জাহেলিয়াতের যুগ ও ওহাবিদের মধ্যে সাদৃস্যতা- ৩

জাহেলিয়াতের যুগ ও ওহাবিদের মধ্যে সাদৃস্যতা- ৩

জাহেলিয়াতের যুগ ও ওহাবিদের মধ্যে সাদৃস্যতা- ৩

ওহাবি, সালাফি, সৌদি আরব, ইয়াহুদি, খৃষ্টান, সাহাবি,

আমরা সকলেই জানি যে বর্তমান বিশ্বে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ চলছে। এক দেশে যুদ্ধ থামলে আরেক দেশে যুদ্ধ শুরু হচ্ছে। সিরিয়াতে কয়েক লক্ষ মুসলমানকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং অনেকেই বর্তমানে বাস্তুহারা জীবন যাপন করছে।

কতজন বাচ্চারা এতিম হয়ে গেছে। কতজন নারীকে দাসী বানিয়ে তাদের সাথে অমানবিক যৌনাচার করা হচ্ছে এবং অবশেষে তাদেরকে বিক্রয় করা হচ্ছে অথবা হত্যা করা হচ্ছে।

কেন আমরা প্রত্যেকদিন পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে বোমা বিষ্ফোড়নের খবর শুনতে পাই? এখানে একটা প্রশ্নের সঞ্চার হতে পারে আর তা হচ্ছে যে, কোন জঙ্গি গোষ্ঠি কি এককভাবে সারা বিশ্বে অরাজকতার সৃষ্টি করতে পারে? কোন দেশগুলো প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়েশ, আন নুসরা, আল কায়েদা, তালেবান এবং বুকো হারামকে সাহায্যে করছে?

দায়েশের অর্থনৈতির মূল উৎস কোথায়? দায়েশিরা কোথায় থেকে উন্নতমানের অস্ত্র সরবরাহ করছে। কেন দেশ সমূহ দায়েশিদেরকে অস্ত্র এবং তথ্য দিচ্ছে?

ইসলামের প্রকৃত শত্রু ব্রিটেন, আমেরিকা, ইসরাইল বিগত কয়েক শত বছর ধরে ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে।

অবশেষে তারা বুঝতে পারে যে ইসলামকে ধ্বংস করতে হলে প্রথমে মুসলামানদের মধ্যে উগ্রপন্থি দলের সৃষ্টি করতে হবে এবং উক্ত দলটি সকল মুসলমানদেরকে তাকফিরি বলে আখ্যায়িত করবে।

পরিশেষে তারা উক্ত উগ্র পন্থি দলকে সৃষ্টি করে যারা হচ্ছে বিবেকহীন, মানব প্রকৃতির বিরোধি এবং অসামাজিক এবং তাদের মূল ঘাটি হচ্ছে স্বৈরাচারী সৌদি রাজতন্ত্র। যারা সকল মুসলমানদেরকে কাফের বলে বলে মনে করেএবং তাদেরকে হত্যা করাকে জায়েজ বলে মনে করে।

ব্রিটিশরা ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য তাদের গোয়েন্দাদের মাধ্যেমে এমন একজন লোককে নির্বাচন করে যে ব্যাক্তি  প্রসিদ্ধতাকে সর্বাগ্রে অগ্রাধিকার দেয়। এজন্য সে এক উগ্র জাতীকে গঠন করে যারা শুধুমাত্র তাদের নিজেদের খাম খেয়ালি চিন্তা নিয়েই মত্ত থাকে আর তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মোহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাব এবং মোহাম্মাদ বিন সৌউদের বংশধরগণ।

মোহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাব শিরক, মুসলমানদের হত্যা এবং কবর সমূহকে ভেঙ্গে দেয়ার ফতোয়া দেয় এবং ওহাবীদেরকে অর্থ, ব্রিটিশদের অস্ত্র সহ অন্যান্য যুদ্ধ সামগ্রি দিয়ে সাহায্যে করতো।

তারপর থেকে হানাফি, শাফেয়ী, মালেকি এবং হাম্বালি মাযহাবের সকল অনুসারীরা ওহাবীদের বিরোধিতা করা  শুরু করে দেয় এবং কয়েকবার তাদের অধঃপতনের পরে  আবার তারা ব্রিটিশদের সহয়তায় তারা সচল হয়ে উঠে।

অবশেষে আল সউদ গোত্রটি মুসলমানদের বিরোধিতার সীমানাকে অতিক্রম করে আর এভাবে ইসলামের শত্রুদের জন্য মুসলমানদের প্রাণ কেন্দ্রে তৈরী হয়েছে একটি অশ্রয়স্থল। আর এ কারণে আমেরিকা, ইসলরাইল সহ অন্যান্য মুসলমান বিদ্বেষী দেশগুলো প্রকাশ্যেভাবে সৌদি আরবকে সাহায্যে করার ঘোষণা করেছে। তারা এভাবে সারা বিশ্বে ওহাবী চিন্তাধারাকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তার এক বক্তব্যে প্রকাশ্যেভাবে ঘোষণা দেয় যে, ইসরাইলের চেয়ে সৌদি আরবকে রক্ষা করা হচ্ছে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মুশরিকরা জানতো যে তাদের সকল স্বার্থ উদ্ধার হবে ওহাবী আলে সউদের উক্ত অবৈধ রাজতন্ত্র থেকে।

এটা সত্যি যে, আমেরিকা ইসলামের মেকাবেলা করার জন্য ওহাবী মতবাদকে বিস্তার করে এবং সৌদি আরবকে তারা এর জন্য সবচেয়ে উত্তম কেন্দ্র বিন্দু বলে মনে করে।

বর্তমানে ওহাবীরা সালাফে সালেহ নামে তাবলিগ করে যাচ্ছে এবং ইসলামকে একটি উগ্রপন্থি ধর্ম বলে বিশ্বে প্রমাণিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

ওহাবী মতবাদ হচ্ছে এমন এক তরবারী যার দ্বারা অমেরিকা, ব্রিটিশ এবং ইসরাইল ইসলামকে ধ্বংস করার নীল নকশা তৈরী করেছে। ইসলামের শত্রুরা মুসলমানদেরকে ধোকা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে যেন বিভিন্ন ইসলামী দেশ সমূহের মুসলমানরা নিজেদেরকে বীপদের দিকে ঠেলে দেয়। এখনও সময় আছে যদি আমরা আরো পরে সজাগ হই তাহলে আমাদের অবস্থাও সিরিয়া ও ইরাকের মুসলমানদের ন্যায় হতে পারে। 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন