ফিতরুস ফেরেস্তা ও ইমাম হুসাইন (আ.)এর শেফায়াত

ফিতরুস মালায়েকা ছিল খোদার আরশ বহণকারী খোদার কোন এক নির্দেশ পালনে দেরী করাতে তার ডানা ভেঙ্গে যায় এবং সে এক দ্বীপে আটকা পড়ে এবং সে সেখোনে ৭০০ বছর খোদার ইবাদত করতে থাকে। যখন ইমাম হুসাইন (আ.) জন্মগ্রহণ করেন তখন আল্লাহ তায়ালা হজরত জিব্রাইলকে এক হাজার ফেরেস

ফিতরুস ফেরেস্তা ও ইমাম হুসাইন (আ.)এর শেফায়াত

এস, এ, এ

ফিতরুস মালায়েকা ছিল খোদার আরশ বহণকারী খোদার কোন এক নির্দেশ পালনে দেরী করাতে তার ডানা ভেঙ্গে যায় এবং সে এক দ্বীপে আটকা পড়ে এবং সে সেখোনে ৭০০ বছর খোদার ইবাদত করতে থাকে। যখন ইমাম হুসাইন (আ.) জন্মগ্রহণ করেন তখন আল্লাহ তায়ালা হজরত জিব্রাইলকে এক হাজার ফেরেস্তা সহ প্রেরণ করেন যেন তারা হজরত মুহাম্মাদ (সা.) কে অভিনন্দন জানানোর জন্য পৃথিবীর বুকে অবতরণ করে। যখন ফিতরুস ফেরেস্তা হজরত জিব্রাইলকে দেখে তখন তাকে জিজ্ঞাসা করে আপনি কোথায় যাচ্ছেন? জিব্রাইল তার জবাবে বলে খোদা রাসুল (সা.) কে নেয়ামত দান করেছেন তাই আমরা তাকে অভিনন্দন জানাতে যাচ্ছি। ফিতরুস বলেঃ তাহলে আমাকেও তোমাদের সাথে নিয়ে চল। যদি রাসুল (সা.) আমার জন্য দোয়া করেন তাহলে আমার সমস্যার সমাধান হবে। যখন তাকে রাসুল (সা.) এর কাছে আনা হয় তখন রাসুল (সা.) বলেনঃ তুমি নিজেকে এই নবজাতকের শরীরের সাথে স্পর্শ কর, যেন তুমি পুনরায় তোমার নিজের স্থানে ফেরে যেতে পার। যখন ফিতরুস রাসুল (সা.) এর কথা শুনে ইমাম হুসাইন (আ.) এর শরীরের সাথে নিজের কে স্পর্শ করায় তখন সে আবার তার ডানা ফিরে পায় এবং আসমানের দিকে ফিরে যায়। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৪৪, পৃষ্ঠা ১৮২)
ফিতরুস যাওয়ার সময় রাসুল (সা.) বলে যে, হে মোহাম্মাদ রাসুল (সা.) আপনার উম্মতেরা এই হুসাইন (আ.) কে শহীদ করবে। তিনি আমাকে যে উপহার দান করেছেন তাই আমি যদি কোন যিয়ারতকারী তার যিয়ারতের জন্য আসে, তার প্রতি সালাম প্রেরণ করে, যদি কেউ তার প্রতি দুরুদ প্রেরণ করে তাহলে আমি তাদের এই আমলকে তার কাছে পৌছে দিব।
অতঃপর যখন সে আবার আসমানের দিকে ফিরে যায় তখন বলেঃ আমি হজরত আহমাদ (সা.) এর নাতী, ইমাম আলী (আ.) এবং হজরত ফাতিমা (সা.আ.) এর সন্তান ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাধ্যমে পরিত্রাণ লাভকারী ফেরেস্তা।(মানাকেবে আলে আবি তালিব, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৭৪, ৭৫

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন