১৫ লাখ ইরাকি জিহাদের জন্য প্রস্তুত

১৫ লাখ ইরাকি জিহাদের জন্য প্রস্তুত

১৫ লাখ ইরাকি জিহাদের জন্য প্রস্তুত

hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড, হজরত ফাতিমা, মার্জিয়া, সিদ্দিকা, মোহাদ্দেসা, বাতুল, উম্মে আবিহা, যাহরা, মুবারেকা, যাকিয়া, তাহেরা, রাযিয়া, জিহাদুন নিকাহ, পোপ, পাদ্রি, বাইতুল মোকাদ্দাস, ওহাবী, সালাফি, মুফতি, ড্রোন, পাকিস্থান, এজিদ, মাবিয়া, আবু সুফিয়ান, আলী আকবর, হুসাইন, শাবান, আমল, শবে বরাত, রমজান,
সন্ত্রাসী আইএসআইএল-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ১৫ লাখেরও বেশি ইরাকি জনগণ প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছেন
আলকায়দার নতুন সংস্করণ 'আইএসআইএল'-এর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রায় ১৫ লাখ ইরাকি স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন।

ইরানের প্রেসটিভি জানিয়েছে, ওয়াহাবি-তাকফিরি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে জিহাদের জন্য এই বিপুল সংখ্যক জনগণ সেনা রিক্রুট কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমান। তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাসহ সব বয়সের লোকদের দেখা গেছে।

ইরাকের শীর্ষস্থানীয় সুন্নি ও শিয়া আলেমগণ দেশ রক্ষার জন্য ধর্মান্ধ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিহাদ করাকে ফরজ বলে ঘোষণা দেয়ার পর বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মত জিহাদে অংশ নিতে ছুটে আসতে থাকেন ইরাকের সর্বস্তরের জনগণ।

গত দশই জুন 'আইএসআইএল'-এর সন্ত্রাসীরা ইরাকের নেইনাভা প্রদেশ ও এর রাজধানী মসুল দখল করে নেয়। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকিসহ অনেক কর্মকর্তা বলেছেন, ইরাকের একদল সেনা কর্মকর্তাকে ঘুষ দেয়ায় এক ষড়যন্ত্রমূলক সমঝোতার আওয়াত এই প্রদেশের ৫০ হাজারেরও বেশি সরকারি সেনা কোনো ধরনের বাধা না দিয়েই সন্ত্রাসীদের কাছে শহরটির প্রধান সরকারি ভবন, অস্ত্রাগার, ব্যাংক ও কারগারগুলোর নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়।

অবশ্য সন্ত্রাসীরা গত কয়েক দিনে সরকারি সেনাদের বিমান হামলার মুখে অধিকৃত অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা থেকেই পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, তিনি ইরাকের নুরি আল মালিকির সরকারকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করতে চান, তবে এর আগে তাকে দেশটির নানা গ্রুপের প্রতিনিধিত্বকারীদের নিয়ে সরকার গঠন করতে হবে। আমেরিকা ইরাক সরকারকে শর্তসাপেক্ষে সামরিক সাহায্য দিলেও দেশটিতে আগের মত সেনা পাঠাবে না বলে ওবামা জানান।

ওদিকে সিরিয়া ও ইরানের পর চীনও সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় ইরাক সরকারকে সাহায্য করতে প্রস্তুত বলে ঘোষণা দিয়েছে। রাশিয়া বলেছে, আমেরিকাই ইরাকের সন্ত্রাসীদের জোরদার হতে সহায়তা দিচ্ছে।

একদল বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, ইরাকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ও সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিপুল ভোটে পুনরায় জয়ী হওয়া নুরি আল মালিকির রাজনৈতিক জোটকে ক্ষমতাচ্যুত করার এক মহাষড়যন্ত্র করছে দেশী-বিদেশী কয়েকটি চক্র। আর এইসব চক্রের মদদদাতারা হল ইসরাইলি, মার্কিন, তুর্কি, কাতারি ও সৌদি সরকার। তারা ইরাকে সিসির মত কোনো ব্যক্তিকে ক্ষমতায় বসাতে চান। এই সরকারগুলো ইরাকের আগে সিরিয়ায়ও বিনা অপরাধে বেসামরিক সাধারণ মুসলমানদেরকে কাফির বলে হত্যা করতে অভ্যস্ত ওয়াহাবি-সালাফি মতবাদে বিশ্বাসী আইএসআইএল ও আলকায়দাসহ বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী দলকে অস্ত্র, অর্থ, প্রশিক্ষণ ও গোয়েন্দা সহযোগিতাসহ সব ধরনের সহায়তা দিয়ে এসেছে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন