দায়েশের প্রতিষ্ঠাতা সৌদি সরকার: শাহজাদা তালাল

সৌদি রাজপুত্র ও  বিশিষ্ট ব্যবসায়ী  ওয়ালিদ বিন তালাল এক সাক্ষাৎকারে তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রতি সৌদি সরকার ছাড়াও পারস্য উপসাগরীয় আরব সরকারগুলোর অর্থ সাহায্য দেয়ার কথাও স্বীকার করেছেন।

দায়েশের প্রতিষ্ঠাতা সৌদি সরকার: শাহজাদা তালাল

সৌদি রাজপুত্র ও  বিশিষ্ট ব্যবসায়ী  ওয়ালিদ বিন তালাল এক সাক্ষাৎকারে তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রতি সৌদি সরকার ছাড়াও পারস্য উপসাগরীয় আরব সরকারগুলোর অর্থ সাহায্য দেয়ার কথাও স্বীকার করেছেন।

পশ্চিমা সরকারগুলোর পাশাপাশি বহু আরব সরকার বিগত বছরগুলোতে বহুবার এ অঞ্চলের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সাহায্য ও সমর্থন যুগিয়েছে এবং অনেকেই বলছেন যে পাশ্চাত্য ও তাদের অনুগত কয়েকটি সরকারই গড়ে তুলেছে দায়েশ।সৌদি রাজপুত্র ওয়ালিদ বিন তালাল সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে মার্কিন

টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেন যে সিরিয়ার চলমান সংকটের শুরু থেকেই আইএসআইএল বা দায়েশ সৌদি ও পারস্য উপসাগরীয় আরব শাসকগোষ্ঠীর সহায়তা পেয়েছে এবং রিয়াদে এই গোষ্ঠীকে গঠনের পর আরব দেশগুলোতে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অভিযানগুলোর জন্যও অর্থ দিয়ে যাচ্ছে  ওয়াহাবি সৌদি শাসকরা।  

 কথিত ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার নামে  সন্ত্রাসী তাকফিরি-ওয়াহাবি গোষ্ঠী দায়েশ সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া, তিউনিসিয়া, মিশর ও ইয়েমেনে  সক্রিয় রয়েছে।

সৌদি রাজপুত্রের এই নজিরবিহীন স্বীকারোক্তির পর ‘মানামা পোস্ট’ নামের একটি অন-লাইন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, সৌদি বিচার বিভাগ বিদেশে ওয়ালিদ বিন তালালের  সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

 এ ছাড়াও সৌদি এই রাজপুত্রের প্রতি সরকারি সেবা প্রদান বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ।

গত সোমবার সৌদি আরবের একটি দৈনিকে দেশটির বিচার বিভাগের এইসব নির্দেশ প্রচার করা হয়।

এর আগেও এখন থেকে কয়েক মাস আগে কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হামাদ বিন জাসেমও নজিরবিহীন এক স্বীকারোক্তিতে বলেছিলেন, সিরিয়ার যুদ্ধ মার্কিন, সৌদি ও কাতার সরকারের সৃষ্ট এবং এর সঙ্গে সিরিয়ার জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। এই যুদ্ধ তার প্রধানমন্ত্রীত্বের সময়ই শুরু করা হয় বলে তিনি জানান।

এ ছাড়াও ফাঁস হয়ে পড়া এক অডিও-সংলাপ থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, মার্কিন সরকার সিরিয়ায় দায়েশের শক্তি সঞ্চয়ের পথে বাধা দেয়নি, বরং ওয়াশিংটন বাশার আসাদকে উৎখাতের আশায় এই গোষ্ঠীকে ব্যবহার করেছে। কেরি গোপন ওই সংলাপে বলেন, আমেরিকা ভেবেছিল আসাদ সরকারের পতন ঘটবে এবং তাকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করা যাবে, কিন্তু তা ঘটেনি। বরং আমেরিকা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থনপুষ্ট বাশার আসাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে।

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন