সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হজরত মোহাম্মাদ (সা.) -১৮

সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হজরত মোহাম্মাদ (সা.) -১৮

সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হজরত মোহাম্মাদ (সা.) -১৮

Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, hussain, mohammad, imam mahdi ,সূরা মরিয়ম, হজরত মরিয়ম, হজরত ঈসা, সূরা মারিয়াম, কুরআন, সূরা, মক্কা, হযরত যাকারিয়া, হযরত মারিয়াম, হযরত ইসা, হযরত ইয়াহিয়া, হযরত ইব্রাহিম, হযরত ইসমায়িল, ইদ্রিস, মারিয়াম, এশা, রিযিক, আধ্যাতিকতা, ইমাম মাহদী, চোখের জ্যোতি, মুমিন, ইমাম সাদিক, ইমাম আলী, খোদা, তেলাওয়াত, আল্লাহ, নবী, রাসূল, হযরত মুসা, মুজিযা, রিসালাত, মু’মিন, কিয়ামত, মানুষ, জাহান্নাম, গোনাহ, গোনাহগার, আয়াত, নবুওয়াত, নামাজ, ইবাদত, ওহী, মাদায়েন, মিশর, হিজরত, সূরা ত্বোয়াহা, সূরা আম্বিয়া, আম্বিয়া, সূরা, ফেরেশতা, হযরত লুত, নূহ, হযরত দাউদ, সোলায়মান, ইয়াহইয়া, হযরত ইউনুস, যাকারিয়া, নবী, রাসূল, নেয়ামত, আল্লাহ, ফাতিহা, মক্কা, সূরা আল ফাতিহা,
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন : কল্যাণের চেয়ে কল্যাণকারী হলো উত্তম আর মন্দের চেয়েও মন্দ কাজে জড়িত ব্যক্তি নিকৃষ্টতর।
তিনি বলেন : আল্লাহ্ যাকে অবাধ্যতার লাঞ্ছনা থেকে আনুগত্যের স্থানে স্থানান্তরিত করেন তাকে বিনা সম্পদে ধনী করেন এবং বিনা পরিজনে তাকে সম্মানিত করেন ও বিনা (বন্ধু বা) সঙ্গীতে তাকে শান্তি দেন। যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ্ তার প্রতি সবকিছুকে ভীত রাখেন, আর যে আল্লাহকে ভয় করে না আল্লাহ্ তার জন্য সবকিছুকে ভয়ানক করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর দেয়া কম জীবিকাতেই খুশী থাকে আল্লাহ্ তার খুব কম কাজেই সন্তুষ্ট হন। আর যে ব্যক্তি হালাল রিজিক বা জীবিকা অন্বেষণে লজ্জা পায় না সে মিতব্যয়ী হয় ও নিশ্চিন্ত থাকে আর তার পরিবার নেয়ামতের মধ্যে বিচরণ করে। যে ব্যক্তি দুনিয়ার প্রতি নির্মোহ থাকে আল্লাহ্ তার অন্তরে প্রজ্ঞাকে প্রোথিত করে দেন এবং তার জিহ্বাকে তা দিয়ে কথা বলান এবং তাকে দুনিয়ার ভুলগুলোর প্রতি দৃষ্টি খুলে দেন যাতে এর যন্ত্রণাকেও উপলব্ধি করে আর তার ঔষধকেও জানতে পারে। আর তাকে নিরাপদে দুনিয়া থেকে বের করে স্থায়ী আবাসস্থলে নিয়ে যান।
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন : বিপদগ্রস্তদের বিচ্যুতিগুলোকে মার্জনা করো।
মহানবী বলেন : দুনিয়ার সংযমশীলতা হলো আশাকে খাটো করা এবং প্রত্যেক নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা আর আল্লাহ্ যা নিষিদ্ধ করেছেন তার সবকিছু থেকে বিরত থাকা।
তিনি বলেন : কোনো উত্তম কাজকেই লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করো না আর লজ্জার বশে তা পরিত্যাগ করো না।
রাসূলে পাক (সা.) বলেন : আমি আমার উম্মতের ওপর তিনটি জিনিসের কারণে উদ্বিগ্ন : পাল্লাভারী কার্পণ্য, অনুসৃত রিপুর কামনা আর পথভ্রষ্ট নেতা।
মহানবী বলেন : যে ব্যক্তির দুঃখ বেশি তার দেহ রুগ্ন আর যে ব্যক্তির চরিত্র খারাপ সে নিজেকে শাস্তি দেয় আর যে পুরুষদের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হয় তার পৌরুষত্ব ও মর্যাদা হারিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেছেন : জেনে রাখ, আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হলো তারা যাদের অনিষ্টতার ভয়ে সম্মান করে। আর সাবধান, যে মানুষের অনিষ্টতার ভয়ে তাকে সম্মান করে সে আমার থেকে নয়।
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন : আমার উম্মতের মধ্যে যে দিনাতিপাত করে আর তার উদ্দেশ্য থাকে আল্লাহ্ ভিন্ন অন্য কিছু, সে আল্লাহর রহমত ও সাহায্যপ্রাপ্ত নয়। আর যে মুসলমানদের সমস্যার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয় না সে তাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। আর যে সাগ্রহে অপমানকে মাথা পেতে নেয় সে আমাদের আহলে বাইতের অনুসারী নয়।
তিনি (সা.) মুআযের পুত্র বিয়োগের শোকনামায় তাঁকে এভাবে লিখে পাঠান : এ পত্রটি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর কাছ থেকে মুআয ইবনে জাবালের প্রতি, সালামুন আলাইকুম। আমি মহান আল্লাহর প্রশংসা জ্ঞাপন করছি যিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। পরসমাচার, আমার কাছে সংবাদ এসেছে যে, তুমি তোমার সেই পুত্রের শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছ যাকে আল্লাহ স্বীয় সিদ্ধান্তে মৃত্যু দান করেছেন। নিশ্চয় তোমার সন্তান আল্লাহর সুখকর দান ছিল যাকে তিনি তোমার কাছে আমানতস্বরূপ রেখেছিলেন এবং মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট ক্ষণে তাকে ফিরিয়ে নিয়েছেন। নিশ্চয় আমরা আল্লার কাছ থেকে এসেছি এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাব।
বিশ্বনবী (সা.)'র ওই লিখিত বাণীতে আরো এসেছে: (হে মুআয) তোমার অস্থিরতা যেন তোমার সওয়াবকে বিনষ্ট করে না দেয়। আর যদি তোমাদের বিপদের সওয়াব লাভ করতে চাও তা হলে জেনে রাখ যে, আত্মসমর্পণকারী ও ধৈর্যশীলদের ওপর আপতিত বিপদের বিনিময়স্বরূপ আল্লাহ্ তাদের জন্য যে সওয়াব প্রস্তুত করে রেখেছেন তার তুলনায় বিপদ খুবই কম এবং স্বল্পস্থায়ী। জেনে রাখ, অস্থিরতা ও বিলাপ মৃতকে ফিরিয়ে আনবে না আর তাঁর নির্ধারিত বিষয়কে প্রতিহত করতে পারবে না। কাজেই শোকে শান্ত হও এবং নির্ধারিত প্রতিশ্রুতিকে মেনে নাও। এমন যেন না হয়, যে বিষয়টি তোমার নিজের সাথে এবং সকল মানুষের সাথে অনিবার্য সম্বন্ধযুক্ত তা নিয়ে দুঃখ করবে যা নির্ধারিত মতে অবতীর্ণ হবে। ওয়াস্ সালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্।
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন : কিয়ামতের লক্ষণাগুলোর মধ্যে রয়েছে কোরআন পাঠকারীর আধিক্য আর ফকিহদের স্বল্পতা এবং শাসকদের আধিক্য আর বিশ্বস্তদের স্বল্পতা ও বেশি বৃষ্টি আর স্বল্প গাছ-গাছালি।
তিনি বলেন : যে ব্যক্তি নিজ প্রয়োজনের কথা আমার কাছে প্রকাশ করতে পারে না তার প্রয়োজনের কথা আমার কাছে পৌঁছাও। কেননা, যে ব্যক্তি ঐ লোকের প্রয়োজনের কথা সুলতান (তথা শাসক) কাছে পৌঁছে দেয় যে তা প্রকাশ করতে পারে না, আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার দুই পাকে সিরাতের ওপর অটল রাখবেন।
মহানবী আরো বলেন : দু’টি জিনিস বিরল বিষয় : নির্বোধের কাছ থেকে প্রজ্ঞাময় কথা, তা গ্রহণ করবে। আর প্রজ্ঞাবানের কাছ থেকে অশালীন কথা, তা মার্জনা করবে।
রাসূলে পাক (সা.) বলেন : অলসের তিনটি নিদর্শন রয়েছে : আলসেমি করবে যতক্ষণ না অবহেলায় পর্যবসিত হবে, আর অবহেলা করবে যতক্ষণ না হাতছাড়া হবে, আর হাতছাড়া করবে যতক্ষণ না পাপী হবে।
সূত্রঃ তেহরান রেডিও

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন