ইমাম রেযা (আ.) এর জ্ঞানগত ও তফসিরগত সংক্ষিপ্ত পরিচয়

ইমাম রেযা (আ.) এর জ্ঞানগত ও তফসিরগত সংক্ষিপ্ত পরিচয়

ইমাম রেযা (আ.) এর জ্ঞানগত ও তফসিরগত সংক্ষিপ্ত পরিচয়

ইমামতের ধারার এ অষ্টম ইমাম তাঁর স্বাধীন পূর্বপুরুষদের মত জ্ঞানগত উচ্চ মর্যাদার অধিকারী ছিলেন; যার কারণে তাঁকে "আলেমে আলে মোহাম্মদ" নামে পদবী প্রদান করা হয়েছে।
জন্ম
ইমাম রেযা (আ.) এর জন্ম সম্পর্কে ঐতিহাসিকগণ বিভিন্ন মত পোষণ করেছেন; বিখ্যাত ঐতিহাসিকগণ ও হাদিস বর্ণনাকারীরা এ ইমামের জন্ম তারিখকে ১১ই যিল কাদা ১৪৮ হিজরী রোজ বৃহস্পতিবার কিম্বা শুক্রবার বলে উল্লেখ করেছেন।(১)আবার অনেকে ১৫৩ হিজরী বলে বর্ণনা করেছেন।(২)
 
নাম ও পদবী
তাঁর নাম হচ্ছে আলী এবং মশহুর পদবী হচ্ছে রেযা এবং তাঁর মশহুর উপাধি হচ্ছে আবুল হাসান। অবশ্য ইমাম রেযা (আ.) এর জন্য আরো অন্যান্য পদবী ও উপাধিগুলো বর্ণনা করা হয়েছে।
আল্লামা মজলিসি বর্ণনা করেন: "জনসাধারণের মাঝে ইমামের উপাধি ছিল আবুল হাসান এবং বিশেষ লোকদের মাঝে তাঁকে আবু আলী নামে ডাকা হত"।(৩)
অনেক ঐতিহাসিকগণ মনে করেন যে, ইমামের "রেযা" পদবীটি খলিফা মামুন কর্তৃক নির্বাচিত এবং তারা বিশ্বাস করেন যে, ইমাম (আ.) যখন খলিফার ওয়েলায়াতে আহদি (শাসন কর্তৃত্ব বা উত্তরাধিকারী) পদ গ্রহণ করেন তখন খলিফা মামুনের পক্ষ হতে তাঁকে এ পদবী দেয়া হয়।(৪) কিন্তু এ বিষয়টি যে দলিল প্রমাণ রয়েছে তা দিয়ে প্রমাণিত হয় না। উদাহরণস্বরূপ: মরহুম শেখ সদুক সোলাইমান বিন আবি হাফস মোরাউওয়েযি হতে বর্ণনা করেন যে, ইমাম মুসা ইবনে জাফর (আ.) নিজের সন্তানকে এ নামেই (রেযা) ডাকতেন।(৫) এ রেওয়ায়েত ছাড়াও অন্যান্য হাদিসেও এ বিষয়টি বর্ণনা করা হয়েছে।(৬)
ইমাম রেযা (আ.) এর বাবা ইমাম মুসা ইবনে জাফর (আ.) হচ্ছেন শিয়াদের সপ্তম ইমাম এবং তাঁর মাতা যিনি ছিলেন একজন মহীয়সী মহিলা এবং যাকে ইতিহাসবেত্তাগণ তাকাত্তুম, নাজমা, খিযান, সাকান, সাকের ও তাহেরা নামে উল্লেখ করেছেন।(৭)
 শাহাদাত: হযরত ইমাম রেযা (আ.) প্রকৃতিগত ভাবে মৃত্যু বরণ করেননি, তাঁকে শহীদ করার পেছনে খলিফা মামুনের হাত ছিল।
আল্লামা মজলিসি উল্লেখ করেছেন:
"শেখ সদুক ও শেখ মুফিদ যা প্রকাশ করেছেন তাই হচ্ছে সত্য এবং মহান ব্যক্তিত্বরাও তা বিশ্বাস করেন যে, হযরত ইমাম রেযা (আ.) খলিফা মামুন কর্তৃক বিষ খাওয়ানোর মাধ্যমে শহীদ হন"।(৮)
অবশ্য ইতিহাসের বইসমূহে এ সম্পর্কে দলিল প্রমাণ সাপেক্ষে বিস্তারিত আলোচনা আমরা দেখতে পাই।
তাঁর শাহাদাত সম্পর্কে বিভিন্ন রকম দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া যায় কিন্তু মশহুর দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে এই যে, তিনি সফর মাসের শেষ দিন রোজ শুক্রবার ২০২ হিজরী সনে মতান্তরে ২০৩ হিজরী সনে শাহাদাত বরণ করেছেন।(৯)
ইমাম রেযা (আ.) তুস শহরে শহীদ হন এবং তাঁকে "সানাবাদ" যা পরবর্তীতে "মাশহাদুর রেযা" নামে পরিচিতি লাভ করেছে দাফন করা হয়েছে।  সূত্রঃ ইন্টারনেট
 
 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন