اهل بیت ع

ইমাম হোসাইন (আ.) শিক্ষা দিয়েছেন যে কিভাবে সম্মানের সাথে জীবন যাপন করতে হয়। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে অপমান জনক জীবণের চেয়ে সম্মান জনক মৃত্যু উত্তম। কারবালায় বরবারীর ওপর রক্তের বিজয় হয়েছে।
ইমাম হোসাইন (আ.) এর সাথীরা বিশেষ বৈশিষ্টের অধিকারী ছিলেন। তাঁরা জান্তেন যে কারবালায় গেলে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে হবে তবুও তাঁরা তাদের ইমামকে ছেড়ে যাননি।
কুফার জনগণ ইমাম হোসাইন (আ.) কে দাওযাত করে প্রায় 20 হাজার পত্র লেখে। তারা জানায় যে আমরা আপনার অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা আপনাকে আমাদের নেতা হিসেবে গ্রহণ করতে চায়।
কাবালার ঘটনার জন্য এজিদ পুরোপুরিভাবে দায়ী। কেননা সে খলিফা ছিল এবং সরাসরি তার নির্দেশে এ হত্যাজর্গ সংঘটিত হয়েছে। সে তার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এ কাজ করেছে।
ইমাম হোসাইন (আ.) মাসুম বা নিষ্পাপ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি তৃতীয় ইমাম ও রাসুলে আকরাম (সা.) এর নাতি ছিলেন। তিনি বেহেশতের সরদার হবেন।
আমরা মহত ব্যক্তিগণের শোক দিবস পালনের মাধ্যমে এবং তাঁদের জীবনী আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের জীবন হতে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি
নবিগণের নুর পবিত্র। তারা কোন অপবিত্র স্থানে বসবাস করতে পারে না। নবিগণের বংশ অর্থাৎ পিতা-মাতা কখনো আল্লাহর সাথে শিরক করেননি ।
নবিগণ আল্লাহর তরফ হতে নির্ধারণ হয়ে থাকেন। সকল নবি এক আল্লাহর দাওয়াত দিয়েছেন। নবিগণের মাঝে কোন এখতেলাফ ন্ই।
ইমাম হোসাইন (আ.) কেন কিয়াম করেছিলেন?
আল্লাহ ন্যায় পরায়ন। তিনি দয়াবান। তিনি ক্ষমাশীল। আর এ গুণগুলো নবিগণের মধ্যেও রয়েছে; সুতরাং নবিগণ আল্লাহর তাজল্লি।
হজরত মুহাম্মাদ এর প্রতি চির সত্য আল কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি সর্বদা সত্যের দাওয়াত দিয়েছেন। তিনি আল আমিন উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।
হজরত মুহাম্মাদ (সা.) পৃথিবীর সবচেয়ে দয়াবান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সকলকে সম্মান করতেন। তাঁর কোন শত্রু অসুস্থ হলেও তিনি তাকে দেখতে যেতেন এবং তাকে হাদিয়া দিতেন।
নবি করিম (সা.) এর আনুগত্য করা আমাদের সকলের ওপর ওয়াজিব। পবিত্র কোরআনের নির্দেশ অনুযায়ী যেভাবে আল্লাহর নির্দেশের আনুগত্য করতে হবে সেভাবে রাসুল (সা.) এরও আনুগত্য করতে হবে।
রাসুল (সা.)এর পর বারজন ইমাম আল্লাহর তরফ হতে নির্ধারিত হয়েছে। সর্ব প্রথম ইমাম হচ্ছেন হজরত আলি (আ.) আর সর্বশেষ ইমাম হচ্ছেন হজরত মেহদি (আ.)।
মুহাম্মাদ (সা.) উত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। তিনি সকলের সাথে ভাল ব্যবহার করতেন। তাঁর হাত ও মুখের ভাষার মাধ্যমে কেউ কষ্ট পেত না।
হজরত মুহাম্মাদ (সা.) সম্পর্কে হজরত ঈসা (আ.) সুসংবাদ দিয়েছেন। কোরআন শরিফে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইহুদী ও খৃষ্টানরা যেভাবে তাদের সন্তানদেরকে চিনত সেভাবে হজরত মুহাম্মাদ (সা.) কেও চিনত কিন্তু তারা মানত না।
এটা স্পষ্ট যে হজরত মুহাম্মাদ (সা.) নবুওয়াত পাওয়ার পূর্বেও এবাদত করতেন; কিন্তু তিনি কোন শরিয়াত মোতাবেক আমল করতেন সেটা হচ্ছে জানার বিষয়।
হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর মর্যাদা পৃথিবীর সকল মানুষের উর্ধে। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রতি দরূদ প্রেরণ করেন এবং ঈমানদারগণকেও তাঁর প্রতি দরূদ প্রেরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
হজরত মুহাম্মাদ (সা.) সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কখনো কোন ভুল করেননি। তাঁর মোজেজা ছিল আল কোরআন যে কিতাবে জ্ঞানের অত্যন্ত গুরুত্বাপ করা হয়েছে।
ইমাম হোসাইন (আ.) মানুষকে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করা শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেছে: অপমান জনক জীবনের চেয়ে সম্মান জনক মৃত্যু উত্তম। কারবালায় রক্তের ওপর তরবারীর বিজয় হয়েছে।

পৃষ্ঠাসমূহ