অন্ধকারের পথিক “আশআশ বিন কাইস”

আশআশ বিন কাইস ছিল রাসুল (সা.)’এর একজন সাহাবি। কিন্তু রাসুল (সা.)’এর ওফাতের পরে সে মুরতাদ হয়ে যায়। যখন হজরত আবু বকরের এর সৈন্যরা তাকে আটক করে মদিনাতে নিয়ে আসে তখন তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন এবং নিজের বোনে উম্মে ফারওয়া যার এক চোখ খারাপ ছিল তার সাথে বিয়ে দেন।

অন্ধকারের পথিক “আশআশ বিন কাইস”

আশআশ বিন কাইস ছিল রাসুল (সা.)’এর একজন সাহাবি। কিন্তু রাসুল (সা.)’এর ওফাতের পরে সে মুরতাদ হয়ে যায়। যখন হজরত আবু বকরের এর সৈন্যরা তাকে আটক করে মদিনাতে নিয়ে আসে তখন তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন এবং নিজের বোনে উম্মে ফারওয়া যার এক চোখ খারাপ ছিল তার সাথে বিয়ে দেন।

আশআশ বিন কাইস এবং উম্মে ফারওয়া’এর মোট ৪টি সন্তান জন্ম লাভ করে তারা হচ্ছে মোম্মাদ, ইসমাইল, ইসহাক এবং জোঅদা।

মোহাম্মাদ বিন আশআশ: কুফাতে হজরত মুসলিম বিন আকিল এবং কারবালাতে ইমাম হুসাইন (আ.)’এর বিরূদ্ধে যুদ্ধ করে।

জোঅদা: ইমাম হাসান (আ.)কে বিবাহ করার পরে তাঁকে বিষ দ্বারা শহিদ করে।

হজরত উসমানের যুগে তাকে আয়ারবাইজানের দ্বায়িত্ব দান করা হয়। হজরত উসমান তাকে প্রত্যেক বছর ভাতা স্বরূপ এক লক্ষ দিরহাম দান করতেন। আর এ কারণে সে কুফাতে বসবাস করতে শুরু করে।

আহলে বাইত (আ.)’এর অনুসারিদের রেওয়ায়েত অনুযায়ি কুফাতে ৪ টি মসজিদ ছিল যার প্রতি লানত প্রেরিত হয়েছে। উক্ত মসজিদ সমূহ কারবালাতে ইমাম হুসাইন (আ.)কে শহিদ করার কারণে আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন স্বরূপ তৈরি করা হয়।

আশআশ এবং আব্দুল্লাহ বিন উবাই রাসুল (সা.)’এর যুগে থেকে মুনাফেকি করে আসছিল। এমনকি সে সিফফিনের যুদ্ধে খারেজিদের হজরত আলি (আ.)’এর সেনাবাহিনি থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া এবং ইমাম আলি (আ.)কে শহিদ করার ক্ষেত্রেও তার যথেষ্ট ভুমিকা ছিল।

আশআশ বিন কাইস ছিল এমন ব্যাক্তি যার প্রতি হজরত আলি (আ.) অভিসম্পাত করেছেন। অবশেষে সে ৪২ হিজরিতে মৃত্যু বরণ করে।

সূত্র সমূহ:

১- আল ইসাবা, খন্ড ।

২- আল ইসতিআব, খন্ড ১।

৩- উসদুল গাবা, খন্ড ১।

৪- দায়েরাতুল মাআরেফ শিয়া, খন্ড ৩। 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন