সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হজরত মোহাম্মাদ (সা.) -১৪

সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হজরত মোহাম্মাদ (সা.) -১৪

সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হজরত মোহাম্মাদ (সা.) -১৪

Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, hussain, mohammad, imam mahdi ,সূরা মরিয়ম, হজরত মরিয়ম, হজরত ঈসা, সূরা মারিয়াম, কুরআন, সূরা, মক্কা, হযরত যাকারিয়া, হযরত মারিয়াম, হযরত ইসা, হযরত ইয়াহিয়া, হযরত ইব্রাহিম, হযরত ইসমায়িল, ইদ্রিস, মারিয়াম, এশা, রিযিক, আধ্যাতিকতা, ইমাম মাহদী, চোখের জ্যোতি, মুমিন, ইমাম সাদিক, ইমাম আলী, খোদা, তেলাওয়াত, আল্লাহ, নবী, রাসূল, হযরত মুসা, মুজিযা, রিসালাত, মু’মিন, কিয়ামত, মানুষ, জাহান্নাম, গোনাহ, গোনাহগার, আয়াত, নবুওয়াত, নামাজ, ইবাদত, ওহী, মাদায়েন, মিশর, হিজরত, সূরা ত্বোয়াহা, সূরা আম্বিয়া, আম্বিয়া, সূরা, ফেরেশতা, হযরত লুত, নূহ, হযরত দাউদ, সোলায়মান, ইয়াহইয়া, হযরত ইউনুস, যাকারিয়া, নবী, রাসূল, নেয়ামত, আল্লাহ, ফাতিহা, মক্কা, সূরা আল ফাতিহা,
মহান আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল ও সর্বশেষ নবী (সা.) বলেছেন : জ্ঞান হলো মুমিনের অন্তরঙ্গ সঙ্গী, আর অধ্যবসায় হলো তার সহযোগী, আর বুদ্ধিমত্তা হলো তার পথনির্দেশক, আর ধৈর্য হলো তার সৈন্যদলের সেনাপতি এবং মমতা তার পিতা ও পুণ্যকর্ম তার ভাইয়ের ন্যায়। আদম (আ.) থেকেই বংশ আর তাকওয়া (খোদাভীতি) দ্বারা পরিচয়। আর পৌরুষত্ব হলো সম্পদের পরিশুদ্ধি।
তিনি বলেন : এক ব্যক্তি পান করার জন্য দুধ ও মধু আনলো । তখন তিনি (সা.) বললেন : দু’টি পানীয় রয়েছে। এ দুটি থেকে একটিই যথেষ্ট। আমি একটা পান করব না, নিষিদ্ধও করব না। কিন্তু আল্লাহর জন্য বিনয়ী হব। কারণ, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয়, আল্লাহ্ তাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন। আর যে অহংকার করে, আল্লাহ্ তাকে অপদস্থ করেন। আর যে ব্যক্তি জীবনে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে, আল্লাহ্ তাকে রুজি দান করেন। আর যে ব্যক্তি বাড়াবাড়ি করে আল্লাহ্ তাকে বঞ্চিত করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে বেশি বেশি জিকর বা স্মরণ করে আল্লাহ্ তাকে পুরস্কার দান করেন।
মহানবী (সা.) বলেন : কাল কিয়ামতের মাঠে তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি আমার বেশি কাছে থাকবে যে তোমাদের মধ্যে বেশি সত্যবাদী, বেশি আমানত রক্ষাকারী, বেশি বিশ্বস্ত, বেশি সচ্চরিত্রবান, আর মানুষের বেশি কাছে।
তিনি বলেন : যখন লম্পট প্রশংসিত হয় তখন আরশ কেঁপে ওঠে আর মহাপ্রতিপালক ক্রুদ্ধ হন।
এক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল : হায্ম বা পরিণামদর্শিতা কী? তিনি উত্তরে বললেন : কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির সাথে পরামর্শ করবে ও এরপর তা মেনে চলবে।
একদিন মহানবী (সা.) বললেন : হে লোকেরা তোমাদের মধ্যে আঁটকুড়ে কে? তারা বলল : যে কোনো সন্তান না রেখে মারা যায়। তিনি বললেন : প্রকৃত আঁটকুড়ে হল সেই লোক যে মারা যায়, অথচ এমন সন্তান রেখে যায় নি যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে তার জন্য সৎ কাজ করবে। যদিও মৃত্যুর পরে তার অনেক সন্তান-সন্ততিও থাকে। এরপর বললেন : তোমাদের মধ্যে নিঃস্ব কে? তারা বলল : যার কোনো সম্পদ নেই। তিনি বললেন : প্রকৃত অর্থে নিঃস্ব হলো সে যে নিজ মাল-সম্পদ থেকে কোনো কিছুই আগে পাঠায়নি যা আল্লাহর কাছে গচ্ছিত থাকবে। যদিও তার পরে অনেক মাল-সম্পদই থেকে যায়।
এরপর বিশ্বনবী (সা.) বললেন : তোমাদের মধ্যে বীর কে? সবাই বলল : যে ব্যক্তি কঠোর এবং শক্তিশালী, কখনো সে ধরাশায়ী হয় না। তিনি বললেন : প্রকৃত অর্থে বীর হলো সেই ব্যক্তি যার মনে শয়তান মুষ্টাঘাত মারে এবং প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হয় ও তার রক্ত টগবগ করে ফুটতে থাকে। এরপর সে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজ শৌর্য দিয়ে রাগ দমন করে।
তিনি বলেন : যে ব্যক্তি না জেনে কাজ করে সে যতটা না ভালো করে তার চেয়ে বেশি খারাপ করে।
তিনি আরো বলেন : মসজিদের নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকা ইবাদত যতক্ষণ না কোনো মন্দ করে। বলা হলো : হে রাসূলুল্লাহ্! কি মন্দ করে? তিনি বললেন : পরনিন্দা।
রাসূল (সা.) বলেন : রোজাদার ব্যক্তি ইবাদতের মধ্যে থাকে, এমনকি যদি নিজ বিছানায় ঘুমিয়েও থাকে। যতক্ষণ না সে কোনো মুসলমানের গিবত করে।
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন: যে অশ্লীলতাকে প্রকাশ করে সে তা সম্পাদনকারীর সমতুল্য, আর যে কোনো মুমিনকে কোনো দোষে দোষারোপ করে সে ততক্ষণ মৃত্যুবরণ করে না যতক্ষণ সে নিজেও সেই দোষের কাজ করে।
তিনি বলেন : তিন ধরনের লোক রয়েছে যাদেরকে তুমি অত্যাচার না করলেও তারা তোমাকে অত্যাচার করবে। নিকৃষ্টরা, তোমার স্ত্রী আর তোমার ভৃত্য। ( উল্লেখ্য, এখানে উদ্দেশ্য হলো এ তিন দল তাদের প্রাপ্য নিয়ে সন্তুষ্ট হয় না। তাই তাদের বাড়াবাড়ির প্রবণতা থাকে। কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে, তাদের ওপর অত্যাচার জায়েজ। বরং তাদের সাথে মানিয়ে চলতে হবে এবং বৈধভাবে তাদের প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করতে হবে যেন তারা মানুষকে পেয়ে না বসে।)
মহানবী (সা.) বলেন, হতভাগ্যের লক্ষণ চারটি : চোখের শুষ্কতা বা ক্রন্দনহীনতা, অন্তরের কাঠিন্য, দুনিয়া কামনায় অতিশয় লোভ আর পাপকর্মে পীড়াপীড়ি।
এক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-কে বলল : আমাকে উপদেশ দিন। তখন তিনি বললেন : রাগ করবে না। পুনরায় সে আবেদন জানালো। তিনি বললেন : রাগ করবে না। এরপর বললেন : বীরত্ব এটা নয় যে, প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করবে। নিশ্চয়ই বীরত্ব হলো রাগের সময় ধৈর্য ধরতে পারা।
বিশ্বনবী (সা.) বলেন : সেই মুমিনই ঈমানে পূর্ণাঙ্গতর যে চরিত্রে বেশি উন্নত বা উত্তম।
তিনি বলেন : কোনো বিষয়ে নমনীয়তা মানুষের জন্য অলংকার হয়ে দাঁড়ায় আর কোনো বিষয়ে বেশি কঠোরতা তার জন্য অসুন্দর হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি আরো বলেছেন : পোশাক বিত্তের প্রকাশ করে আর ভৃত্যের প্রতি দয়া শত্রুকে দমন করে। আমি আদিষ্ট হয়েছি মানুষের সাথে মানিয়ে চলতে যেমনভাবে আদিষ্ট হয়েছি রেসালাত প্রচারে। তোমার প্রত্যেক কাজে গোপনীয়তার সাহায্য নাও। কারণ, প্রত্যেক নেয়ামতের অধিকারীকে হিংসা গ্রাস করে।
তিনি বলেন : ঈমানের দু’টি ভাগ। অর্ধেক হলো ধৈর্যের মধ্যে আর অর্ধেক কৃতজ্ঞতার মধ্যে।
রাসূলে পাক (সা.) আরো বলেন : অঙ্গীকার মেনে চলা ঈমানের অঙ্গ ও বাজারে খাওয়া হীন কাজ।
বিশ্বনবী (সা.) বলেন : সবই প্রার্থনা করো আল্লাহর দরবারে। সেগুলোকে তার মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে কায়মনে আল্লাহর কাছ থেকে কামনা করো। এরপর আল্লাহ সেসব থেকে যা কিছু তোমাদেরকে দান করেন, সেগুলোকে ধৈর্যসহ গ্রহণ করো।
তিনি আরো বলেছেন : মুমিনের জন্য বিস্ময় যে, আল্লাহ্ তার জন্য কোনো কিছুই ধার্য করেন না যদি না তা তার জন্য কল্যাণকর হয়, চাই সে খুশী হোক আর চাই অপছন্দ করুক। যদি তাকে বিপদ দেন তা হলে সেটা তার পাপের খণ্ডন আর যদি তাকে কিছু দান করেন এবং সম্মানিত করেন তা হলে এটা তার প্রতি আল্লাহর দান।
সূত্রঃ তেহরান রেডিও

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন