنّاللَّهِ وَ إنَّا إلَيْهِ راجِعُونَ، رِضًي‏ بِقَضَائِهِ، وَ تَسْلِيماً لاَمْرِهِ

উক্ত আমলটি ৭ বার সম্পাদন করতে হবে। অতঃপর পূর্বের স্থানে বসে নিন্মোক্ত দোয়াটি পাঠ করতে হবে:

اَللَّهُمَّ عَذِّبِ الْفَجَرَةَ، الَّذِينَ شَاقُّوا رَسُولَكَ، وَ حَارَبُوا اَوْلِيَاءَكَ، وَ عَبَدُوا غَيْرَكَ، وَاسْتَحَلُّوا مَحَارِمَكَ، وَالْعَنِ الْقَادَةَ وَاِلاَّتْبَاعَ، وَ مَنْ كَانَ مِنْهُمْ، فَخَبَّ وَ اَوْضَعَ مَعَهُمْ، اَوْ رَضِيَ بِفِعْلِهِمْ لَعْناً كَثِيراً. اَللَّهُمَّ وَ عَجِّلْ فَرَجَ آلِ مُحَمَّدٍ، وَاجْعَلْ صَلَوَاتِكَ عَلَيْهِمْ، وَاسْتَنْقِذْهُمْ مِنْ اَيْدِي الْمُنَافِقِينَ وَ الْمُضِلِّينَ وَ الْكَفَرَةِ الْجَاحِدِينَ، وَافْتَحْ لَهُمْ فَتْحاً يَسِيراً، وَ اَتِحْ لَهُمْ رُوحاً وَ فَرَجاً قَرِيباً، وَاجْعَلْ لَهُمْ مِنْ لَدُنْكَ عَلَى‏ عَدُوِّكَ وَ عَدُوِّهِمْ سُلْطَاناً نَصِيراً.

অতঃপর হাতদ্বয়কে উচু করে বলতে হবে:

اَللَّهُمَّ اِنَّ كَثِيراً مِنَ اِلاَّمَّةِ نَاصَبَتِ الْمُسْتَحْـفَظِينَ مِنَ اِلاَّئِمَّةِ، وَ كَفَرَتْ بِالْكَلِمَةِ، وَ عَكَفَتْ عَلَى‏ الْقَادَةِ الظَّلَمَةِ، وَ هَجَرَتِ الْكِتَابَ وَ السُّنَّةَ، وَ عَدَلَتْ عَنِ الْحَبْلَيْنِ اللَّذَيْنِ اَمَرْتَ بِطَاعَتِهِمَا وَالتَّمَسُّكِ بِهِمَا، فَاَمَاتَتِ الْحَقَّ، وَ حَادَتْ عَنِ الْقَصْدِ، وَ مَاِلاَّتِ اِلاَّحْزَابَ، وَ حَرَّفَتِ الْكِتَابَ، وَ كَفَرَتْ بِالْحَقِّ لَمَا جَاءَهَا، وَ تَمَسَّكَتْ بِالْبَاطِلِ لَمَا اعْتَرَضَهَا، فَضَيَّعَتْ حَقَّكَ، وَ اَضَلَّتْ خَلْقَكَ، وَ قَتَلَتْ اَوْلاَدَ نَبِيِّكَ وَ خِيَرَةَ عِبَادِكَ وَ حَمَلَةَ عِلْمِكَ وَ وَرَثَةَ حِكْمَتِكَ وَ وَحْيِكَ. اَللَّهُمَّ فَزَلْزِلْ اَقْدَامَ اَعْدَائِكَ وَ اَعْدَاءِ رَسُولِكَ وَ اَهْلِ بَيْتِ رَسُولِكَ. اَللَّهُمَّ وَ اَخْرِبْ دِيَارَهُمْ، وَافْلُلْ سِلاَحَهُمْ، وَ خَآلِفْ بَيْنَ كَلِمَتِهِمْ، وَ فُتَّ فِي اَعْضَادِهِمْ، وَ اَوْهِنْ كَيْدَهُمْ، وَاضْرِبْهُمْ بِسَيْفِكَ الْقَاطِعِ، وَارْمِهِمْ بِحَجَرِكَ الدَّامِغِ، وَ طُمَّهُمْ بِالْبَلاَءِ طَمّاً، وَ قُمَّهُمْ بِالْعَذَابِ قَمّاً، وَ عَذِّبْهُمْ عَذَاباً نُكْراً، وَ خُذْهُمْ بِالسِّنِينَ وَ الْمَثُلاَتِ الَّتِي اَهْلَكْتَ بِهَا اَعْدَاءَكَ، اِنَّكَ ذُو نَقِمَةٍ مِنَ الْمُجْرِمِينَ. اَللَّهُمَّ اِنَّ سُنَّتَكَ ضَائِعَةٌ، وَ اَحْكَامَكَ مُعَطَّلَةٌ، وَ عِتْرَةَ نَبِيِّكَ فِي الاَرْضِ هَائِمَةٌ. اَللَّهُمَّ فَاَعِنِ الْحَقَّ وَ اَهْلَهُ، وَاقْمَعِ الْبَاطِلَ وَ اَهْلَهُ، وَ مُنَّ عَلَىيَا بِالنَّجَاةِ، وَاهْدِنَا إلَى‏ اِلاَّيمَانِ، وَ عَجِّلْ فَرَجَنَا، وَانْظِمْهُ بِفَرَجِ اَوْلِيَائِكَ، وَاجْعَلْهُمْ لَنَا وُدّاً، وَاجْعَلْنَا لَهُمْ وَفْداً. اَللَّهُمَّ وَ اَهْلِكْ مَنْ جَعَلَ يَوْمَ قَتْلِ ابْنِ نَبِيِّكَ وَ خِيَرَتِكَ عِيداً، وَاسْتَهَلَّ بِهِ فَرَحاً وَ مَرَحاً، وَ خُذْ آخِرَهُمْ كَمَا اَخَذْتَ اَوَّلَهُمْ، وَ اَضْعِفِ اَللَّهُمَّ الْعَذَابَ وَ التَّنْكِيلَ عَلَى‏‏ ظَآلِمِي اَهْلِ بَيْتِ نَبِيِّكَ ، وَ اَهْلِكْ اَشْيَاعَهُمْ وَ قَادَتَهُمْ، وَ اَبِرْ حُمَاتَهُمْ وَ جَمَاعَتَهُمْ. اَللَّهُمَّ وَ ضَاعِفْ صَلَوَاتِكَ وَ رَحْمَتَكَ وَ بَرَكَاتِكَ عَلَى‏ عِتْرَةِ نَبِيِّكَ، الْعِتْرَةِ الضَّائِعَةِ الْخَائِفَةِ الْمُسْتَذَلَّةِ، بَقِيَّةٍ مِنَ الشَّجَرَةِ الطَّيِّبَةِ الزَّاكِيَةِ الْمُبَارَكَةِ، وَ اَعْلِ اَللَّهُمَّ كَلِمَتَهُمْ، وَ اَفْلِجْ حُجَّتَهُمْ، وَاكْشِفِ الْبَلاَءَ وَ اللاَوَاءَ، وَ حَنَادِسَ اِلاَّباطِيلِ وَ الْعَمَي‏ عَنْهُمْ، وَ ثَبِّتْ قُلُوبَ شِيعَتِهِمْ وَ حِزْبِكَ عَلَى‏ طَاعَتِكَ وَ وَلاَيَتِهِمْ وَ نُصْرَتِهِمْ وَ مُوَاِلاَّتِهِمْ، وَ اَعِنْهُمْ وَامْنَحْهُمُ الصَّبْرَ عَلَى‏ اِلاَّذَي‏ فِيكَ، وَاجْعَلْ لَهُمْ اَيَامَا مَشْهُودَةً، وَ اَوْقَاتاً مَحْمُودَةً مَسْعُودَةً، يُوشِكُ فِيهَا فَرَجُهُمْ، وَ تُوجِبُ فِيهَا تَمْكِينَهُمْ وَ نَصْرَهُمْ كَمَا ضَمِنْتَ لاَوْلِيَائِكَ فِي كِتَابِكَ الْمُنْزَلِ، فَاِنَّكَ قُلْتَ وَ قَوْلُكَ الْحَقُّ: «وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَ عَمِلُوا الصَّآلِحاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الاَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ، وَ لَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِينَهُمُ الَّذِي ارْتَضي‏‏ لَهُمْ، وَ لَيُبَدِّلَنَّهُمْ مِنْ بَعْدِ خَوْفِهِمْ اَمْناً، يَعْبُدُونَنِي لاَ يُشْرِكُونَ بِي شَيْئاً» ، اَللَّهُمَّ اكْشِفْ غُمَّتَهُمْ، يَا مَنْ لاَيَمْلِكُ كَشْفَ الضُّرِّ اِلاَّ هُوَ، يَا وَاحِدُ يَا اَحَدُ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ، وَ اَنَا يَا إِلَهِي عَبْدُكَ الْخَائِفُ مِنْكَ، وَ الرَّاجِعُ إلَيْكَ، السَّائِلُ لَكَ، الْمُقْبِلُ عَلَيْكَ، اَللاَجِي إلَى‏ فِنَائِكَ، اَلْعَآلِمُ بِاَنَّهُ لاَمَلْجَاَ مِنْكَ اِلاَّ إلَيْكَ، فَتَقَبَّلِ اَللَّهُمَّ دُعَائِي، وَاسْتَمِعْ يَا اِلَهِي عَلاَنِيَتِي وَ نَجْوَايَ، وَاجْعَلْنِي مِمَّنْ رَضِيتَ عَمَلَهُ، وَ قَبِلْتَ نُسُكَهُ، وَ نَجَّيْتَهُ بِرَحْمَتِكَ، اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِيزُ الْكَرِيمُ. اَللَّهُمَّ وَ صَلِّ اَوَّلاَ وَ آخِراً عَلَى‏ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ، وَ بَارِكْ عَلَى‏ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ، وَارْحَمْ مُحَمَّداً وَ آلَ مُحَمَّدٍ، بِاَكْمَلِ وَ اَفْضَلِ مَا صَلَّيْتَ وَ بَارَكْتَ وَ تَرَحَّمْتَ عَلَى‏ اَنْبِيَائِكَ وَ رُسُلِكَ وَ مَلاَئِكَتِكَ وَ حَمَلَةِ عَرْشِكَ بِلاَ اِلَهَ اِلاَّ اَنْتَ. اَللَّهُمَّ وَ لاَ تُفَرِّقْ بَيْنِي وَ بَيْنَ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ صَلَوَاتُكَ عَلَيْهِ وَ عَلَى هِمْ، وَاجْعَلْنِي يَا مَوْلاَيَ مِنْ شِيعَةِ مُحَمَّدٍ وَ عَلَى وَ فَاطِمَةَ وَ الْحَسَنِ وَ الْحُسَيْنِ وَ ذُرِّيَّتِهِمُ الطَّاهِرَةِ الْمُنْتَجَبَةِ، وَ هَبْ لِيَ التَّمَسُّكَ بِحَبْلِهِمْ، وَ الرِّضَا بِسَبِيلِهِمْ، وَ اِلاَّخْذَ بِطَرِيقَتِهِمْ، إِنَّكَ جَوَادٌ كَرِيمٌ.

অতঃপর সিজদাতে যেয়ে বলতে হবে:

يَا مَنْ يَحْكُمُ مَا يَشَاءُ، وَ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ، اَنْتَ حَكُمْتَ، فَلَكَ الْحَمْدُ مَحْمُوداً مَشْكُوراً، فَعَجِّلْ يَا مَوْلاَيَ فَرَجَهُمْ وَ فَرَجَنَا بِهِمْ، فَاِنَّكَ ضَمِنْتَ اِعْزَازَهُمْ بَعْدَ الذِّلَّةِ، وَ تَكْثِيرَهُمْ بَعْدَ الْقِلَّةِ، وَ اِظْهَارَهُمْ بَعْدَ الْخُمُولِ، يَا أصْدَقَ الصَّادِقِينَ، وَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ، فَاَسْاَلُكَ يَا اِلَهِي وَ سَيِّدِي مُتَضَرِّعاً إلَيْكَ بِجُودِكَ وَ كَرَمِكَ، بَسْطَ أمَلِي، وَ التَّجَاوُزَ عَنِّي، وَ قَبُولَ قَلِيلِ عَمَلِي وَ كَثِيرِهِ، وَ الزِّيَادَةَ فِي اَيَامِي، وَ تَبْلِيغِي ذَلِكَ الْمَشْهَدَ، وَ اَنْ تَجْعَلَنِي مِمَّنْ يُدْعَي‏ فَيُجِيبُ إلَى‏ طَاعَتِهِمْ وَ مُوَاِلاَّتِهِمْ وَ نَصْرِهِمْ، وَ تُرِيَنِي ذَلِكَ قَرِيباً سَرِيعاً فِي عَافِيَةٍ، إنَّكَ عَلَى‏‏ كُلِّ شَيْ‏ءٍ قَدِيرٌ.

অতঃপর আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতে হবে:

اَعُوذُ بِكَ مِنْ اَنْ اَكُونَ مِنَ الَّذِينَ لاَيَرْجُونَ اَيَامَكَ، فَاَعِذْنِي يَا اِلَهِي بِرَحْمَتِكَ مِنْ ذَلِكَ.

অতঃপর আল্লাহ তায়ালার  কাছে দোয়া চাইতে হবে।

আশুরার দিন বিকাল বেলায় খাবার সময় (ফাকা শেকানি) নিন্মোক্ত দোয়াটি পাঠ করা উত্তম:

اللّهُمَّ إِنَّنَا أَمْسَكْنا عَنِ الْمَأْكُولِ وَ الْمَشْرُوبِ حَيْثُ كَانَ اهْلُ النُّبُوَّةِ فِي الْحُرُوبِ وَ الْكُرُوبِ، وَ امّا حَيْثُ حَضَرَ وَقْتُ انْتِقالِهِمْ بِالشَّهادَةِ إِلى‏ دارِ الْبَقاءِ وَ ظَفَرُوا بِمَراتِبِ الشُّهَداءِ وَ السُّعَداءِ، وَ دَخَلُوا تَحْتَ بِشاراتِ الآياتِ بِقَوْلِكَ جَلَّ جَلالُكَ: وَ لا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْواتاً بَلْ أَحْياءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ فَرِحِينَ بِما آتاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ وَ يَسْتَبْشِرُونَ بِالَّذِينَ لَمْ يَلْحَقُوا بِهِمْ مِنْ خَلْفِهِمْ أَلَّا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَ لا هُمْ يَحْزَنُونَ. فَنَحْنُ لَهُمْ مُوافِقُونَ، فَنَتَناوَلُ الطَّعامَ الانَ حَيْثُ انَّهُمْ يُرْزَقُونَ فِي دِيارِ الرِّضْوانِ، مُواساةً لَهُمْ فِي الإِمْساكِ وَ الإِطْلاقِ، فَاجْعَلْ ذلِكَ سَبَباً لِعِتْقِ الأَعْناقِ وَ اللِّحاقِ لَهُمْ فِي دَرَجاتِ الصَّالِحِينَ، بِرَحْمَتِكَ يا ارْحَمَ الرَّاحِمِينَ.

 

সূত্র: মাফাতিহুল জিনান।

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন