টাইফুনের অজুহাতে ফিলিপাইনে থেকে যাবে মার্কিন সেনারা? 

টাইফুন হাইয়ানের পর উদ্ধার ও ত্রাণ ততপরতার নামে ফিলিপাইনে মার্কিন ৩১তম অভিযান পরিচালনাকারী ইউনিটের ১,০০০ সেনা পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে রয়েছে যুদ্ধজাহাজের নৌবহর ও বিমানবাহী রণতরী।

টাইফুনের অজুহাতে ফিলিপাইনে থেকে যাবে মার্কিন সেনারা? 
টাইফুন হাইয়ানের পর উদ্ধার ও ত্রাণ ততপরতার নামে ফিলিপাইনে মার্কিন ৩১তম অভিযান পরিচালনাকারী ইউনিটের ১,০০০ সেনা পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে রয়েছে যুদ্ধজাহাজের নৌবহর ও বিমানবাহী রণতরী।

তাদের এই অবস্থানের পর এরইমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে- ফিলিপাইনে মার্কিন সেনা উপস্থিতি জোরদার করা হলো কিনা। তবে, পেন্টাগন তা অস্বীকার করেছে। তারা বলছে- টাইফুনে উদ্ধার ও ত্রাণ ততপরতার জন্য সেনা পাঠিয়ে আমেরিকা ফিলিপাইনে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করতে চায় না।

পেন্টাগনের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি জর্জ লিটলের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘দ্যা হিল’ পত্রিকা একটি রিপোর্ট করেছে। এতে জর্জ লিটল বলেছেন, “আমি নিশ্চিত নই যে, উদ্ধার অভিযানের সঙ্গে সামরিক উপস্থিতির সরাসরি কোনো সম্পর্ক আছে কিনা।” তিনি বলেন, এরইমধ্যে পেন্টাগন এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। সে কারণে আমি মনে করি না যে, ত্রাণ ততপরতা ও সামরিক শক্তি জোরদার করার মধ্যে কোনো সরাসরি যোগসূত্র আছে।”

ফিলিফাইনে টাইফুন হাইয়ান আঘাত হানার পর উদ্ধার অভিযানের জন্য আমেরিকা দেশটিতে পরমাণু শক্তিচালিত বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ জর্জ ওয়াশংটিনের সঙ্গে আরো কয়েকটি ক্রুজার ও ডেস্ট্রয়ার পাঠিয়েছে। এছাড়া, ইউএসএস জার্মানটাউন ও ইউএসএস আশল্যান্ড ফিলিপাইনের পথে রয়েছে। এ থেকে আশঙ্কা জোরদার হচ্ছে যে, ফিলিপাইনে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি জোরদার হচ্ছে।

মার্কিন সামরিক উপস্থিতির বিষয়ে যখন আমেরিকা ও ফিলিপাইন আলোচনা করছিল ঠিক তখনই হাইয়ান আঘাত হানে। এশিয়ায় সামরিক শক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে ওবামা প্রশাসন গত বছর ফিলিপাইনে সেনা উপস্থিতি বাড়িয়েছে। এশিয়ার কয়েকটি দেশ চলতি বছর সামরিক সহায়তা হিসেবে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে তিন কোটি ডলার পাবে। ২০১১ সালে এ সহায়তা ছিল এক কোটি ১৯ লাখ ডলার।

সূত্রঃ রেডিও তেহরান

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন