اهل بیت ع

রাসুল (সা.) কে মহব্বত করতে হবে। কাউকে ভাল না বাসলে পুরোপুরিভাবে তার আনুগত্য করা যায় না। এমকি আল্লাহকে ভালবাসতে হলেও রাসুলের আনুগত্য করতে হবে।
রাসুল (সা.)এর নিকট সাহাবারা এসে অহেক আলোচনা করার মাধ্যমে সময় নষ্ট করতেন বিধায় আল্লাহর তরফ হতে নির্দেশ আসে যে আলোচনা করতে হলে সাদকা দিতে হবে কিন্তু সাদকা দেন না শুধু আলি (আ.) ব্যতিত।
কারবালার যুদ্ধের পূর্বের রাতও ইমাম হোসাইন ও তাঁর সাথীরা এবাদতের মাধ্যমে কাটিয়েছেন। Bএমকি কারবালর মাঠে যুদ্ধের সময়ও ইমাম হোসান (আ.) নামাজের জামাআত প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন (আ.) অসুস্থ হন। রাসুল (সা.) তাদেরকে দেখার জন্য আসেন। তিনি ইমাম আলি ও মা ফাতেমা (আ.) কে মানত করতে বলেন। তাঁরা তিন দিন রোজা মানত করেন। অতপর তিন দিন রোজা রেখে এফতারের জন্য যে খাদ্য তৈরী করেন তা ফকির, এতিম ও মিসকিনকে দান করেন।
কাবালার ঘটনার জন্য এজিদ পুরোপুরিভাবে দায়ী। কেননা সে খলিফা ছিল এবং সরাসরি তার নির্দেশে এ হত্যাজর্গ সংঘটিত হয়েছে। সে তার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এ কাজ করেছে।
মুহাম্মাদ (সা.) সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ নবি। তাঁর পর আর কোন নবি আগমন করবে না। কিয়ামতের দিন তিনি তাঁর উম্মতকে সুপারিস করবেন।
ইমাম হোসাইন (আ.) কারবালার মাঠে নিজের সাথী ও সন্তানসহ উৎসর্গ হওয়ার মাধ্যমে ইসলামের হেফাজত করেছেন। কেননা এজিদ ইসলাম ধর্মে বিকৃতি ঘটিয়েছিল।
ইমাম হোসাইন (আ.) শিক্ষা দিয়েছেন যে কিভাবে জীবন যাপন করতে হয়। তিনি কখনো মিথ্যার নিকট আত্মসমর্পন করেননি। তিনি বলেছেনঃ অপমান জনক জীবনের চেয়ে সম্মান জনক মৃত্যু উত্ত।
রাসুল (সা.) কখনো কোন ভুল করেননি। তিনি যে কোন ভুলের উর্ধে। তিনি শ্রেষ্ঠ নবি। তাঁর পর আর কোন নবি আগমন করবে না।
আমরা রাসুল (সা.) কে দেখিনি কিন্তু তাঁর জিয়ারতের মাধ্যমে সান্নিধ্য অর্জন করতে পারি। রাসুলের জিয়ারতের অনেক ফজিলত রয়েছে।
হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জীবনের সর্ব শেষ দিনগুলোতে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা আমাদের সঠিক পথের দিক নির্দেশনা দেয়।
ইমাম হোসাইন (আ.) যদি কিয়াম না করতেন তাহলে ইসলাম বিকৃত হয়ে যেত। হালাল ও হারামের মাঝে কোন পার্থক্য থাকত না।
হজরত ফাতেমা (আ.) এর পুরো জীবন সততার ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। তিনি ছিলেন মাসুম বা নিষ্পাপ। তিনি সর্বদা আল্লাহর এবাতদ করতেন।
হজরত মুহাম্মাদ (সা.) নবুওয়াত পাওয়ার পূর্বেও আল আমিন হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তিনি অত্যন্ত দয়াবান ছিলেন।
আমাদের আমল সঠিক হওয়ার জন্য আকায়েদ বা বিশ্বাস সঠিক হওয়া প্রয়োজন। প্রত্যে ব্যক্তির আমল তার বিশ্বাস অনুযয়ী হয়ে থাকে। সুতরাং আমাদের আকায়েদ সঠিক করার জন্য চেষ্টা করা উচিত।
পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে আহলেবাইত নিষ্পাপ। তাঁদের মধ্য হতে বারজন ইমাম আগমন করেছেন।
অতিতের অনেক উম্মতের মাঝে রাজআত সংঘটিত হয়েছে। সর্বশেষ নবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মতের মাঝেও রাজআত সংঘটিত হবে।
আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন শুধু তিনিই শাফাআত করতে পারবেন। কিয়ামতের দিন মুক্তি পাওয়ার জন্য পূর্ণবান হতে হবে। কিয়ামতের দিন প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার ইমামসহ ডাকা হবে। শাফাআত পাওয়ার জন্য ইমান ও সৎকর্মের অধিকারী হতে হবে। শাফাআত পাওয়ার জন্য নবির সুন্নাতের অনুস্বরণ
ইমাম হোসাইন (আ.) জান্নাতের সরদার। তিনি রাসুলে আকরাম (সা.) এর নাতি। তিনি মাসুম বা নিষ্পাপ, বিধায় যেকোন প্রকার ভুলের উর্ধে।
ইমাম হোসাইন (আ.) কোরআনের বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করতেন। কারবালার মাঠে সর্বশেষ রাতে সারা রাত কোরআন পড়েছেন ও এবাদত করেছেন। এমনকি তাঁর কাটা মাথা হতেও কোরআনের আওয়াজ আসছিল।

পৃষ্ঠাসমূহ