শিয়া ও সুন্নী মাযহাবের দৃষ্টিতে হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)এর শাহাদত

হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) ছিলেন রাসুল (সা.)এর এর ঔরষজাত একমাত্র কন্যা। কিন্তু রাসুল (সা.)এর ওফাতের পরে স্বর্গী সেই নারীর উপরে রাসুল (সা.) কতিপয় নামধারী সাহাবীরা ওহীর ঘরের দরজায় আগুন লাগিয়ে দেয় এবং উক্ত জ্বলন্ত দরজাটি লাথি মেরে হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)এর

শিয়া ও সুন্নী মাযহাবের দৃষ্টিতে হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)এর শাহাদত

এস, এ, এ

হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) ছিলেন রাসুল (সা.)এর এর ঔরষজাত একমাত্র কন্যা। কিন্তু রাসুল (সা.)এর ওফাতের পরে স্বর্গী সেই নারীর উপরে রাসুল (সা.) কতিপয় নামধারী সাহাবীরা ওহীর ঘরের দরজায় আগুন লাগিয়ে দেয় এবং উক্ত জ্বলন্ত দরজাটি লাথি মেরে হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)এর শরীরের উপরে ফেলে দেয় যার ফলে তার গর্ভের সন্তান মহসীনের অকালে গর্ভপাত ঘটে এবং তিনি মারা যান। আর এভাবেই রাসুল (সা.)এর উম্মতরা তার রেসালাতের পারিশ্রমিক আদায় করে!!!

ইতিহাসে হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)এর শাহাদতের উক্ত বিষয়টিকে অনেকেই ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করেছেন কিন্তু আজও পর্যন্ত তা ইতিহাসে, রেওয়ায়েতে এবং মুমিনদের অন্তর থেকে কেউ মুছে দিতে পারেনি।  অনেকেই বিষয়টিকে তুচ্ছ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা করে থাকেন।

কিছু আলেমগণ সে ‍যুগের তথাকথিত সাহাবীদের অবস্থানকে বিশ্ববাসীর সম্মুখে অটল ও নিঃস্পাপ প্রমাণিত করার জন্য হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)এর শাহাদতের ঘটনাটি বর্ণনা করেন না। (শারহে নাহজুল বালাগা, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৬০)

কিছু ঐতিহাসিকগণ উক্ত ঘটনা থেকে নিজেদেরকে দায়ভার মুক্ত করার উদ্দেশ্যে ঘটনাটি বর্ণনা করেন না । কিন্তু সৈয়দ মোর্তযা (রহ.) এ সম্পর্কে লিখেছেন:

ঐতিহাসিক এবং মোহাদ্দিসদের হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.)এর শাহাদতের উক্ত ঘটনাটিকে অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই। কেননা সেই যুগের তথাকথিত সাহাবীরা হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)এর ঘরের দরজায় আগুন প্রজ্বলিত করে এবং জলন্ত দারজার উপরে লাথি মেরে তা হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)এর উপরে ফেলে দেয় এবং ফাতিমা যাহরা  (সা.আ.)কে চাবুক দ্বারা আঘাত করতে থাকে। কিন্তু ফাতিমা যাহরা  (সা.আ.) রাসুল (সা.)এর নির্বাচিত খলিফাকে রক্ষার জন্য তাদের চাবুকের আঘাতকে সহ্য করতে থাকেন। যখন উক্ত ঐতিহাসিক এবং মোহাদ্দিসরা এ ঘটনাটির কুপ্রভাব সম্পর্কে অবগত হয় তখন তারা উক্ত ঘটনাটি বর্ণনা করার ক্ষেত্রে নিজেদেরকে বিরত রাকে। (তালখিসে সাফি, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ৭৬)

 

মাসউদী তার গ্রন্থে কিছু অংশ উল্লেখ করেন “فَوَجهُوا اِلی مَنْزلِهِ فَهَجَمُوا عَلَیْهِ وَ اَحْرَقُوا بابَهُ... وَ ضَغَطُوا سَیدَةَ النساءِ بِالْبابِ حَتی اَسْقَطَتْ مُحْسِنا” অতঃপর হজরত উমর এবং তার সঙ্গীরা হজরত আলী (আ.)এর ঘরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় তাঁর ঘরের কাছে একত্রিত হয় এবং তার ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়... তারা দরজার পাল্লা দিয়ে বিশ্ব নেত্রী (ফাতিমা যাহরা (সা.আ.))এর পাঁজরে আঘাত করার ফলে তাঁর অকালে গর্ভপাত হয় এবং হজরত মোহসীন মারা যান। (ইসবাতুল ওয়াসিয়া, পৃষ্ঠা ১৫৩)

 

আহলে সুন্নাতের দৃষ্টিতে হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)এর শাহাদত

১- আব্দুল কারীম বিনআহমাদ শাফেয়ী শাহরিসতানী: বর্ণনা করেন যে,

 “اِن عُمَرَ ضَرَبَ بَطْنَ فاطِمَةَ یَوْمَ الْبَیْعَةِ حَتی اَلْقَتْ اَلْجَنینَ مِنْ بَطْنِه” হজরত উমর জনগণের কাছে বাইয়াত গ্রহণের দিন হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)এর উদরে এমনভাবে আঘাত করে যে, উক্ত কারণে হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)এর অকালে গর্বপাত ঘটে। (আল মেলাল ওয়ান নেহাল, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৫৭)

উক্ত কথাটি ইস্ফারায়ীনি এভাবে বর্ণনা করেছেন যে, “اَن عُمَرَ ضَرَبَ فاطِمَةَ وَ مَنَعَ میراثَ الْعِتْرَةِ”: হজরত উমর হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)কে প্রহার করে এবং তাঁকে তাঁর ইরস দিতে অস্বীকার করে। (আল ফেরাক্বু বাইনাল ফেরাক্ব, পৃষ্ঠা ১০৭)

এছাড়া অন্যান্য আলেমগণ বলেন: “اِن عُمَرَ ضَرَبَ بَطْنَ فاطِمَةَ یَوْمَ الْبَیْعَةِ حَتی اَلْقَتْ اَلْمُحْسِنَ مِنْ بَطْنِها”: বাইয়াত গ্রহণের দিন হজরত উমর হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)এর পেটে আঘাত করে যার ফলে তার অকালে গর্ভপাত ঘটে এবং হজরত মোহসীন মারা যান। (সাফিনাতুল বিহার, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২৯২, আল ওয়াফি বিল ওয়াফিয়াত, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৩৪৭)

মাকাতিল বিন আতিয়া বলেন: হজরত আবু বকর তরবারীর ভয় দেখিয়ে জনগণের কাছ থেকে বাইয়াত নেয়ার পরে হজরত উমর, কুনফায কিছু সাহাবীদেরকে হজরত আলী এবং ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)এর ঘরে প্রেরণ করে। হজরত উমর বেশ কিছু কাঠ হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)এর ঘরের দরজার কাছে একত্রিত করে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। যখন হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)দরজার কাছে আসেন তখন হজরত উমর দরজার পাল্লা দ্বারা এমনভাবে হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)কে চাপা দেয় যে, উক্ত কারণে তাঁর অকালে গর্ভপাত ঘটে এবং তাঁর সন্তান মারা যায়। উক্ত দরজার কীলক হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)এর বক্ষে ঢুকে যায় এবং উক্ত কারণে তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং অবশেষে ইহলোকে পাড়ি দেন। (আল ইমামা ওয়াল খেলাফা, পৃষ্ঠা ১৬০- ১৬১)

ইবনে আবিল হাদীদ বর্ণনা করেছেন যে, রাসুল (সা.)এর কন্যা জয়নাব-এর স্বামী আবুল আস যাকে মুসালমানরা বন্দি করে কিন্তু পরে অন্যান্য বন্দিদের ন্যায় তাকেও মুক্ত করে দেয়া হয়। আবুল আস রাসুল (সা.)এর কাছে ওয়াদা করে যে, সে মক্কায় পৌছে তার কন্যার মদীনায় আসার ব্যাবস্থা করবে। রাসুল (সা.) হায়দ হারেস এবং আরো কিছু আনসারদেরকে নির্দেশ দেন তারা যেন মক্কার আট মাইল দূরে তার জন্য অপেক্ষা করে। যখন সে জয়নাবকে উটে করে সেখানে নিয়ে আসবে। তখন তারা যেন জয়নাবকে মদীনায় নিয়ে আসে। যখন মক্কার কুরাইশরা হজরত জয়নাবের মক্কা থেকে বাহির হওয়ার বিষয়টা সম্পর্কে অবগত হয় তখন কাফেররা সিদ্ধান্ত নেয় যে, তাকে পথিমধ্যে হতে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। কিন্তু হাব্বার অথবা জাব্বার বিন আসওয়াদ হজরত জয়নাবের উটের কাছে পোঁছায় এবং তার উপরে তরবারি দ্বারা আঘাত করতে থাকে। হজরত জয়নাব ভয় পাওয়ার কারণে তার অকালে গর্ভপাত ঘটে এবং অবশেষে তিনি মক্কায় ফিরে যেতে বাধ্য হন। রাসুল (সা.) উক্ত খবর শোনার পরে অত্যান্ত রাগান্বিত হন। যখন মুসলমানরা মক্কা বিজয় করে তখন তিনি সকলকে ক্ষমা করে দিলেও হজরত জয়নাবের গর্ভের সন্তানকে হত্যাকারীকে তিনি ক্ষমা করেননি।

ইবনে আবিল হাদীদ বলেন: আমি যখন আমার উস্তাদ আবু জাফর নাক্বিবের কাছে উক্ত ঘটনাটি বর্ণনা করি। তখন তিনি আমাকে বলেন: যদি রাসুল (সা.) তার কন্যা জয়নাবের অকালে গর্ভপাত হওয়া বাচ্চাটির মৃত্যুর কারণে তাকে ক্ষমা করেননি। তাহলে যার কারণে হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.)এর অকালে গর্ভপাত হয়েছিল তখন যদি রাসুল (সা.) জীবিত থাকতেন তাহলে তিনি কখনও উক্ত সন্তানের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতেন না।

ইবনে আবিল হাদীদ আরো বলেন: আমার উস্তাদ আমাকে বলেন: তবে তুমি উক্ত ঘটনাটি আমার নাম নিয়ে বর্ণনা করো না কেননা বিষয়টি হচ্ছে বিরোধমূলক। (শারহে নাহজুল বালাগা, খন্ড ১৪, পৃষ্ঠা ১৯৩, যিন্দেগী ইমাম আলী (আ.), পৃষ্ঠা ২৫২)

উল্লেখিত আহলে সুন্নাত হতে বর্ণিত রেওয়ায়েত দ্বারা এটা স্পষ্ট হয় যে, শিয়াদের ন্যায় তাদের মাঝেও বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে। কেননা স্বয়ং ইবনে আবলি হাদীদ বিষয়টিকে নিজের কথা দ্বারা ব্যাক্ত করেছেন। (শারহে নাহজুল বালাগা, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২১)

আহলে সুন্নাতের একজন রেওয়ায়েত বর্ণনাকীর নাম সুকুনী তিনি বলেছেন: একবার আমি ইমাম জাফর সাদিক্ব (আ.)এর সমীপে উপস্থিত হই। কিন্তু আমি দুঃখিত ছিলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন হে সুকুনী তোমার কি হয়েছে? কেন তোমাকে দুঃখিত দেখাচ্ছে? আজকে আমার একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে যার কারণে আমি মনক্ষুন্ন যে, কেন আল্লাহ আমাকে পুত্র সন্তান দান করলেন না। তখন তিনি আমাকে বলেনঃ হে সুকুনী! কেন তুমি মন খারাপ করছো আল্লাহ তার রুজির ব্যাবস্থা করবেন এবং সে তোমার রুজি খাবে না। ইমাম (আ.)এর কথা শোনার পরে আমার দুঃখ কিছুটা লাঘব হয়। অতঃপর তিনি বলেন: তুমি তোমার মেয়ের নাম কি রেখেছ? আমি তাঁকে বলি ফাতেমা। উক্ত কথাটি শোনার পরে তিনি তাঁর হাতকে কপালে রেখে ক্রন্দন করতে থাকেন। অতঃপর তিনি বলেন যেহেতু তুমি তার নাম ফাতেমা রেখেছ সেহেতু তাকে তুমি তার সাথে অশ্লীল ভাষায় কথা বলবে না, তাকে মারবে না এবং তাকে অভিশাপ দিবে না। কেননা উক্ত নামটি আল্লাহ তায়ালার কাছে অতি সম্মানিত। আর উক্ত নামটি আল্লাহ তার হাবীবের কন্যার জন্য নির্বাচন করেন। যখনই ইমাম জাফর সাদিক্ব (আ.) তার মাতামহ হজরত ফাতেমা (সা.আ.) এর কথা স্মরণ করতেন এবং বলতেন: আমার মাতামহ অমুকের দাশ কুনফুযের দেয়া আঘাতের কারণে মত্যু বরণ করেন।

কিন্তু সুকুনি তার এ বর্ণনায় ইমাম জাফর সাদিক্ব (আ.)এর অবশিষ্ট কথাটুকু উল্লেখ করেননি। তবে উল্লেখিত ঘটনা থেকে বিষয়টি স্পষ্ট যে কুনফুয এবং হজরত উমরের আঘাতের কারণে হজরত ফাতিমা যাহরা শাহাদত বরণ করেন।

কেননা আবা বাসির ইমাম জাফর সাদিক্ব (আ.) হতে বর্ণিত অবশিষ্ট কথাগুলো উল্লেখ করেছেন:

وَ کانَ سَبَبُ وَفاتِها اَن قُنْفُذَ مَوْلی عُمَرَ لَکَزَها بِنَعْلِ السیْفِ بِاَمْرِهِ فَاَسْقَطَتْ مُحْسِنا وَ مَرِضَتْ مَرَضا شَدیدا وَلَمْ تَدَعْ اَحَدا مِمنْ آذاها یَدْخُلُ عَلَیْها.

হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) কুনফুয এবং হজরত উমরের দেয়া আঘাতের কারণে শাহাদত বরণ করেন। কুনফুয হজরত উমরের নির্দেশে তরবারির খাপ খাপ দ্বারা হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) কে আঘাত করে। উক্ত কারণে তার অকালে গর্ভপাত ঘটে এবং হজরত মোহসীন মারা যায়। তিনি উক্ত আঘাতের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তিনি তার অত্যাচারীদের সাথে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আর দেখা করেননি। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৪৩, পৃষ্ঠা ১৭০)

শিয়াদের দৃষ্টিতে হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)এর শাহাদত

যখন কতিপয় সাহাবীরা হজরত আলী (আ.)কে জোরপূর্বক মসজিদে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তখন হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) তাদের সামনে বাধা হয়ে দাড়ায়। আর উক্ত কারণে তাঁকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ইতিহাসে এ সম্পর্কে বিভিন্ন স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে। তন্মধ্যে একাংশ এখানে উল্লেখ করছি:

হজরত উমর মাবিয়াকে একটি পত্র লিখে সেখানে তিনি উক্ত ঘটনাটি সম্পর্কে মাবিয়াকে অবগত করে। পত্রটির কিছু অংশ এখানে উল্লেখ করছি:

যখন আমি ফাতিমার ঘরের দরজায় আগুন লাগায় তখন ফাতিমা দরজার পিছনে দাড়িয়ে ছিল এবং আমাকে এবং আমার সঙ্গিদেরকে তার ঘরে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল না। তখন আমি চাবুক দিয়ে তার বাহুতে এমনভাবে আঘাত করি যে তার হাতে হাতকড়ার ন্যায় দাগ পড়ে যায় তখন সে এমনভাবে উচ্চস্বরে কাঁদতে থাকে যে আমি অনুভব করছিলাম যে আমার অন্তর ধিরে ধিরে নরম হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পরক্ষণেই আমি বদর ও ওহদের যুদ্ধে আলীর হাতে মারা যাওয়া সেই সব ব্যাক্তিদের কথা স্মরণ করি তখন আমার ক্রোধ আরো বৃদ্ধি পায়। তখন আমি ফাতিমার ঘরের দারজায় এমন এক লাথি মারলাম যে উক্ত কারণে ফাতিমার অকালে গর্ভপাত ঘটে। অতঃপর ফাতিমা ক্রন্দন করে বলতে থাকে হে বাবা! হে রাসুল (সা.)! আপনি দেখুন যে আপনার প্রিয় কন্যার সাথে কিরূপ অত্যাচারমূলক আচরণ করা হচ্ছে। অতঃপর সে বলে হে ফিজ্জা! তাড়াতাড়ি আস আমার বাচ্চা মারা গেছে। অতঃপর যখন সে দেয়ালে হেলান দেয় তখন আমি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করি। কিন্তু ফাতিমা তারপরেও আমাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে আমি তার গালে এমন এক চড় মারি যে, তার কানের দুল খুলে পড়ে যায়...। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৩০, পৃষ্ঠা ২৯৩, খন্ড ৮, পৃষ্ঠা ২৩০, রিয়াহিনুশ শারিয়াহ, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ২৬৭)

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন