ইমাম মাহ্দী (আ:)-এর অদৃশ্যকালে বিশ্ববাসী

ইমাম (আ.)-এর অদৃশ্যকালেওমানুষ বিভিন্ন প্রকার উপকারসমূহ ভোগ করবে যা রেওয়াতসমূহে এসেছে যেমন: ১- ইমাম (আ.) মানুষেরনিরাপত্তা ও অনুগ্রহের মাধ্যম, ইমাম (আ.) মানুষের রক্ষাকারী আর যদি আল্লাহর হুজ্জাতপৃথিবীতে না থাকে তাহলে এই পৃথিবী এবং যা কিছু তার উপর আছে সবকিছু

ইমাম মাহ্দী (আ:)-এর অদৃশ্যকালে বিশ্ববাসী 
যদিও বা ইমাম মাহ্দী (আ.)উপস্থিত থাকলে মানুষ আরও অনেক বেশি নে’য়ামত ও বরকত উপভোগ করত, তবে এমনটি নয় যে তারঅদৃশ্যকালে কোনভাবেই উপকৃত হবে না।
ইমাম (আ.)-এর অদৃশ্যকালেওমানুষ বিভিন্ন প্রকার উপকারসমূহ ভোগ করবে যা রেওয়াতসমূহে এসেছে যেমন:
১- ইমাম (আ.) মানুষেরনিরাপত্তা ও অনুগ্রহের মাধ্যম, ইমাম (আ.) মানুষের রক্ষাকারী আর যদি আল্লাহর হুজ্জাতপৃথিবীতে না থাকে তাহলে এই পৃথিবী এবং যা কিছু তার উপর আছে সবকিছুই ধবংস হয়ে যাবে।
ইমাম সাজ্জাদ (আ.) বলেছেন:আমরা মুসলমানদের নেতা, হুজ্জাত, মু’মিনদের সর্দার, নেককারিদের পথপ্রদর্শক ওমুসলমানদের কর্তৃতশালী, আমরা পৃথিবীর সমস্ত অধিবাসীরই রক্ষাকারী যেমন নক্ষত্ররাজীআকাশের রক্ষাকারী। আর আমাদেও কারণেই আসমান, জমিনের উপর অবতরণ করেনা।
আমাদের জন্যেই বৃষ্টি(আল্লাহর রহমত) বর্ষিত হয়, এবং জমিন থেকে তার বরকত উচ্ছারীত হয়। যদি আমরা এই মাটিরউপর না থাকতাম তাহলে জমিনে যা কিছু আছে সবকিছুই তলিয়ে যেত।
ইমাম (আ.) আরও বলেন: যেদিন থেকে আল্লাহ তা’য়ালা হযরত আদমকে (আ.)সৃষ্টি করেছে সেদিন থেকে এ পর্যন্ত জমিনআল্লাহর হুজ্জাত ব্যতীত ছিল না, তবে ঐ হুজ্জাত কখনও উপস্থিত ও বিখ্যাত আর কখনও গোপনও অদৃশ্য, এবং কিয়ামত দিবস পর্যন্ত এই হুজ্জাত থাকবে। ইমাম না থাকলে সঠিকভাবেআল্লাহ তায়ালার উপাসনা করা হবে না। সুলায়মান বলে জিজ্ঞাসা করলাম, মানুষ কিভাবেঅদৃশ্য ইমামের কাছ থেকে লাভবান হবে? বললেন : যেভাবে মেঘের পিছনে থাকা সূর্য থেকেলাভবান হয়। (ইয়ানাবি-উল মুওয়াদ্দাহ, খন্ড: ২, পৃ: ২১৭)
২- মুসলমানদের আশাপ্রদানকারী : অদৃশ্য ইমামের প্রতি ঈমান ও বিশ্বাস মানুষকে ইমামের আবির্ভাব কালে, নির্মল ও ঔজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতি আশাবাদি করে। শিয়া সম্প্রদায় জীবন্ত ইমামের উপরবিশ্বাস রাখে এবং সর্বদা তার আবির্ভাবের প্রতিক্ষায় থাকে। যদিও বা তাকে দেখতে পায়না, তবে কখনই নিজেকে ইমাম (আ.)-এর থেকে পৃথক দেখে না। ইমাম (আ.) সর্বদা শিয়াদেরপরিস্থতির নিয়ন্ত্রণ করেন, যার কারণে শিয়ারা ইমাম (আ.)-এর দয়া ও অনুগ্রহের প্রতিআশাবাদী হয়ে; একটি বিশ্বব্যাপী কাম্যতায় পৌছানোর জন্য চেষ্টা করে এবং তারপ্রতিক্ষায় জীবন যাপন করে।
৩- আল্লাহর দ্বীন ও ইসলামরক্ষাকারী : ইমামের অদৃশ্যকালের আর একটিউপকার হচ্ছে যে ইমামের প্রেমিকরা ও সৈনিকরাতার আবির্ভাবকালের দ্বীন রক্ষার জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করে।
ইমাম আলী (আ.) এই বিষয়ে বলেন: কিছু সংখক মানুষ দ্বীনকে রক্ষা ও ফিতনাগুলিকে ধবংস করার জন্য প্রস্তুতি নেয়, যেমনভাবেকামার তলোয়ার অথবা তীরের ফলা ধার দেয়। তাদের চোখ কোরআনের আলোতে আলোকিত, তাদের কানে কোরআনেরতফসির ও আয়াতগুলিরঅর্থ বলা হয়, তারা সর্বদা (রাত ও দিনে)আল্লাহর অধিবিদ্যা ও ধর্মতত্ত্বের পাত্র থেকে পানি পান করে তৃপ্ত হয়। (নাহজুলবালাগা, ছুবহি ছালেহ, খুৎবা : ১৫)
সূত্রঃ ইন্টারনেট

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন