সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হজরত মোহাম্মাদ (সা.) -১৩

সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হজরত মোহাম্মাদ (সা.) -১৩

সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হজরত মোহাম্মাদ (সা.) -১৩

Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, hussain, mohammad, imam mahdi ,সূরা মরিয়ম, হজরত মরিয়ম, হজরত ঈসা, সূরা মারিয়াম, কুরআন, সূরা, মক্কা, হযরত যাকারিয়া, হযরত মারিয়াম, হযরত ইসা, হযরত ইয়াহিয়া, হযরত ইব্রাহিম, হযরত ইসমায়িল, ইদ্রিস, মারিয়াম, এশা, রিযিক, আধ্যাতিকতা, ইমাম মাহদী, চোখের জ্যোতি, মুমিন, ইমাম সাদিক, ইমাম আলী, খোদা, তেলাওয়াত, আল্লাহ, নবী, রাসূল, হযরত মুসা, মুজিযা, রিসালাত, মু’মিন, কিয়ামত, মানুষ, জাহান্নাম, গোনাহ, গোনাহগার, আয়াত, নবুওয়াত, নামাজ, ইবাদত, ওহী, মাদায়েন, মিশর, হিজরত, সূরা ত্বোয়াহা, সূরা আম্বিয়া, আম্বিয়া, সূরা, ফেরেশতা, হযরত লুত, নূহ, হযরত দাউদ, সোলায়মান, ইয়াহইয়া, হযরত ইউনুস, যাকারিয়া, নবী, রাসূল, নেয়ামত, আল্লাহ, ফাতিহা, মক্কা, সূরা আল ফাতিহা,
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন : নিশ্চয় যে ব্যক্তি জ্ঞান শিক্ষা করে নির্বোধদের সাথে বিতর্ক করার জন্য কিংবা জ্ঞানীদের সাথে গর্ব করার জন্য কিংবা জনগণকে তার দিকে আকৃষ্ট করার জন্য যাতে তারা তাকে বড় বলে মানে, তার স্থান হবে জাহান্নামে। কারণ, আল্লাহ্ ও তার (জ্ঞানের প্রকৃত) অধিকারীদের ছাড়া আর কারো জন্য নেতৃত্ব শোভা পায় না। আর যে ব্যক্তি নিজেকে এমন পদে বসায় যা আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য নির্ধারিত স্থান থেকে ভিন্ন, আল্লাহ্ তার ওপর ক্রুদ্ধ হন। আর যে ব্যক্তি জনগণকে নিজের দিকে আহ্বান করে এবং বলে আমি তোমাদের সর্দার, অথচ সে সেরূপ নয়, আল্লাহ্ তার দিকে তাকান না যতক্ষণ না সে তার কথা থেকে ফিরে আসে এবং আল্লাহর দরবারে নিজের ওই দাবি থেকে তওবা করে।
তিনি আরো বলেন : তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি আমার থেকে সবচেয়ে দূরে যে কৃপণ, কটুভাষী ও গালমন্দকারী।
মহানবী (সা.) বলেন : দুর্ব্যবহার হল অনিষ্টতা।
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন : যখন কোনো লোককে দেখবে যে, নিজে কি বলে কিংবা তার সম্পর্কে কি বলা হয় সে ব্যাপারে পরোয়া করে না নিশ্চয় সে জারজ, না হয় শয়তান।
তিনি বলেন : আল্লাহ্ বেহেশত নিষিদ্ধ করেছেন প্রত্যেক কটুভাষী গালমন্দকারী ও লজ্জাহীন লোকের জন্য যে পরোয়াই করে না যে, কি বলছে কিংবা তার সম্পর্কে কি বলা হচ্ছে। জেনে রাখ, যদি তার বংশ তল্লাশি করো তা হলে দেখতে পাবে যে, হয় সে জারজ, না হয় শয়তানের ঔরস থেকে। বলা হলো : হে রাসূলুল্লাহ্! মানুষের মধ্যে কি শয়তান রয়েছে? বললেন : হ্যাঁ, তোমরা কি পড়ো না, আল্লাহর বাণী, ‘আর অংশীদার হও তাদের মাল-সম্পদে আর সন্তান-সন্ততিতে।’
তিনি আরো বলেন : যাকে তুমি উপকার করবে সে তোমার উপকার করবে। আর যে ব্যক্তি সময়ের অপ্রত্যাশিত দিনগুলোর জন্য ধৈর্যের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে না সে ব্যর্থ হবে। আর যে মানুষের ভুল-ত্রুটি ধরে তারাও তার ভুল-ত্রুটি ধরবে। আর যতই মানুষকে ছাড় দিক না কেনো তারা তাকে ছাড় দিবে না। বলা হলো : হে রাসূলুল্লাহ্! তা হলে আমরা কী করব? তিনি বললেন : তোমরা তোমাদের সম্মান বা সম্পদ থেকে তাদেরকে ধার তথা তাদের জন্য শ্রম ও অর্থ দাও তোমাদের অভাবের দিনের জন্য।
মহানবী (সা.) বলেন : আমি কি তোমাদেরকে ইহকাল ও পরকালের সবচেয়ে উত্তম চরিত্রের নির্দেশনা দান করব না? তার সাথে সম্পর্ক জোড়া লাগাও যে তোমার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে, আর দান করো তাকে যে তোমার সঙ্গে কৃপণতা করেছে, আর ক্ষমা করো তাকে যে তোমার ওপর অত্যাচার করেছে।
একদিন বিশ্বনবী (সা.) বের হলেন যখন একদল লোক একটি পাথরকে নিক্ষেপ করছিল। তখন তিনি বললেন : তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি হলো সে যে রাগের সময় আত্মসংবরণ করতে পারে আর সবচেয়ে বড় ভারোত্তলনকারী হলো সে যে (প্রতিশোধ গ্রহণের) ক্ষমতা থাকার পরও ক্ষমা প্রদর্শন করে।
তিনি বলেছেন : তোমাদের মধ্যে ঈমানের দিক দিয়ে সেই সর্বোত্তম যে সবচেয়ে বেশি সচ্চরিত্রবান।
মহানবী বলেন : সচ্চরিত্র তার অধিকারীকে সারাদিন রোযা রাখা ও সারারাত জেগে ইবাদত করা ব্যক্তির সমান মর্যাদায় পৌঁছে দেয়। তখন বলা হলো : বান্দার প্রতি সবচেয়ে উত্তম দান কী? তিনি বললেন : উত্তম চরিত্র।
তিনি বলেন : সচ্চরিত্র বন্ধুত্বকে মজবুত করে।
তিনি আরো বলেছেন : হাসিখুশি মুখ শত্রুতাকে দূর করে দেয়।
আল্লাহর সর্বশেষ রাসূল (সা.) বলেন : তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে সচ্চরিত্রবান ব্যক্তিরাই হলো সর্বোত্তম যারা (অপরের সাথে সহজেই) সম্পর্ক গড়ে এবং (তাদের) সম্প্রীতির আহ্বানকে গ্রহণ করে।
মহানবী বলেন : হাতগুলো তিন ধরনের : প্রার্থীর, দানশীলের আর কৃপণের। আর সর্বোৎকৃষ্ট হাত হলো দানশীল হাত।
তিনি বলেন : লজ্জা দু’টি : বুদ্ধিমত্তার লজ্জা আর বোকামি-প্রসূত লজ্জা। বুদ্ধিমত্তার লজ্জা জ্ঞানের পরিচয় বহন করে আর বোকামি-প্রসূত লজ্জা মূর্খতার পরিচায়ক।
তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেন : যে ব্যক্তি লজ্জার ঢাকনাটি দূরে ফেলে দেয় তার গীবতে (বা পরনিন্দা) কোনো দোষ নেই।
মহানবী বলেন : যে ব্যক্তি আল্লাহতে এবং পরকালে বিশ্বাস রাখে সে যেন কৃত অঙ্গীকার রক্ষা করে।
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন : আমানতদারী (বিশ্বস্ততা) রুজি আনে আর বিশ্বাসঘাতকতা আনে অভাব ও দরিদ্রতা।
তিনি বলেন : সন্তান যখন তার বাবা মায়ের দিকে মমতাপূর্ণ দৃষ্টি দেয় তা হয় ইবাদতের সমতুল্য।
তিনি বলেন : কঠিন বিপদ হলো যখন কোনো লোককে হাত বেঁধে সামনে আনা হয় এবং তার গর্দান নেয়া হয়। আর বন্দী যতক্ষণ শত্রুর হাতে আটক থাকে এবং কোনো পুরুষ তার স্ত্রীর পেটের ওপর আরেক জন পুরুষকে দেখতে পায়।
সম্ভবত রাসূল (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ.) তাঁর সহচরদের বলেন : নিজেদেরকে আল্লাহর বন্ধু করো এবং তাঁর নৈকট্য লাভ করো। তারা বলল : হে রুহুল্লাহ্! কিভাবে আমরা নিজেদেরকে আল্লাহর বন্ধু করব? তিনি বললেন : অবাধ্য ও পাপাচারী লোকদেরকে ঘৃণা আর তাদের ক্রোধের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টিকে অন্বেষণ করো। তারা বলল : হে রুহুল্লাহ্! তা হলে কাদের সাথে আমরা ওঠাবসা করব? তিনি বললেন : তার সাথে যাকে দেখলে তোমার মনে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়, আর যার কথা তোমার জ্ঞানকে বাড়িয়ে দেয়, আর যার কাজ তোমাকে পরকালের প্রতি উৎসাহিত করে।
সম্ভবত রাসূল (সা.) থেকে আরো বর্ণিত হয়েছে, মহান আল্লাহ্ বলেছেন : 'এটা তথা ইসলাম হলো সেই ধর্ম যা আমি নিজের জন্য পছন্দ করেছি। আর উদারতা ও সচ্চরিত্র ছাড়া তা উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয় না। কাজেই তোমরা যতক্ষণ ইসলামের সহচর থাকবে এবং এ দু’টির মাধ্যমে তার মর্যাদা রক্ষা করবে।'
সূত্রঃ তেহরান রেডিও

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন