اهل بیت ع

ইমাম মেহদি (আঃ) এর জহুরের পর হজরত ইসা (আঃ) আসমান হতে অবতরণ করবেন। তিনি ইমাম মেহদি (আঃ) এর পিছনে নামাজ পড়বেন এবং তাঁকে ইমাম হিসেবে গ্রহণ করবেন।
ইমাম মেহদি (আঃ) অনুপস্থিত থাকার কিছু কারণ রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা তাঁতে অদৃশ্যে রাখার মাধ্যমে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা এর মাধ্যমে তাঁর বান্দাদেরকে পরীক্ষা করতে চান।
১-রাসুল (সা.) বলেছেনঃ তোমরা দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অন্বেষণ কর। ২-হজরত ঈসা (আ.) আল্লাহর সৃষ্টির প্রশংসা করেছেন। ৩- জ্ঞান অর্জনের অনেক পন্থা রয়েছে। ৪- অর্জিত জ্ঞানের উপরে আমল করা উচিত।
সালাম প্রদানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সালাম শান্তি নিয়ে আসে। সালাম প্রদান করার অর্থ হচ্ছে তার জন্য শান্তি কামনা করা। সালাম প্রদান করা হচ্ছে নম্রতা ও ভদ্রতার চিহ্ন।
কোরআন শরিফের নির্দেশ অনুযায়ী পবিত্র আহলে বাইত (আঃ) এর প্রতি মহব্বত রাখতে হবে। হাদিসে সাকালাইনে বলা হচ্ছেঃ রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ আমার পর তোমরা কোরআন ও আহলে বাইতের আনুগত্য করবে।
১-রাসুল (সা.) বিদায় হজ্জে ১০০টি উট সাথে নিয়ে যান। ২-বিদায় হজ্জে রাসুল (সা.) আবু দুজানাকে তাঁর স্থলাভিসিক্ত করে মদীনাতে রেখে যান। ৩-উম্মুল মুমিনিনরা বিদায় হজ্জে উপস্থিত ছিল। ৪-রাসুল (সা.) এর সাথে ১ লক্ষ ২৪ হাজার হাজী হজ্জে অংশগ্রহণ করেন।
ইমাম হোসাইন (আঃ) এর কিয়াম ইমাম মেহদি (আঃ) এর কিয়াম কিয়াম পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। অর্থাৎ অন্যায়কে মানুষ প্রশ্রয় দিবে না।
ইমাম হোসাইন (আঃ) হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিদ্র এবং জান্নাতের নেতা। তিনি সর্বদা মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করেছেন। সর্ব শেষে তিনি কারবালায় নিজের প্রাণসহ সবকিছু উৎসর্গ করার মাধ্যমে ইসলামকে রক্ষা করেছেন।
কারবালাই ইমাম হোসাইন (আঃ) নিজের সাথী সন্তানসহ সব কিছু উৎসর্গ করেছেন। তাঁর এ ফেদাকারীর কারণেই ইসলাম আজ পর্যন্ত টিকে আছে।
ইসলাম আসার পূর্ব হতেই মুহাররাম মাসকে হারাম বা নিষিদ্ধ মাস পালন করা হত। অর্থাৎ এ মাসে কেউ কাউরো সাথে যুদ্ধ করত না। ইসলামী শরিয়তও এ মাসকে হারাম মাস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ইমাম হোসাইন (আঃ) কেন কারবালায় গিয়েছিলেন? কে তাঁর নিকট হতে বাইআত চেয়েছিলেন? কেন তাঁকে খিলাফত দেয়া হয়নি?
ইমাম হোসাইন (আঃ) তাঁর নানা হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বিনকে রক্ষা করার জন্য কিয়াম করেছিলেন। তিনি হচ্ছেন নিষ্পাপ ও বেহেশতের নেতা, বিধায় দুনিয়ার কোন লোভ লালাসা তাঁর ছিল না
মুহাররাম মাসের চাঁদ উঠার সাথে সাথেই জান্নাতের নেতা ইমাম হোসাইন (আঃ) এর ত্যাগের কথা মনে পড়ে যায়। এজিদ ও তার বাহিনী ইমাম হোসাইন (আঃ) ও তাঁর সাথীদের ওপর যে অত্যাচার করেছে ইতিহাসে তার কোন নজির নেই।
কারবালাই ইমাম হোসাইন (আঃ) নিজের সাথী সন্তানসহ সব কিছু উৎসর্গ করেছেন। তাঁর এ ফেদাকারীর কারণেই ইসলাম আজ পর্যন্ত টিকে আছে।
কারবালায় ইমাম হোসাইন (আঃ) ও তাঁর সাথীদের প্রতি এমন জুলুম করা হয় যে পৃথিবীতে তার কোন নজির খুজে পাওয়া যাবে না। এজিদ ছিল বেদীন ও অত্যন্ত নিষ্ঠুর। ক্ষমতা ব্যতিত তার নিকট কোন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।
নবি করিম (সাঃ) এর আহলে বাইতের সাথে উমাই্য়্যা বংশের লোকরা শত্রুতা করেছে। তাঁদেরকে শহিদ করেছে। এর কারণ ছিল তাদের ক্ষমতার লোভ ও দুনিয়া পুজারী।
মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেনঃ নিশ্চয় ইমাম হোসাইন হেদায়াতের আলোকবর্তীকা ও মুক্তির তরী। মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ইসলামকে নিয়ে এসেছেন আর ইমাম হোসাইন তাকে স্থায়ীত্ব দান করেছেন।
কারবালাই ইমাম হোসাইন (আঃ) নিজের সাথী সন্তানসহ সব কিছু উৎসর্গ করেছেন। তাঁর এ ফেদাকারীর কারণেই ইসলাম আজ পর্যন্ত টিকে আছে।
গিবত বা পরচর্চা করা হতে বিরত থাকতে হবে। সত্য বলাকেই গিবত বলা হয়ে থাকে। আর যদি কাউরো সম্পর্কে কেউ মিথ্যা বলে তাহলে তাকে বোহতান বলা হয়।
কারবালায় ইমাম জয়নুল আবেদীন (আঃ) উপস্থিত ছিলেন। তিনি স্বচক্ষে দেখেছেন যে কিভাবে সকলকে শহিদ করা হয়েছে। অসুস্থ ইমাম জয়নুল আবেদীনে প্রতি এজিদি বাহিনী অত্যন্ত নির্যাতন করে।

পৃষ্ঠাসমূহ