মোবাহালা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

মোবাহালা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা فمن حاجك فيه من بعد ما جائك من العلم فقل تعالوا ندع ابنائنا و ابنائكم و نسائنا و نسائكم و انفسنا و انفسكم ثم ‏نبتهل فنجعل لعنه الله على الكاذبين (آل عمران: 61). ফখরে রাযি বর্ণনা করেন: যেহেতু নবী করিম (সা.) বনী নাজরানদের

 
মোবাহালা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
 فمن حاجك فيه من بعد ما جائك من العلم فقل تعالوا ندع ابنائنا و ابنائكم و نسائنا و نسائكم و انفسنا و انفسكم ثم ‏نبتهل فنجعل لعنه الله على الكاذبين (آل عمران: 61).
ফখরে রাযি বর্ণনা করেন: যেহেতু নবী করিম (সা.) বনী নাজরানদের জন্য অনেক দলিল প্রমাণ এনেছেন কিন্তু তারা তাদের অজ্ঞতার কারণে নিজেদের কথার উপর অটল ছিল,
তাদেরকে বললেন: আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাকে হুকুম দিয়েছেন যে, যদি যুক্তি প্রমাণকে মেনে না নাও তোমাদের সাথে মোবাহালা করবো। তারা বলল: আমরা যাচ্ছি আমাদের কাজ সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করবো, অতঃপর আপনার কাছে আসবো। যখন ফিরে এলো তাদের পরামর্শদাতা আক্বেবকে বলল: হে আব্দুল মসীহ (মসীহ বা ঈসার বান্দা) আপনার কি দৃষ্টিভঙ্গি? সে বলল: খোদার কসম তোমরা খুব ভাল করেই জানো যে, মোহাম্মদ আল্লাহর পক্ষ হতে প্রেরিত রাসুল এবং তোমাদের ঈসা (আ.) সম্পর্কেও সত্য বাণী নিয়ে এসেছেন ... হযরত মোহাম্মদ (সা.) কাঁধে একটি কালো পশমের আবা পরা অবস্থায় বেড়িয়ে আসলেন এবং ইমাম হোসাইনকে (আ.) কোলে ও ইমাম হাসানের (আ.) হাত ধরে আর হযরত ফাতেমা (সা.) তাঁর পেছনে এবং আলী (আ.) ফাতেমার (সা.) পেছনে যাচ্ছিলেন, এবং নবী করিম (সা.) বলছিলেন: যখনই আমি দোআ করবো তোমরা আমিন বলবে। নাজরানের ওসকোফ (খ্রীষ্টানদের পাদ্রি) যে এই অবস্থাকে দেখছিল বলল: “ আমি এমন চেহারাগুলো দেখছি যে, তারা যদি খোদার কাছে পাহাড়কে নিজের অবস্থান থেকে সরে যাওয়ার জন্য প্রার্থনা করে খোদা তাই করবে, তাই তাদের সাথে মোবাহালা করো না কারণ নিঃশেষ হয়ে যাবে এবং কেয়ামত পর্যন্ত এ ভূমিতে একজন নাসরানি (খ্রীষ্টান) ও বাকি থাকবে না ”।
হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে যে, “ যখন নবী করিম (সা.) পশমের আবা পরে বের হয়ে আসেন হাসান (রা.) এলেন এবং নবী করিম (সা.) তাঁকে আবা’ র ভেতর নিয়ে নিলেন, অতঃপর হোসাইন (রা.) এলেন তাকেও আবা’ র ভেতর নিয়ে নিলেন, অতঃপর ফাতেমা (সা.) ও তারপর আলী (রা.) এলেন নবী করিম (সা.) তখন তাতহীরের আয়াত পড়লেন  «انما یرید الله...» (১)
আর জেনে রাখা ভাল যে, তফসির ও হাদীস বিষারদদের কাছে এই হাদীস সহীহ ও সত্য বলে সবাই ঐক্যমত। (২)
 
সূত্রসমূহ:
১। তফসিরে কবির, ৮’ ম খন্ড, পৃষ্ঠা: ৮৫।
২। তফসির আল জামে লি আহকামুল কোরান, ৪’ র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা: ১০৪।
সূত্রঃ ইন্টারনেট
 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন