দোয়ার গুরুত্ব -৩

দোয়ার গুরুত্ব -৩

দোয়ার গুরুত্ব -৩
দোয়ার শক্তিতে হযরত যাকারিয়া (আ.) বৃদ্ধ বয়সে মহান আল্লাহ্‌র নিকটে সন্তানের দরখাস্ত করেন এবং মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্‌ উনার দরখাস্তকে গ্রহণ করেন এবং উনাকে ও উনার স্ত্রী যে বন্ধ্যা ছিল তাকে ইয়াহইয়া (আ.) দান করেন।
আমি ভয় করি আমার পর আমার স্বগোত্রকে এবং আমার স্ত্রী বন্ধ্যা; কাজেই আপনি নিজের পক্ষ থেকে আমাকে এক জন কর্তব্য পালনকারী দান করুন। সে আমার স্থালাভিষিক্ত হবে ইয়াকুব বংশের এবং হে আমার পালনকর্তা, তাকে করুন সন্তোষজনক হে যাকারিয়া, আমি তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি, তার নাম ইয়াহইয়া। ইতিপূর্বে এই নামে আমি কারও নাম করণ করিনি। * সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা কেমন করে আমার পুত্র হবে অথচ আমার স্ত্রী যে বন্ধ্যা, আর আমিও যে বার্ধক্যের শেষ প্রান্তে উপনীত। * তিনি বললেনঃ এমনিতেই হবে। তোমার পালনকর্তা বলে দিয়েছেনঃ এটা আমার পক্ষে সহজ। আমি তো পূর্বে তোমাকে সৃষ্টি করেছি এবং তুমি কিছুই ছিলে না।সূরা মারয়াম আয়াত নং ৫ – ৯।
হযরত ঈসা (আ.) নিজের অনুসারীদের দরখাস্ত, দোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহ্‌র নিকতে আসমানি দস্তরখানের আবেদন করে এবং মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্‌ উনার দোয়া কবুল করলেন ও উনার এবং উনার অনুসারীনের জন্য সুস্বাদু খাবার দস্তরখান আসমান হতে অবতীর্ণ হল।
এমনি ভাবে আমি প্রত্যেক নবীর জন্যে শত্রু করেছি শয়তান, মানব ও জিনকে। তারা ধোঁকা দেওয়ার জন্যে একে অপরকে কারুকার্যখচিত কথাবার্তা শিখা দেয়। যদি আপনার পালনকর্তা চাইতেন, তবে তারা এ কাজ করত না। * অতএব, আপনি তাদেরকে এবং তাদের মিথ্যাপবাদকে মুক্ত ছেড়ে দিন যাতে কারুকার্যখচিত বাক্যের প্রতি তাদের মন আকৃষ্ট হয় পরকালে বিশ্বাস করে না এবং তারা একেও পছন্দ করে নেয় এবং যাতে ঐসব কাজ করে, যা তারা করছে। * তবে কি আমি আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য কোন বিচারক অনুসন্ধান করব, অথচ তিনিই তোমাদের প্রতি বিস্তারিত গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছেন? আমি যাদেরকে গ্রন্থ প্রদান করেছি তারা নিশ্চিত জানে যে, এটি আপনার প্রতি পালকের পক্ষ থেকেত্যসহ অবতীর্ণ হয়েছে । অতএব, আপনি সংশয়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। * আপনার প্রতিপালকের বাক্য পূর্ণ সত্য ও সুষম । তাঁর বাক্যের কোন পরিবর্তনকারী নেই। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।
সূরা আন-আম আয়াত নং ১১২ – ১১৫ ।
সূত্রঃ আনসারীয়ানের তথ্য কেন্দ্র

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন