অবশেষে বাংলাদেশ সরকার খুলে দিল সকল যোগাযোগ মাধ্যম

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যমগুলো খুলে দেয় সংশ্লিষ্ট অপারেটররা

অবশেষে বাংলাদেশ সরকার খুলে দিল সকল যোগাযোগ মাধ্যম
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যমগুলো খুলে দেয় সংশ্লিষ্ট অপারেটররা।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, সরকার বন্ধ থাকা সব যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যম খুলে দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। এরপরই সন্ধ্যায় এগুলো খুলে দেওয়া হয়। দেশের সব মোবাইল অপারেটর, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়েকে (আইআইজি) এসব অ্যাপস খুলে দেওয়ার এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, স্কাইপ, টুইটার ও ইমো বন্ধে তার মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তবে কোনো গোয়েন্দা সংস্থা এ ধরনের অনুরোধ জানিয়ে থাকতে পারে।

বিটিআরসি দুটি আলাদা নির্দেশনায় গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফেসবুক-ভাইবার-হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগের কয়েকটি মাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার। নিরাপত্তাজনিত কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরোধে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল বলে বিটিআরসির কর্মকর্তারা ওই সময় জানিয়েছিলেন। ওই দিন দুপুরে প্রথম নির্দেশনায় ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করার নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি। পরে আরেকটি নির্দেশনায় লাইন, ট্যাংগো, হ্যাংআউটসহ আরও কয়েকটি মাধ্যম বন্ধের কথা জানানো হয়।

এর ২২ দিন পর ১০ ডিসেম্বর খুলে দেয়া হয় ফেসবুক। ওই দিন বলা হয়েছিল, ‘জননিরাপত্তার জন্য হুমকির মাত্রা কমে আসা’ এবং ফেসবুকের সঙ্গে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনার ধারাবাহিকতায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক খুলে দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি তরুণ সমাজের ‘প্রয়োজন ও চাহিদার’ কথাও বিবেচনা করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্কতার কারণেই ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপসহ ইন্টারনেটে যোগাযোগের অন্য মাধ্যমগুলো বন্ধ থাকছে।

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন