বিশেষ দৃষ্টিকোণে ইমাম মাহদী (আ.)-এর আর্বিভাব

বিশেষ দৃষ্টিকোণে ইমাম মাহদী (আ.)-এর আর্বিভাব

বিশেষ দৃষ্টিকোণে ইমাম মাহদী (আ.)-এর আর্বিভাব

ইমাম মাহদী, মাসুম, রাসূল, বিহারুল আনওয়ার, ইমাম আলী, ফাতিমাতুয্ যাহরা, ইমাম হাসান আসকারী, ইমাম, মুসা, ঈসা, আল্লাহ, ইমাম হুসাইন, ইমাম সাজ্জাদ, ইমাম বাকের, ইমাম জাফর সাদিক, ইমাম কাযিম, ইমাম মুসা রেযা, ইমাম তাকি আল জাওয়াদ, ইমাম হাদী, হাসান আসকারী, রাজআত, পুনরুত্থান
মহানবী (সা.) ও পবিত্র আহলে বাইতের ইমামদের পক্ষ থেকে ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাব সম্পর্কে অসংখ্য হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, ইমাম মাহদী (আ.) তাঁর আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে সমগ্র মানবসমাজকে প্রকৃত শ্রেষ্ঠত্বে উন্নীত করবে এবং আধ্যাত্মিক জীবন দান করবে। অসংখ্য হাদীসের সাক্ষ্য অনুযায়ী একাদশ ইমাম হযরত হাসান আসকারীর (আ.) সন-ানই ইমাম মাহদী (আ.)। হাদীস সমূহের বক্তব্য অনুযায়ী হযরত ইমাম মাহদী (আ.)-এর জন্মের পরে সুর্দীঘকালের জন্যে তিনি অদৃশ্যে অবস'ান করবেন। তারপর তিনি আত্মপ্রকাশ করবেন এবং অন্যায় ও অত্যাচারপূর্ণ বিশ্বে সত্যিকার অর্থে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন
সাধারণ দৃষ্টিতে ইমাম মাহদী (আ.) এর আর্বিভাব
ইতিপূর্বে আমরা নবুয়ত ও ইমামতের অধ্যায়ে উলে−খ করেছি যে, গণহেদায়েতের নীতি সমগ্র সৃষ্টিজগতের মধ্যে বলবৎ রয়েছে। সেই নীতির, অপরিহার্য ফলাফল স্বরূপ মানবজাতি ‘ওহী’ ও ‘নবুয়তের’ শক্তি সরঞ্জামে সুসজ্জিত। ঐ বিশেষ শক্তিই মানব জাতিকে মানবতার শ্রেষ্ঠত্ব ও সৌভাগ্যের পথে পরিচালিত করে। আর এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার যে, আল−াহ্‌্‌ প্রদত্ত ঐ বিশেষ শক্তি যদি সামাজিক জীবন যাপনকারী মানবজাতিকে শ্রেষ্ঠত্ব ও সৌভাগ্যের পথে পরিচালিত করতেই না পারে, তাহলে ঐ বিশেষ শক্তির সরঞ্জামে মানবজাতিকে সুসজ্জিত করার মূলকাজটিই বৃথা বলে প্রমাণিত হবে। অথচ, এ সৃষ্টিজগতে বৃথা বলে কোন কিছুরই অসি-ত্ব নেই। অন্যকথায় বলতে গেলে, মানব জাতি যেদিন থেকে এ জগতে জীবন যাপন করতে শুরু করেছে, সেদিন থেকেই সে সৌভাগ্যপূর্ণ (সার্বিক অর্থে) এক সামাজিক জীবন যাপনের আকাংখা তার হৃদয়ে লালন করে আসছে। আর সেই কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছার জন্যেই সে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তার হৃদয়ে ঐ আকাংখা সত্যিই যদি অবাস-ব হত, তাহলে নিশ্চয়ই সে ঐ আকাংখার স্বপ্নিল ছবি তার হৃদয় পটে আঁকতো না। অথচ, আবহমানকাল থেকে জগতের প্রতিটি মানুষই তার জীবনে এমন একটি আকাংখা হৃদয় কুঠুরীতে লালন করে আসছে। যদি খাদ্যের অসি-ত্ব না থাকত তা হলে ক্ষুধার অসি-ত্ব থাকত না। পানির অসি-ত্বই যদি না থাকবে, তাহলে কিভাবে তৃষ্ণার অসি-ত্ব থাকতে পারে? যৌনাংগের অসি-ত্বই যদি না থাকত তা হলে যৌন কামনার অসি-ত্বও থাকত না। এ কারণেই বিশ্ব জগতে এমন এক দিনের আর্বিভাব ঘটবে, যখন মানব সমাজ সম্পূর্ণ রূপে ন্যায়বিচার ভোগ করবে। সমগ্র বিশ্বে তখন শানি- নেমে আসবে। সবাই শানি-পূর্ণভাবে সহাবস'ান করবে। তখন মানুষ শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্বের মাঝে নিমিজ্জিত হবে।অবশ্য ঐধরণের পরিবেশ টিকিয়ে রাখার ব্যাপরটি তখন মানুষের উপরই নির্ভরশীল হবে। ঐধরণের সমাজের নেতৃত্ব দান করবে বিশ্ব মানবতার মুক্তিদাতা; হাদীসের ভাষায় যার নাম হবে মাহ্‌দী (আ.)।পৃথিবীতে প্রচলিত সকল ধর্মেই বিশ্ব মানবতার মুক্তিদাতা সম্পর্কে আলোচিত হয়েছে এবং সাধারণভাবে তাঁর আর্বিভাবের সুসংবাদও প্রদান করা হয়েছে। যদিও ঐ ব ক্তব্যের বাস-ব প্রয়োগে কমবেশী মতভেদ রয়েছে।সর্বসম্মত হাদীসে মহানবী (সা.) হযরত ইমাম মাহ্‌দী (আ.) সম্পর্কে বলেছেনঃ “প্রতিশ্রুত মাহদী আমারই সন-ান”।

সূত্রঃ ইন্টারনেট
 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন