নেতানিয়াহু: ফিলিস্তিনিদেরকে ইসরাইল রাষ্ট্র মেনে নিতেই হবে

নেতানিয়াহু: ফিলিস্তিনিদেরকে ইসরাইল রাষ্ট্র মেনে নিতেই হবে

নেতানিয়াহু: ফিলিস্তিনিদেরকে ইসরাইল রাষ্ট্র মেনে নিতেই হবে

নেতানিয়াহু, ফিলিস্তিন, ইসরাইল, আমেরিকা, ইহুদি, ফিলিস্তিন, ওয়াশিংটন, মার্কিন, Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী সাকি
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যে তাদের আগ্রাসী তৎপরতা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

আমেরিকায় সফররত ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা থেকে বোঝা যায়, ইসরাইল শান্তিতে বিশ্বাসী নয় বরং তারা সংলাপের বিষয়টিকে এ অঞ্চলে আগ্রাসী তৎপরতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী আবারো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের স্বদেশে ফিরে আসার সুযোগ না দেয়া এবং ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলকে মেনে নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনে ইহুদিবাদী লবি আমেরিকান-ইসরাইল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি বা আইপ্যাকের বার্ষিক বৈঠকে এসব কথা বলেছেন।
আইপ্যাক সম্মেলনে নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনিদেরকে অবশ্যই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে হবে। তিনি ফিলিস্তিন শরণার্থীদের দিয়ে ইসরাইলকে ডুবিয়ে দেয়ার মত বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রতি আহবান জানান। আইপ্যাক সম্মেলনে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তিনি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগের চেয়ে আরো কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এ ছাড়া, তার এ উগ্র বক্তব্য থেকে মধ্যপ্রাচ্যে আগ্রাসী তৎপরতা অব্যাহত রাখার জন্য মার্কিন সবুজ সংকেতেরও প্রমাণ পাওয়া যায়। এটা সবারই জানা যে, দখলদার ইসরাইলের প্রতি মার্কিন কর্মকর্তাদের সমর্থন সবসময়ই বজায় ছিল এবং এ ব্যাপারে তারা বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি।
উল্লেখ করা যায়, প্রেসিডেন্ট ওবামাসহ আমেরিকার অন্যান্য কর্মকর্তারা একদিকে নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরে আসার আগেই চলমান আপোষ আলোচনার ব্যর্থতার ব্যাপারে হুশিয়ার করে দিয়েছিলেন অন্যদিকে ইসরাইলের প্রতি মার্কিন সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা বজায় রাখারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অবশ্য এ ক্ষেত্রে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার জন্য মার্কিন সরকারের ওপর ওয়াশিংটনে অবস্থিত ইহুদিবাদী লবি আমেরিকান-ইসরাইল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি বা আইপ্যাকেরও ব্যাপক চাপ থাকার বিষয়টি উপেক্ষা করা যায় না। আইপ্যাক এতটাই প্রভাব বিস্তার করে আছে যে, মার্কিন কর্মকর্তারা ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইহুদিবাদী লবির নির্দেশনা মেনে চলতে বাধ্য হচ্ছেন।
আমেরিকায় এমন সময় আইপ্যাকের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী সেদেশ সফরে গেলেন যখন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে আগ্রাসন অব্যাহত রাখায় ব্যাপক নিন্দা, প্রতিবাদ ও সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে। এ প্রতিবাদ ইউরোপীয় দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে এবং প্রতিবাদকারীরা অবৈধ ইহুদি বসতিতে নির্মিত পণ্য সামগ্রী বর্জনের আহবান জানিয়েছে।
অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, মার্কিন কর্মকর্তাদের ঘন ঘন ইসরাইল সফরের ফলে আগ্রাসী তৎপরতা চালানোর ক্ষেত্রে ইসরাইল আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহুর বক্তব্য থেকেও তাদের ঔদ্ধত্যের প্রমাণ পাওয়া যায়।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন