ভুলে যাওয়া এক মহীয়সীর কথা

মহানবী (স.) এর ওফাতের পর তার জীবন কিভাবে কেটেছে তা নিয়ে আদৌ কোন আলোচনা আমরা করি না। আমরা আদৌ কোনদিন জানতে চেষ্টা করেছি যে, তিনি কিভাবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছিলেন? তাঁর পিতা আল্লাহর রাসূল (স.) এর ওফাতের পর তিনি কতদিন বেঁচে ছিলেন এ প্রশ্ন হয়তবা আমাদের

 ভুলে যাওয়া এক মহীয়সীর কথা
হযরত আদম (আ.) এর এ পৃথিবীতে এ পৃথিবীতে আগমনের পর এ পৃথিবীতে অসংখ্য মহিয়সী নারীর আগমন ঘটেছে। যাদের কারো কারো সৎ কর্মের পাল্লা এতটাই ভারী ছিল, যারা মহান আল্লাহর এতটাই অনুগত ছিলেন যে, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ পৃথিবীতেই তাঁদেরকে বেহেশতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন হযরত মারইয়াম (আ.) এবং হযরত আসিয়া... কিন্তু এমন এক ব্যক্তিত্বের নাম আমরা ভুলে গেছি যাকে মহান আল্লাহ বেহেশতের সুসংবাদের চেয়েও উর্ধ্বে, বেহেশতে যত রমনীই প্রবেশ করবে তাদের সকলের সম্রাজ্ঞী হিসেবে সুসংবাদ দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, তাঁর জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে মোটেও আমরা ভাবি না। মহানবী (স.) এর ওফাতের পর তার জীবন কিভাবে কেটেছে তা নিয়ে আদৌ কোন আলোচনা আমরা করি না। আমরা আদৌ কোনদিন জানতে চেষ্টা করেছি যে, তিনি কিভাবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছিলেন? তাঁর পিতা আল্লাহর রাসূল (স.) এর ওফাতের পর তিনি কতদিন বেঁচে ছিলেন এ প্রশ্ন হয়তবা আমাদের দেশের ৯৯% যুবক/যুবতিদের মনে জাগেই না। কেননা হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.) এর জীবনের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিপর্যয়ের কথা আমাদের সমাজে আজও উত্থাপন করা হয় না। অন্য ভাষায় বলতে গেলে এ বিষয়টি ইচ্ছাপ্রবণভাবে আলোচনা করা হয় না। কেননা সেগুলো যদি ফাঁশ হয়ে যায় তবে অনেক সাহাবীই অপরাধীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যান। তাই এ বিষয়টি আমাদের আজও অজানা। প্রকৃত ইসলামকে চিনতে হলে ফাতেমাকে চিনতে হবে। ফাতেমা (আ.) এর জীবনী সম্পর্কে যারা পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হবে তারা রাসূল (স.) এর ওফাতের পর মুসলমানদের মাঝে সৃষ্ট বিভেদের মূল কারণ উদ্ঘাটনে সক্ষম হবেন। রাসূল (স.) এর ইন্তেকালের মাত্র ৯৫ দিনের মাথায় বেহেশতের যুবতিদের সম্রাজ্ঞী মহিয়সী হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.) শত্রুদের আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ভাঙ্গা পাঁজড় নিয়ে এ দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। তিনি তার জানাযাতে মুষ্টিমেয় কিছু সাহাবী ব্যতীত অপর কাউকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেননি, এমনকি তৎতকালীন যুগের খলিফাকেও। কেননা তিনি তাদের উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন। আর বিদায়ের আগে হযরত আলী কে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে ওসিয়ত করেছিলেন: 'হে আলী আমাকে রাতের আধারে গোসল দিও, রাতের আধারে কাফন পরিয়ো এবং আমাকে রাতের আঁধারে দাফন করো।' আর তাই তো আমিরুল মু’মিনীন আলী ইবনে আবি তালিব (আ.), ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন (আ.) (হযরত ফাতেমার দুই সন্তান ও বেহেশতের যুবদের সম্রাট), সালমান ফারসী (রা.), হুযাইফা ইয়েমেনী (রা.), মেকদাদ (রা.) প্রমূখ (যারা রাসূল (স.) এর অতি ঘনিষ্ট সাহাবী হওয়া সত্ত্বেও হযরত আলী (আ.) এর সমর্থন করায় তাদের সম্পর্কেও আলোচনা করা হয় না এবং রাসুল (স.) এর ওফাতের পর তাদের উপর যে সকল বিপর্যয় নেমে এসেছিল সেগুলো বিষয় সাধারণ জনগণকে অবগত করা হয় না।) ব্যতীত আর কাউকে এ জানাযার নামাযে অংশগ্রহণের জন্য খবর দেয়া হয়নি এবং তার ওসিয়ত মোতাবেক রাতের আঁধারেই তাকে দাফন করা হয়েছিল। আর তাই তো আজও তার মাজারের চিহ্নটুকু আমাদের জানা নেই।কিন্তু আজও ফাতিমা জিবীত রয়েছেন মুমিন ও মুমিনাদের অন্তরে।
সূত্রঃ ইন্টারনেট

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন