ইমাম মূসা কাযিম (আ.) এর হাদীস - ১

খোদার হুজ্জাত إِنَّ لِلّهِ عَلَی النّاسِ حُجَّتَینِ، حُجَّةً ظاهِرَةً وَ حُجَّةً باطِنَةً، فَأمّا الظّاهِرَةُ فَالرُّسُلُ وَ الاَْنْبِیاءُ وَ الاَْئِمَّةُ وَ أَمَّا الْباطِنَةُ فَالْعُقُولُ.»: মহান আল্লাহ মানুষের জন্য দুটি হুজ্জাত দান করেছেনঃ প্রকাশ্য হু

ইমাম মূসা কাযিম (আ.) এর হাদীস - ১
খোদার হুজ্জাত
إِنَّ لِلّهِ عَلَی النّاسِ حُجَّتَینِ، حُجَّةً ظاهِرَةً وَ حُجَّةً باطِنَةً، فَأمّا الظّاهِرَةُ فَالرُّسُلُ وَ الاَْنْبِیاءُ وَ الاَْئِمَّةُ وَ أَمَّا الْباطِنَةُ فَالْعُقُولُ.»:
মহান আল্লাহ মানুষের জন্য দুটি হুজ্জাত দান করেছেনঃ প্রকাশ্য হুজ্জাত এবং গোপন হুজ্জাত। প্রকাশ্য হুজ্জাত হচ্ছে রাসুলগণ, নবীগণ এবং ইমামগণ, গোপন হুজ্জাত হচ্ছে মানুষের বিবেক বা আক্বল। (আল কাফি, খন্ড ১ , পৃষ্ঠা ১৬, হাদীস নং ১২, তোহফা আল উকুল, পৃষ্ঠা ৪০৭, বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৭৮, পৃষ্ঠা ৩০০)
উক্ত হাদীস থেকে স্পষ্ট হয় যে খোদা মানুষকে দুই প্রকার হুজ্জাত দান করেছেন।
কোরআনের দৃষ্টিতে হুজ্জাতঃ
এটি ছিল আমার যুক্তি, যা আমি ইব্রাহীমকে তাঁর সম্প্রÞদায়ের বিপক্ষে প্রদান করেছিলাম। আমি যাকে ইচ্ছা মর্যাদায় সমুন্নত করি। আপনার পালনকর্তা প্রজ্ঞাময়, মহাজ্ঞানী । (সূরা আনআম আয়াত নং ৮৩)
তাদের কাছে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়,তখন একথা বলা ছাড়া তাদের কোন মুক্তিই থাকে না যে, তোমরা সত্যবাদী হলে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে নিয়ে আস। (সূরা জাসিয়া আয়াত নং ২৫)
আল্লাহর দ্বীন মেনে নেয়ার পর যারা সে সম্পর্কে বিতর্কে প্রবৃত্ত হয়,তাদের বিতর্ক তাদের পালনকর্তার কাছে বাতিল, তাদের প্রতি আল্লাহর গযব এবং তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর আযাব। (সূরা আশ শুরা আয়াত নং ১৬)

উল্লেখিত আয়াত সমূহ থেকে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয় তা হচ্ছে হুজ্জাত বিষয়টি এতই বেশী গুরুত্বপূর্ণ যে যদি কেউ তা অস্বীকার করে তাহলে সে সে খোদার রোষনলে পতিত হবে।

বাহ্যিক হুজ্জাতঃ
- রাসুলগণ।
- নবীগণ।
- ইমামগণ।
কয়েকটি বিষয় হুজ্জাত সম্পর্কেঃ
- খোদার পৃথিবী কখনই হুজ্জাত ব্যাতিত ছিল না।
- খোদার হুজ্জাত নির্বাচনের কোন অধিকার মানুষের নাই।
- আহলে বাইতের মতাদর্শ অনুযায়ি পৃথিবী কখনও হুজ্জাত ব্যাতিত ছিল না।
- ইমাম মাহদী যিনি হচ্ছেন খোদার হুজ্জাত তিনি বর্তমানে লোক চক্ষুর অন্তারালে রয়েছেন।

গোপন হুজ্জাত হচ্ছেঃ
মানুষের জন্য গোপন হুজ্জাত হচ্ছে আক্বল। যে আক্বলের মাধ্যমে মানুষ ভাল ও খারাপ নির্ধারণ করতে পারে যেমনঃ জুলুম অত্যাচার, মিথ্যা কথা বলা, জবর দখল করা। অনুরূপভাবে যেমনঃ সত্য কথা বলা, নবী ও ইমামদের পথের অনুরণ করা ইত্যাদি। আল্লাহ দুনিয়ার বুকে সর্বপ্রথম যে মানুষকে প্রেরণ করেন তিনি হচ্ছেন নবী । কেননা সারা দুনিয়াতে একজন মানুষ থাকলেও খোদা তার জন্য নবীকে প্রেরণ করেছেন অনুরূপভাবে মানুষকে জন্মদানের সাথে সাথে তাকে আক্বল দান করেছেন যেন সে তার মাধ্যমে ভাল ও মন্দকে বুঝতে পারে।

মহান আল্লাহ মানুষকে নবী রাসুল এবং ইমাম রূপে এবং অপর হুজ্জাত দান করেছেন আক্বল হিসেবে। সুতরাং হুজ্জাতকে বুঝতে বা চিনতে হলে এক হুজ্জাতের মাধ্যমে আরেক হুজ্জাতকে চিনতে হবে। তখনই মানুষ হেদায়াত প্রাপ্ত হবে।

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন