হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর ফজিলত

হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর ফজিলত

হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর ফজিলত

    আমাদের উচিত হচ্ছে মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.) সম্পর্কে সঠিক পরিচিতি অর্জন করা। তিনি মানব ও জ্বিন জাতিসহ সকল সৃষ্টির মধ্য হতে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। তাঁকে সৃষ্টি করা না হলে পৃথিবীর কোন কিছু সৃষ্টি করা হত না। তাঁর নুর হতে পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি করা হয়েছে।
মহানবি (সা.) সর্বপ্রথম সৃষ্টি
    মহানবি (সা.) সর্বপ্রথম সৃষ্টি। তাঁর পূর্বে আল্লাহ তায়ালা কোন কিছু সৃষ্টি করেননি। আল্লাহ তায়ালা সবকিছু তাঁর নুর হতে সৃষ্টি করেছেন। হজরত আদম (আ.)ও তাঁকে অসিলা করে দোয়া করে ক্ষমা পেয়েছেন।
قال النبي صلّى اللّه عليه و آله: كنت‏ نبيا و آدم بين الماء و الطين‏
নবি করিম (সা.) বলেনঃ আমি তখও নবি ছিলাম যখন আদম পানি ও মাটির মাধ্যে ছিল। (আল কাফি; খঃ ১, পৃঃ ৪০০।)
    শুধু আদম (আ.) নয়; রবং সকল নবি তাঁকে অসিলা করে দোয়া করেছেন ও সমস্যার সমাধান পেছেন।

হাসাব ও নাসাব
    তিনি সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও পবিত্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছেন। তাঁর পিতা-মাতা নিষ্পাপ ও পবিত্র ব্যক্তি ছিলেন। তারা কখনো মূর্তিপূজা করেননি। সর্বদা তৌহিদে বিশ্বাসী ছিলেন এবং আল্লাহর এবাদত করতেন। রাসুলের বংশ নবিগণের সাথে স্পর্কিত। যেমন: তাঁর পূর্ব পুরুষ ছিলেন হজরত ইমাইল, হজরত ইব্রাহি ও হজরত নুহ (আ.) এর মত ব্যক্তিগণ।
    রাসুলে আকরাম (সা.) সকল নবির দাওয়াতের সারংশ। সকল নবির মূল উদ্দেশ্যকে তিনি বাস্ত্মবায়ন করেছেন। তিনি তাঁর বংশে স্মৃতি হিসেবে যাদেরকে রেখে গেছেন তাঁরা হচ্ছেন হজরত ফাতেমা, হজরত হাসান, হজরত হুসাই, হজরত জয়নুল আবেদিন (আ.) সহ অন্যান্য ইমামগণ। এবং সর্বশেষ ইমাম হচ্ছেন ইমাম মেহদি (আ.); যিনি তাঁর বংশ হতে।

উত্তম চরিত্র
    মহানবি (সা.) এর চরিত্র ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়েছে। তাঁর আদর্শ সকলের জন্য অনুসরণীয়। তিনি ভদ্রতা ও নম্রতার প্রতিক। মহান আল্লাহ তাঁর চরিত্রের ক্ষেত্রে ঘোষণা করছেনঃ
وَ إِنَّكَ لَعَلى‏ خُلُقٍ عَظيم
এবং নিঃসন্দেহে তুমি অতীব মহান চরিত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছ। (সারা কালাম, আয়াত নং ৪।)
    তিনি কখনো কাউকে কষ্ট দেননি; এমনকি তাঁকে কেউ কষ্ট দিলেও তিনি তার নিকট হতে প্রতিশোধ গ্রহণ করতে না। যেমন: সেই ইহুদি বুড়ি। ঐ বুড়ি প্রত্যেক দিন রাসুলের পথে কাঁটা দিত; কিন্তু রাসুল সে কাঁটা সরিয়ে রেখে পথ দিয়ে চলে যেতেন। পরবর্তীতে একদিন পথে কাঁটা না থাকলে, রাসুল (সা.) বুড়ির খবর নেন। জানতে পারেন যে বুড়ি অসুস্থতার কারণে পথে কাঁটা দিতে পারেনি। মহানবি (সা.) বুড়িকে দেখতে যান।

কেন রাসুল (সা.) কে কেন অবমাননা করা হচ্ছে?
    রাসুল (সা.) কে অবমাননা করার অর্থ হচ্ছে, রাসুল আমাদের মাঝে জীবিত আছেন। রাসুলের আদর্শ জীবিত আছে। তাঁর আদর্শ পৃথিবীতে প্রভাব বিস্ত্মার করেছে। বাতিল শক্তির জন্য তাঁর আদর্শ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ সকল স্থানে মানুষ ইসলামের আদর্শে আকৃষ্ট হয়ে, ইসলাম গ্রহণ করছে। ইসলামের শত্রম্নরা বলে থাকে যে, ইসলামের জাগরণ আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ হবে। সুতরাং যেভাবেই হোক না কেন ইসলামের মোকাবিলা করতে হবে। তারা ইসলামের মোকাবিলা করতে গিয়ে যখন কোন পথ পাচ্ছে না তখন রাসুল, কোরআন ও ইসলামি আদর্শের প্রতি অবমাননা করছে।

রাসুলের প্রতি আকর্ষণ
    মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এমন এক ব্যক্তিত্ব যে মুসলিম ও নন মুসলিম সকলেই তাঁকে ভালবাসে। সকলেই তাঁর প্রশংসা করে। অনেক নন মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা তাঁর ভুয়সি প্রশংসা করেছেন। যেমন: কেউ বলেছেন "মুহাম্মাদ (সা.) পৃথিবীর সবচেয়ে সফল ব্যক্তি।" কেউ বলেছেন "আমি যদি মুহাম্মাদ (সা.) এর পায়ের ধুলা হতাম, তবুও নিজেকে ধন্য বলে মনে করতাম।" রাসুলে প্রতি কত আকর্ষণ থাকলে এ ধরণের মন্তব্য করতে পারে।

রাসুলের মেরাজ
    শুধুমাত্র আমাদের নবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.) স্বশরিরে মেরাজে গিয়েছেন। তিনি আলস্নার এত নিকটবর্তী হয়েছিলেন যে সেখানে ফেরেশতা পর্যন্ত গমন করতে পারেনি। মেরাজে গমনের পূর্বে মসজিদে আকসায় সকল নবিগণ তাঁর পিছনে মুকতাদি হয়ে নামাজ পড়েছেন। তিনি মেরাজে গিয়ে দোজখ ও বেহেশত অবলোকন করে এসেছেন। পবিত্র কোরআনে মেরাজ সম্পর্কে বলা হচ্ছেঃ
سُبْحانَ الَّذي أَسْرى‏ بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذي بارَكْنا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آياتِنا إِنَّهُ هُوَ السَّميعُ الْبَصير
পবিত্র ও মহিমাময় তিনি (আল্লাহ) যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রিকালে সম্মানিত মসজিদ (কা'বা) হতে মসজিদে আকসা- যার চতুষ্পার্শ্বকে আমরা প্রাচুর্যতায় সমৃদ্ধ করেছি- অবধি পরিভ্রমণ করিয়েছিলেন; যাতে আমরা তাকে আমাদের কিছু নিদর্শন দেখাই; নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। (সুরা বাণি ইসরাইল, আয়াত নং ১।)

রাসুলে আকরাম (সা.) পৃথিবীর সবচেয়ে অজ্ঞ এলাকায় আগমন করেছেন
    মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.) যখন আরবে আগমন করেন, তখন আরবের মানুষরা অজ্ঞতায় ও বর্বরতায় ডুবে ছিল। বছরের পর বছর তাদের মাঝে যুদ্ধের আগুন প্রজ্বলিত থাকত। মেয়ে সন্তানদেরকে জীবিত কবর দিত। কুসংস্কারে জাজিরাতুল আরব ভরপুর ছিল। মহানবি (সা.) এমন বর্বর ও অজ্ঞ সমাজকে সভ্য সমাজে পরিণত করেছেন। তিনি তাদেরকে অন্ধকার হতে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন। অতপর ইসলামের আলো এসিয়া ও অফ্রিকাসহ সারা বিশ্বে ছড়ে পড়ে। তিনি এমন আদর্শ প্রতিষ্ঠিত করেছেন যা চিরন্ত্মন। এ আদর্শে চরিত্র, পরিবার, ব্যক্তি, সমাজ, স্বাধীনতা, রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রজ্ঞা ও আধ্যাত্মিকতাসহ মানুষের কল্যাণের জন্য যা কিছু প্রয়োজন সব কিছু রয়েছে।

সর্বশ্রেষ্ঠ মোজেজা আল কোরআন
     কোরআন শরিফ এমন মোজেজা যে, আজও আমাদের মাঝে বিদ্যমান রয়েছে। অতিতের সকল নবি ইন্তিকালের পর তাঁদের মোজেজাও শেষ হয়ে গেছে কিন্তু শুধুমাত্র কোরআন শরিফ এমন মোজেজা যা রাসুলের ওফাতের পরও অক্ষত অবস্থায় বিদ্যমান রয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তি তার জ্ঞান অনুযায়ী তা হতে উপকৃত হয়ে থাকে। একজন সাধারণ ব্যক্তিও কোরআ শরিফ হতে উপকৃত হয় আবার একজন পন্ডিতও কোরআন শরিফ হতে উপকৃত হয়। এ পবিত্র গ্রন্থ হচ্ছে রাসুল (সা.) এর জীবন্ত মোজেজা। উলেস্নখ্য যে রাসুলের মোজেজা শুধুমাত্র কোরআনই ছিল না; বরং চাঁদ দ্বিগখন্ডিত করাসহ অনেক মোজেজা ছিল।
প্রশ্ন হলো ইসলামের শত্রম্নরা কেন কোরআন পুড়ায়? এর কারণ হচ্ছে কোরআন সমাজে প্রভাব বিস্ত্মার করছে। এ প্রভাবকে দাম্ভীক শক্তিগুলো ভয় পাচ্ছে, বলেই কোরআনের সাথে মোকাবিলা করছে।
    পবিত্র কোরআন প্রত্যেক যুগের চাহিদা পুরন করতে পারে। এ গ্রন্থ সকল সমস্যার সমাধান দিতে পারে। কেননা এ ঐশী গ্রন্থ সেই মহান আল্লাহর তরফ হতে অবতীর্ণ হয়েছে, যিনি সারা বিশ্বকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি জানেন যে মানুষের কি প্রয়োজন। আলস্নার রাসুল (সা.) তাঁর প্রভুর নিকট হতে ওহি ব্যতিত কোন কিছুই বলতেন না।
وَ ما يَنْطِقُ عَنِ الْهَوى‏ * إِنْ هُوَ إِلاَّ وَحْيٌ يُوحى‏
এবং তিনি মনগড়া কোন কথা বলে না বরং তাঁর প্রতি যে ওহি প্রেরিত হয় সে ওহি অনুযায়ী বলে থাকেন। (সুরা নাজম, আয়াত নং ৩-৪।)

মুহাম্মাদ (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ নবি
    মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.) সকল নবির শিরমণি। তাঁর পূর্বের সকল নবি কামনা করতেন যে, "আমি যদি সর্বশেষ নবির উম্মত হতে পারতাম।" যেমন হজরত ইসা (আ.) শেষ নবির উম্মত হয়ে আগমন করার জন্য দোয়া করেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর দোয়া কবুল করেন। ইমাম মেহদি (আ.) আগমনের পর তিনি রাসুলের উম্মত হয়ে আগমন করবেন। সকল নবির মোজেজা তাঁদের ইন্তিকালের সাথে সাথে শেষ হয়ে গেছে; কিন্তু মহানবির মোজেজা (আল কোরআন) কিয়ামত পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবে।

আল্লাহ তাঁর রাসুরে প্রতি দরূদ প্রেরণ করেন
    মহান আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ রাসুলের ওপর দরূদ ও সালাম প্রেরণ করেন এবং তাঁর বান্দাদেরকে দরূদ পাঠের জন্য দির্দেশ দিচ্ছেন।
إِنَّ اللَّهَ وَ مَلائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يا أَيُّهَا الَّذينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَ سَلِّمُوا تَسْليما
নিঃসন্দেহে আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবির প্রতি দরূদ প্রেরণ করেন; সুতরাং হে বিশ্বাসিগণ! তোমরাও দরূদ প্রেরণ করতে থাক এবং নিয়মিতভাবে সালাম করতে থাক। (সুরা আহজাব, আয়াত নং ৫৬।)
    এটা কোন স্বাভাবিক বিষয় নয় যে আসমান ও জমিন এবং তার মাঝে যা কিছু আছে তার সৃষ্টিকর্তা নিজেই এ নবির প্রতি দরূদ প্রেরণ করেন। ১৫০ কোটিরও বেশি মুসলমান প্রত্যেক দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে রাসুলে আকরাম (সা.) এর প্রতি সালাম ও দরূদ প্রেরণ করে থাকে। নামাজে বলা হয়ে থাকেঃ
السلام علیک ایها النبی و رحمة الله و برکاته
অর্থাৎ হে নবি (সা.) আপনার প্রতি সালাম ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক।
    নামাজে মহানবি (সা.) কে সরাসরি সম্বোধন করে সালাম দেওয়া হয়ে থাকে। এ দ্বারা বুঝা যায় যে, তিনি আমাদের সালাম শ্রবণ করেন এবং তার জবাবও দেন। তিনি আমাদের মাঝে স্বশরীরে উপস্থিত না থাকলেও তাঁর আত্মা আমাদের মাঝে উপস্থিত হন। অর্থাৎ তাঁর শরিরের ইন্তিকাল হলেও আত্মা জীবিত রয়েছে।

রাসুলের জ্ঞান
    মহানবি (সা.) এর জ্ঞান সকল সৃষ্টি উর্ধে। তিনি মহান আল্লাহর নিকট হতে জ্ঞান লাভ করেছেন। তাঁকে যে উম্মি বলা হয়, এর অর্থ লোখা পড়া না জানা নয়; বরং এর অর্থ হচ্ছে না পড়া ও না লেখা। অর্থাৎ তিনি লেখা পড়া জানতেন কিন্তু পড়তেন না ও লেখতেন না। তিনি কোন মানুষকে শিক্ষক হিসেবে গ্রহণ করেননি। তাঁর শিক্ষক হচ্ছেন স্বয়ং আল্লাহ। এমন কি তিনি ইন্ত্মিকালের পরও আমাদের আমল সম্পর্কে অবগত। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করছেনঃ
وَ قُلِ اعْمَلُوا فَسَيَرَى اللَّهُ عَمَلَكُمْ وَ رَسُولُهُ وَ الْمُؤْمِنُونَ وَ سَتُرَدُّونَ إِلى‏ عالِمِ الْغَيْبِ وَ الشَّهادَةِ فَيُنَبِّئُكُمْ بِما كُنْتُمْ تَعْمَلُون
এবং তুমি বল, তোমরা (নিজ নিজ করণীয়) কর্ম করতে থাক; আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও বিশ্বাসীরা তোমাদের কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করেন। এবং অতি শীঘ্রই দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা সমীপে তোমরা প্রত্যানীত হবে; অতঃপর তোমরা যা করতে তিনি তোমাদের তা জানিয়ে দিবেন। (সুরা তওবা, আয়াত নং ১০৫।)
সর্বোত্তম অনুসারী
    ইতিহাস অধ্যায়ন করলে দেখা যায় যে, হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর যে মর্যাদা সম্পন্ন অনুসারী ছিল, এরূপ অনুসারী আর কোন নবির ছিল না। হজরত আলি (আ.), সালামন, মেকদাদ, আবুজার ও আম্মার ইয়াসেরসহ হাজার ফজিলতপূর্ণ সাহাবাগণ তাঁর অনুস্বরণ করতেন। আজও কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাঁর অনুস্বরণ করছে। এ নবির উম্মত হচ্ছে সর্বোত্তম উম্মত।

রহমতের নবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.)
    রাসুলে আকরাম (সা.) সকলের জন্য রহমত ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করছেনঃ
وَ ما أَرْسَلْناكَ إِلاَّ رَحْمَةً لِلْعالَمين
আমরা কেবল তোমাকে বিশ্বজগতের জন্য অনুগ্রহস্বরূপ প্রেরণ করেছি। (সুরা আম্বিয়া, আয়াত নং ১০৭।)
    রাসুল (সা.) কখনো কাউরো বিরুদ্ধে বর্দোয়া করতেন না। সর্বাবস্থায় সকলকে ক্ষমা করে দিতেন। সকলের হেদায়াতের জন্য দোয়া করতেন। অন্যের সমস্যাকে নিজের সমস্যা মনে করতেন এবং তা সমাধানের চেষ্টা করতেন। সকলেই যাতে হেদায়াত হয় সে জন্য আকাংখা প্রকাশ করতেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছেঃ
لَقَدْ جاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ عَزيزٌ عَلَيْهِ ما عَنِتُّمْ حَريصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنينَ رَؤُفٌ رَحيمٌ
(হে লোকসকল!) তোমাদের মধ্য থেকেই তোমাদের নিকট এক রাসূল এসেছে, (তোমাদের প্রতি তার অনুকম্পার পরিচয় এই যে,) তোমাদের দুর্ভোগ তার পক্ষে দুর্বিষহ। সে তোমাদের হেদায়াতের অভিলাষী, বিশ্বাসীদের প্রতি দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু। (সুরা তওবা, আয়াত নং ১২৮।)

রাসুল (সা.) আল্লাহর তাজাল্লি।
    মহান রাব্বুল আলামিনের গুণাবলী, মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর মাধ্যমে তাজালিস্ন হয়েছে। তিনি তাঁর সাথে কথা বলেছেন। আল্লাহর কালাম তাঁর প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আল্লাহর পূর্ণ পরিচিতি রাসুলের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
    সুতরাং এগুলো ছিল হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর ফজিলতের সামান্ন নমুনা মাত্র। তাঁর ফজিলত পুরোপুরিভাবে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। এখানে আমরা তাঁর ফজিলতের সামান্য মাত্র উল্লেখ করেছি।

সূত্রঃ ইন্টারনেট
 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন